ইতিহাস গড়লেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল
সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটিও এখন তার দখলে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ১৫২ রানে
অপরাজিত ছিলেন তিনি। চতুর্থ দিন সকালে খুব দ্রুত আশরাফুলের বিদায়ও তাকে বিচলিত করতে
পারেনি। নাসির হোসেনের দুর্দান্ত সঙ্গকে শক্তিতে পরিণত করে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা
খেলে যান মুশফিকুর রহিম। আর তাতেই পেয়ে গেলেন পুরস্কারটি। তবে ২০০ পূরণ করেই
কুলাসেকারার বলে এলবিডবিস্নউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ দলপতি। এর আগে গল টেস্টের তৃতীয়
দিনেই শতক পূর্ণ করেছিলেন মুশফিকুর। তবে গতকাল সবার নজর ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের
দিকে। ১৮৯ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করা আশরাফুলই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম
দ্বিশতকের ইনিংসটি খেলবেন বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু মনঃসংযোগে চিড় ধরায়ই হয়তো মুখোমুখি হওয়া দিনের প্রথম বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলেন।
বেঁচে গেলেন, কিন্তু রঙ্গনা হেরাথকে আবারও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে আর বাঁচলেন
না। বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে যখন স্লিপে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো
ম্যাথুজের হাতে যায়, তখন আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে আর মাত্র ১ রানই যোগ করতে
পেরেছেন আশরাফুল। তবে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্নটা
বৃথা যেতে দেননি টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং করে পূর্ণ করেছেন
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম দ্বিশতক। ২০০ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলার পথে ৩২১টি বল
মোকাবেলা করেছেন মুশফিক। এতে ছিল ২২টি চার ও ১টি ছয়ের মার। দুর্দান্ত এ ইনিংসটি
খেলে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার প্রমাণও বেশ ভালোমতোই দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শ্রীলংকান বোলারদের নাজেহাল করে মাঠের চারদিকেই শট খেলেছেন মুশফিক। তার ২০০ রানের
মধ্যে ১০৩ রান এসেছে অফসাইড থেকে; বাকি ৯৭ রান লেগ সাইড থেকে। এই পরিসংখ্যান থেকেই
বোঝা যায়, সবদিকেই শট খেলতে সমানভাবে পারদর্শী বাংলাদেশের এই তরুণ অধিনায়ক।
দেশজুড়ে হানাহানির এই দুঃসময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী
খালেদা জিয়া ডাবল সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
No comments:
Post a Comment