tag:blogger.com,1999:blog-5708802667917097682024-03-14T16:52:12.714+06:00খোঁজ খবরDaily News and Views from BangladeshUnknownnoreply@blogger.comBlogger138125tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-20429962168365344002014-03-11T21:13:00.000+06:002014-03-11T21:13:53.125+06:00আত্মঘাতী আওয়ামী লীগ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi5rGnhDNgKF138WqD-0OGH7tVmSV75XobxBfKRVSZnvnayxb_H9__77p4xqItPRi39iK_TkXytDc_WoW4m3ogfYtSiRY2xuuQF2xJwTg-rMVgDw9AyMS4IVrkarIP3LZYfnAN5nlzObyKS/s1600/Self+Destructive+Awami+League.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi5rGnhDNgKF138WqD-0OGH7tVmSV75XobxBfKRVSZnvnayxb_H9__77p4xqItPRi39iK_TkXytDc_WoW4m3ogfYtSiRY2xuuQF2xJwTg-rMVgDw9AyMS4IVrkarIP3LZYfnAN5nlzObyKS/s1600/Self+Destructive+Awami+League.jpg" height="248" width="400" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">ফজলুর রহমান ও আলী আসিফ শাওন</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">দেশজুড়ে দফায়-দফায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাস তো আছেই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উপজেলাকেন্দ্রিক নির্বাচনি আত্মহানাহানি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত রূপ দিয়েছে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধে। এ যুদ্ধে চাপাতি থেকে রাইফেল পর্যন্ত সব রকম মারণাস্ত্রই ব্যবহূত হচ্ছে। বিএনপি-জামাতের পেট্রলবোমায় নয়, আওয়ামী লীগ এখন আওয়ামী লীগের গুলিতেই রক্তাক্ত।<br />গত শনিবার গাজীপুরের শ্রীপুর ও চাঁদপুরের কচুয়া এবং শুক্রবার ভোলার দৌলতখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু শ্রীপুরেই গুলিবিদ্ধ হন ২৩ জন। ওই ঘটনায় আহত ছাত্রলীগনেতা আল আমিন মারা গেছেন সোমবার রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে। শনিবারের সংঘর্ষকালে প্রায় ৪ ঘণ্টা অচল থাকে শ্রীপুর পৌরশহর। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে চলা এ তাণ্ডবে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই দিন চাঁদপুরের কচুয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উপস্থিতিতে দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোলার দৌলতখানে একই দলের দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন।<br />দখল, চাঁদাবাজি আর খুনোখুনি গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। গত মেয়াদে ছাত্রলীগের বিশ্বজিত্ হত্যাকাণ্ড ও যুবলীগের টেন্ডারবাজিতে চট্টগ্রামে শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা দুটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল। আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করেছে, কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সংগঠন দুটির মধ্যে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে থানা ভাঙচুরের ঘটনাও শুরু হয়েছে। সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট আর আওয়ামী লীগের নৌকা ফুটো করতে ছাত্রলীগ-যুবলীগই যথেষ্ট।<br />৯ মার্চ নড়াইলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। ১২ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দিতে গেলে ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও বাবুলকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যুবলীগকর্মী মহিদ, নাছিম বিল্লাহ, বাদশা, হাসানসহ ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ তাদের মারধর করে টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ আলীসহ স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। একই দিন দুপুরে সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ডিইপিজেডের বিদেশি মালিকানাধীন একটি কারখানার ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অস্ত্র ও দুই সহযোগীসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগনেতা সোহেল পারভেজ নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আটক হন। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সোহেলকে। ৫ মার্চ নোয়াখালীর কবিরহাট থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়। কাছাকাছি সময়ে বরিশালের গৌরনদীতে হাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে। ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে গোলপাহাড় ও মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুগ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় একটি মার্কেটে চাঁদাবাজির জের ধরে ঘটনাটি ঘটে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় বিজি প্রেসের স্টেশনারি ভবনে কোটি টাকার টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সম্পাদক সিদ্দিকী কাজল ও তার সমর্থকদের নামে টেন্ডারবক্স জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। স্টেশনারি ভবনে দরপত্র জমা দেওয়ার দিন স্থানীয় এক প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কাজল ও তার সমর্থকরা প্রভাব খাটিয়ে অন্যদের টেন্ডার জমা দিতে বাধার সৃষ্টি করেন। প্রতিপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও অমীমাংসিত রয়েছে কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াটি। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়াও শিক্ষক পেটানো, হলে মেয়ে নিয়ে রাত কাটানো, চাঁদাবাজি, মারামারির ঘটনাও ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। ২৫ জানুয়ারি সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনের মাথায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় পুরনো গাড়ি নিলামের জের ধরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানার ওসির রুম ভাঙচুর করেন। মন্ত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী-এমপিদের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।<br />ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, শীর্ষনেতাদের গাফিলতির কারণেই সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তারা বলেন, ২ বছরমেয়াদি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১২ জুলাই। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির শীর্ষনেতারা এখন সবাই ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে আবার সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে রাজনীতি ছেড়েছেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও হয় না নিয়মিত। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও আঞ্চলিকতার রেশ ধরে বেশ কয়েকটি গ্রুপও সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রলীগে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ কমেছে, বেড়েছে দূরত্ব। তা ছাড়া দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় জেলা কমিটি ও থানা কমিটি দেওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটলে তেমন একটা কিছু করার থাকে না।<br />যুবলীগের বিভিন্ন কমিটিতে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ ও টেন্ডারবাজদের পদ দেওয়ার ফলে সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। যদিও কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।<br />যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আমাদের সময়কে বলেন, কোনও সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজকে যুবলীগ পালন করে না। তারপরও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে-সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।<br />ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম আমাদের সময়কে বলেন, সব ঘটনাতেই আমরা সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দিচ্ছি না। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একজনকে বহিষ্কার করেছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করেছি, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।<br />উপজেলা নির্বাচনকেন্দ্রিক খুনোখুনি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, প্রথমত আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। তার সঙ্গে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি মিলে আকার-পরিসর আরও বেড়েছে। তাই যে-কোনও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১৪ দল, এমনকী মহাজোটও দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। দুই-এক জায়গায় সংঘর্ষও হচ্ছে। তবে সেই সংঘর্ষ, সংঘাত প্রাণঘাতী হলেই বিপদ। আর তা যেন সরকার ও দলের জন্য আত্মঘাতী না হয়ে যায়, সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। </span></div>
<div style="text-align: right;">
<i><span style="font-size: small;">(আমাদের সময়, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০১৪)</span></i></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-3087547680637385102014-01-23T21:45:00.000+06:002014-01-23T21:45:23.349+06:00অন্তরালে মহানায়িকা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8319bO9hxAuhyphenhyphen8bbei8ZADjzqlKiZf_1wFcz4Q_z5KKsdOY3jdfZTfpf9gxZRUzOGH8WruA7n9LgCwYVmJBVf3jizyDSvzXzUVcvMIHcbU3eJ4vfleHkEzvV1wXdwpYtmLn5XO9Rp6MOW/s1600/Suchitra+Sen-05.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8319bO9hxAuhyphenhyphen8bbei8ZADjzqlKiZf_1wFcz4Q_z5KKsdOY3jdfZTfpf9gxZRUzOGH8WruA7n9LgCwYVmJBVf3jizyDSvzXzUVcvMIHcbU3eJ4vfleHkEzvV1wXdwpYtmLn5XO9Rp6MOW/s1600/Suchitra+Sen-05.jpg" height="300" width="400" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">মহানায়িকা সুচিত্রা সেন গত শুক্রবার পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন। ৮২ বছর বয়সী কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী জীবনের শেষ দিনগুলো নীরবে-নিভৃতেই পার করেছেন। তাই তাকে নিভৃতবাসিনী হিসেবেও আখ্যা দেয়া যায়। সুচিত্রা সেন ছিলেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের স্বপ্নরানী। মায়াবী মুখশ্রী, ভুবনমোহিনী হাসি, মনকাড়া নেত্রযুগল, অনিন্দ্যসুন্দর দেহাবয়ব ও অভিনয় ক্যারিশমার কারণে 'মহানায়িকা' খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। ষাট থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ১৯৮৯ সাল থেকে জন-অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা। সেই অন্তরাল থেকে চির-অন্তরালে চলে গেছেন জনগণমননন্দিতা এই চিত্রনায়িকা।<br /><br />তার জন্ম বাংলাদেশের পাবনায়। করুণাময় দাশগুপ্ত ও ইন্দিরা দাশগুপ্তার মেজ মেয়ে রমা দাশগুপ্তা (সুচিত্রা সেন)। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল মায়ের কোল আলো করে জন্ম নেন এক পরমাসুন্দরী কন্যা। শিশুকন্যাটিকে আত্মীয়স্বজনরা আদর করে কৃষ্ণা নামে ডাকতেন। করুণাময় ও ইন্দিরা কিন্তু তাদের মেয়েকে রমা নামেই সম্বোধন করতেন।<br />স্কুলজীবন<br />কর্মসূত্রে পাবনায় থাকতেন করুণাময় বাবু। পাবনা গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি করার সময় অ্যাডমিশন ফর্মে মেয়ের নাম রমা দাশগুপ্তা লেখেন তিনি। শৈশব-কৈশোর পাবনাতেই কেটেছে সুচিত্রার। পাবনায় ছোট্ট রমাকে দেখে এক নাগা সন্ন্যাসী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে মেয়েটি সুলক্ষণা। এই মেয়ে বড় হয়ে খুব নাম করবে। সবাই ওর প্রশংসা করবে। অর্থ-যশ সবকিছুই পাবে।<br /><br />ছোটবেলায় সুচিত্রা সেনের হাতের লেখা বেশ সুন্দর ছিল। শাড়ি ছিল স্কুল ইউনিফর্ম। শাড়ি তিনি নিখুঁতভাবে পরতেন। চুল সুন্দর করে কলাবেণি করতেন। আসলে ওই বয়স থেকেই রমার ড্রেস সেন্স ছিল অসাধারণ। তিনি এত সুন্দর করে সাজতেন যে ছেলেরা তার দিকে তাকিয়ে থাকত।<br /> </span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">প্রথম ছবি<br />১৯৪৭ সালে আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রমার। রূপশ্রী স্টুডিওতে 'সঙ্কেত' নামে একটি ছবির জন্য প্রথম স্ক্রিন-টেস্ট করেন তিনি। শ্বশুর আদিনাথ সেনের অনুমতি নিয়েই অভিনয় জগতে পা রাখেন রমা।<br />রমা থেকে সুচিত্রা<br />১৯৫৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের 'সাত নম্বর কয়েদি' সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। সুকুমার বাবুর সহকারী ছিলেন নীতিশ রায়। তিনিই রমার নাম রাখেন সুচিত্রা। তবে প্রথম যে ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন তার নাম 'শেষ কোথায়'। কিছু দিন কাজ করার পর শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই অসমাপ্ত ছবির সুবাদেই তিনি নীরেন লাহিড়ীর 'কাজরী' ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। এর সূত্র ধরেই মহানায়ক উত্তম কুমারের বিপরীতে 'সাড়ে চুয়াত্তর' ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiT5njVzI4mVfjQHlF2ywyWfHSoIcK6lgm1j4-BW_ACdQjDpZKXF4KWNLz7v2bDipdsyINXp0iDY6CZxoJMOnVZbvgIoDpe9BocMi7psFcxTPjdqYx7l_NJUbNvh75dvcTu06_KpCllHrkf/s1600/Uttam-Suchitra-08.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiT5njVzI4mVfjQHlF2ywyWfHSoIcK6lgm1j4-BW_ACdQjDpZKXF4KWNLz7v2bDipdsyINXp0iDY6CZxoJMOnVZbvgIoDpe9BocMi7psFcxTPjdqYx7l_NJUbNvh75dvcTu06_KpCllHrkf/s1600/Uttam-Suchitra-08.jpg" height="194" width="320" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;">সুচিত্রা-উত্তম ২৮</span><br /><span style="font-size: large;">সর্বমোট ২৮টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন সুচিত্রা-উত্তম জুটি। তাদের অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে 'সাড়ে চুয়াত্তর', 'ওরা থাকে ওধারে', 'মরণের পরে', 'প্রিয় বান্ধবী', 'অগি্নপরীক্ষা', 'শাপমোচন', 'সাগরিকা', 'শিল্পী', 'হারানো সুর', 'চন্দ্রনাথ', 'পথে হল দেরি' (প্রথম বাংলা রঙিন ছবি), 'জীবন তৃষ্ণা', 'রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত', 'ইন্দ্রাণী', 'সূর্যতোরণ', 'চাওয়া পাওয়া', 'সপ্তপদী', 'গৃহদাহ', 'আলো আমার আলো' প্রভৃতি।<br />দেবদাসে পার্বতী<br />১৯৫৪ সালে বিমল রায় শরৎচন্দ্রের 'দেবদাস' হিন্দিতে নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। নাম ভূমিকায় দিলীপ কুমারকে নির্বাচন করেন তিনি। চন্দ্রমুখীর চরিত্রে ছিলেন বৈজয়ন্তীমালা। পার্বতীর ভূমিকায় প্রথমে মীনা কুমারীকে নেয়ার কথা ভাবেন বিমল বাবু। কিন্তু মীনা কুমারী সময় দিতে না পারায় মধুবালার কথা ভাবা হয়। এদিকে দিলীপ কুমারের সঙ্গে মধুবালার মনোমালিন্য ঘটায় শেষ পর্যন্ত ভাগ্নেবউ সুচিত্রার কথা মাথায় আসে বিমল বাবুর। বিমল রায় আদিনাথ সেনের শ্যালক।<br />যখন বিষ্ণুপ্রিয়া<br />অভিনেত্রী হিসেবে সুচিত্রা সেনের উত্তরণের পালা 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য' ছবি থেকে। দেবকী কুমার বসু পরিচালিত এ ছবিতে বিষ্ণুপ্রিয়ার ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেন তিনি। সুচিত্রা সেন নিজে বলেছেন, 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য' ছবিটি আমার জীবনকে পাল্টে দেয়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫-এ তিন বছর পর পর অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে মহানায়িকার। পিনাকী মুখোপাধ্যায়ের 'ঢুলি', সুকুমার দাশগুপ্তের 'সদানন্দের মেলা', অগ্রদূতের 'অগি্নপরীক্ষা', সুধাংশু মুখোপাধ্যায়ের 'সাঁঝের প্রদীপ', সুধীর মুখোপাধ্যায়ের 'শাপমোচন', অগ্রদূতের 'সবার উপরে' ছবিগুলো বক্স অফিসে আশাতীত সাফল্য অর্জন করে।<br />অমোঘ আকর্ষণ<br />উত্তম-সুচিত্রার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার ফলে সেই সময়ের বাঙালির সামাজিক জীবনেও কিছু কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। উত্তম-সুচিত্রার বিভিন্ন ছায়াছবি দৃশ্যের অনুকরণে নবদম্পতিরাও ফটো স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলে যথেষ্ট আনন্দ লাভ করতেন। এমনকি লক্ষ্মী ও সরস্বতী প্রতিমা সুচিত্রার মুখের আদলে গড়া হয়েছে। উত্তম-সুচিত্রা জুটি শুধু অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তাই লাভ করেনি; বাংলা ছায়াছবির জগতে স্টার সিস্টেমও প্রবর্তন করে।<br />সুচিত্রা তার মুডের জন্যও সব সময় আলোচনায় ছিলেন। একবার অজয় করের 'সাত পাকে বাঁধা'র শুটিং চলে কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের ২ নাম্বার স্টুডিওতে। বারান্দায় ফোরগ্রাউন্ডে ছিল খাঁচাবন্দি একটি সবুজ রঙের টিয়ে। পাখিটাকে নিয়ে সুচিত্রার একটা শট ছিল। সেটা হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ ফ্লোর থেকে বেরিয়ে এসে খাঁচাটার দোর খুলে হাততালি দিয়ে পাখিটাকে উড়িয়ে দিলেন নীল আকাশে। টিয়ে পাখিটিকে নিয়ে কন্টিনিউটি শট ছিল। কিন্তু পাখিটিকে এভাবে উড়িয়ে দেয়ায় পরিচালক অজয় কর সুচিত্রার কাছে কৈফিয়ত তলব করলেন। সুচিত্রা একটু হেসে বললেন, 'বড্ড কষ্ট পাচ্ছিল বেচারা! তাই উড়িয়ে দিলাম। সরি।'<br />পরিচালক অসিত সেনের 'দীপ জ্বেলে যাই' ছবিতে নার্স রাধা মিত্রের চরিত্রেও সুচিত্রার অভিনয় ইতিহাস হয়ে থাকবে। প্রথম তিনি দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন 'স্মৃতিটুকু থাক' ছবিতে। অসিত বাবুর ছবি 'উত্তর ফাল্গুনী'-তে মা ও মেয়ের দ্বৈত ভূমিকায় সুচিত্রার অভিনয়ের তুলনা মেলা ভার। পরে এ ছবিটিই হিন্দিতে 'মমতা' নামে রিমেক করা হয়েছিল। এতে সুচিত্রার বিপরীতে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। জনপ্রিয় ছবি 'হসপিটালে' বম্বের প্রখ্যাত নায়ক অশোক কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সুচিত্রা। সুশীল মজুমদার পরিচালিত এ ছবির নায়িকা শর্বরীর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন তিনি।<br />উত্তম-সুচিত্রা বিবাদ<br />১৯৬১ সালে 'সপ্তপদী' মুক্তি পেলেও ছবিটির শুটিং হয়েছিল অনেক আগে। সুপরিকল্পিতভাবে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের মধ্যে পারস্পরিক বিবাদ লাগিয়ে দেয়ার ফলে ছবির কাজ বন্ধ থাকে দীর্ঘদিন। তাই 'সপ্তপদী' তৈরি হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কী সেই বিবাদ? সুচিত্রা সেনকে বোঝানো হয়েছিল, উত্তম কুমারের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে থাকলে তার খ্যাতির প্রকাশ ঠিকভাবে ঘটবে না।<br />আন্তর্জাতিক পুরস্কার<br />মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'সাত পাকে বাঁধা' ছবিটি প্রদর্শিত হয়। অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান সুচিত্রা। এর আগে নার্গিসই ছিলেন একমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি 'মাদার ইন্ডিয়া'র জন্য কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন।<br />গ্ল্যামার ও অভিনয়<br />গ্ল্যামার ও অভিনয়ের দাপট- সব মিলিয়ে সুচিত্রা সেন তার উপস্থিতির জোরে 'ফরিয়াদ'-এর মতো শক্ত বিষয়ের ছবিকেও সুপারহিট করিয়ে দিয়েছিলেন। একই কথা বলা চলে দীনেন গুপ্তের 'দেবী চৌধুরানী' ছবির ক্ষেত্রেও। অজয় করের 'দত্তা'ও সুপারহিট হয়েছিল সুচিত্রার অভিনয়ের জোরেই।<br />ঘর সাজানো<br />অভিনয়ের বাইরে সুচিত্রার ঘর সাজানোর অভ্যাস বহুদিনের। নিজের হাতে তার শোবার ঘর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতেন। পছন্দ করতেন গাছপালা ও পশুপাখি। বিভিন্ন ধরনের উপাদানসামগ্রীতে সাজানো থাকত তার বাড়ির ড্রইংরুম। শেষ দিনগুলোয় আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে তার সঙ্গে কেউ দেখা করতে এসেছেন শুনলে, গোপন ক্যামেরায় টিভি স্ক্রিনে সেই সাক্ষাৎপ্রার্থীকে দেখে তবেই ফ্ল্যাটে ঢোকার অনুমতি দিতেন।<br /><br />একসময় বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে তার বিশাল দোতলা বাড়িতে কে না গিয়েছেন! হিন্দি ছবির বড় বড় নায়কও সেখানে গিয়ে পড়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অশোক কুমার, রাজ কাপুর, দেবানন্দ, সঞ্জীব কুমার, ধর্মেন্দ্র প্রমুখ। রাজ কাপুর ও সুচিত্রা সেনকে নিয়ে মজার একটা গল্প রয়েছে। একবার রাজ কাপুর সুচিত্রাকে তার কোনো ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। তার পরনে সাদা ধবধবে প্যান্ট-কোট ও হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ ছিল। এ গোলাপ দিয়েই সুচিত্রাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি।<br />গোপালপুরের নির্জনতা<br />গোপালপুরের সমুদ্রসৈকত বড়ই প্রিয় ছিল সুচিত্রা সেনের। এখানকার নির্জনতা দারুণ উপভোগ করতেন তিনি। তাই তার কোনো ছবির সিকোয়েন্স সমুদ্রের ধারে থাকলে শুটিংয়ের জন্য গোপালপুরকেই বেছে নিতেন।<br />সুচিত্রা-সন্ধ্যা<br />'অগি্নপরীক্ষা' থেকে শুরু করে একের পর এক ছবিতে সুচিত্রার লিপে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। বাস্তবিকভাবেই তারা যেন একে-অন্যের জন্যই জন্মেছেন। মহানায়িকার লিপে মহাগায়িকা সন্ধ্যার সব থেকে বেশি গানের দৃশ্যধারণ হয়েছে। সুচিত্রার লিপ দেয়ার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ।<br />অনন্য 'অাঁধি'<br />'অাঁধি' ছবির শুটিংকে কেন্দ্র করেই হিন্দি ছবির প্রতিষ্ঠিত পরিচালক, গীতিকার গুলজারের সঙ্গে প্রায় আত্মীয়তার সম্পর্কই গড়ে উঠেছিল মহানায়িকার। 'দেবদাস', 'মুসাফির', 'চম্পাকলি', 'বোম্বাই কা বাবু', 'শরহদ', 'মমতা' প্রভৃতি ছবির থেকেও 'অাঁধি'র সুচিত্রা ভারতীয় দর্শকমহলে এক অনন্য আবেদনের সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল।<br />সুচিত্রার অপ্রাপ্তি<br />কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজ করা হয়ে ওঠেনি সুচিত্রা সেনের। সুচিত্রা সেনের অভিনয় জীবনের সব থেকে বড় অপ্রাপ্তি সম্ভবত এটিই। সত্যজিৎ রায় সুচিত্রাকে নিয়ে 'দেবী চৌধুরানী' করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুচিত্রা শিডিউল দিতে না পারায় সত্যজিৎ বাবু ছবিটি করেননি। অবশ্য পরে সুচিত্রাকে নিয়ে দীনেন গুপ্ত ছবিটি করেছিলেন।<br />গায়িকা সুচিত্রা<br />মেগাফোন কোম্পানির ব্যানারে সুচিত্রা দুটো পুজোর গান রেকর্ড করেছিলেন। এর সুর করেছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায়। গানের কথা লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।<br />প্রিয় খাবার<br />সুচিত্রা সেন বরাবরই আর্লি রাইজার ছিলেন। ভোরে উঠতেন। কখনোসখনো ইচ্ছা হলে বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটতেও বের হতেন। ইচ্ছা হলে রান্নাঘরেও ঢুকে পরতেন তিনি। নিজেই রান্নাবান্না করতেন। পাঁঠার মাংস থেকে মুরগির মাংসই ছিল তার বেশি পছন্দের। সুচিত্রা সেনের প্রিয় মাছ ছিল মাগুর, বড় রুই মাছের পেটি, কই, চিংড়ি ও ভেটকি। রসুন ভেটকি তার একটি পছন্দের খাবার। তিনি থাই খাবারও ভালোবাসতেন।<br />ঠাকুরঘরে সুচিত্রা<br />সুচিত্রা সেনের আধ্যাত্মিক জীবনের কথা তার অভিনয় জীবনের থেকে কম আকর্ষণীয় নয়। অভিনয় থেকে সরে আসার পর তিনি আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করেছিলেন। তার শোবার ঘরের পাশেই ঠাকুরঘর স্থাপন করা হয়েছিল। কী শীত, কী গ্রীষ্ম; সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্নান সেরে ঠাকুরঘরে ঢুকে পড়তেন তিনি। সাড়ে ১১টার আগে সেখান থেকে বের হতেন না। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত ছিলেন তিনি। প্রায়ই বেলুড় মঠে ভরত মহারাজ, স্বামী বীরেশ্বরানন্দ, স্বামী রঙ্গনাথানন্দজীর কাছে ছুটে যেতেন তিনি। সুচিত্রা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দীক্ষা নিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, 'মাঝেমধ্যে বড় কষ্ট হয়। যন্ত্রণা হয় ভেতরে। তখন কিছু ভালো লাগে না। তাই যন্ত্রণা লাঘবের জন্য ছুটে যাই গঙ্গার ওপারে-বেলুড়ে। শ্রীশ্রীঠাকুরের পায়ের কাছে বসে থাকি।'<br />অন্তরালে মহানায়িকা<br />রহস্যজনক এক কারণে হঠাৎ করেই অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন। তাকে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জন-অন্তরালেই থেকেছেন।<br /><br />অসুস্থ হয়ে সুচিত্রা সেন টানা ২৫ দিন কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার সুচিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে তাকে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিতেই হলো।</span><br /></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-43959272007629194262014-01-18T19:36:00.000+06:002014-01-18T19:36:34.466+06:00পাতানো নির্বাচন এবং এক ব্যক্তিক রাষ্ট্রের উদ্ভবের প্রশ্ন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh0QIZwNsBz64JDOxvSvUWsP6FqaQXBs20s_R7D7svlng7ism1IgB-3P7iDA8cRhxfyVAFdenLYK3aAEBCUWVylPBX8ocYuOxcHW_DSA3v9KKTiflwpdxQhhAyAFfxUh8skHTtBXPVCFTq/s1600/Mahfuz+Anam.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh0QIZwNsBz64JDOxvSvUWsP6FqaQXBs20s_R7D7svlng7ism1IgB-3P7iDA8cRhxfyVAFdenLYK3aAEBCUWVylPBX8ocYuOxcHW_DSA3v9KKTiflwpdxQhhAyAFfxUh8skHTtBXPVCFTq/s1600/Mahfuz+Anam.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"><span class="details">১৯৪৯ সালে জন্মের পর থেকে আওয়ামী লীগ তার সব
কর্মকাণ্ডে জনগণের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করেছে। অথচ সেই দলটি নিষ্ঠুর, নির্দয়
এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সদ্য হয়ে যাওয়া নির্বাচন হাইজ্যাক করেছে এবং শুধু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের ভোটের অধিকারকে অস্বীকার করেছে। এ
নির্বাচনে তথাকথিত বিজয় ছিল পূর্বনির্ধারিত। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে-
৩০০টির মধ্যে ১৫৩ আসনে প্রার্থী জয়ী হওয়ার জন্য একটি ভোটেরও প্রয়োজন হয়নি।
এটা যদি পূর্বনির্ধারিত না হয় তাহলে কি? এসব এ নির্বাচনকে পাতানো এবং
ফলাফলকে বল প্রয়োগের বিজয়ের খেতাব এনে দিয়েছে। এরপর নতুন সরকার গঠনের
বিষয়টি আসে, যা যে কোন নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্যে। এ সরকারও গঠন হয়েছে
ভোটারদের কোন ধরনের অংশগ্রহণ ছাড়া। আব্রাহাম লিঙ্কনের সংজ্ঞা যদি আমরা
বিশ্বাস করি তবে গণতন্ত্র হচ্ছে, জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের
জন্য। তাহলে ৫ই জানুয়ারি তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার জনগণের
সরকার নয়, জনগণের দ্বারা গঠিতও নয়। এ সরকার জনগণের জন্য কিনা তাও কেবল
ভবিষ্যতই বলতে পারবে। শেখ হাসিনা যাই করুন না কেন, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের
মাধ্যমে তিনি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেননি। যদিও তিনি সব সময় দাবি করে
থাকেন গণতন্ত্রের জন্য তিনি সংগ্রাম করছেন। সাংবিধানিক ধারাবাহিতকতার নামে
তিনি এমন একটি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন, অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী যে
নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট পড়েছে ৩৯ শতাংশ। যা গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে পড়া ৮৭
শতাংশ ভোটের তুলনায় অনেক কম। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়ার যে হারের কথা বলা
হয়েছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের দিন ইলেকট্রনিক এবং
প্রিন্ট মিডিয়ায় যে চিত্র দেখা গেছে তাতে ভোটের হার কিছুতেই ১৫ থেকে ২০
ভাগের বেশি হতে পারে না।<br />৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে
জনগণের বিশ্বাস ধ্বংস হয়ে যাওয়া। গত দুই যুগ ধরে তাদের যে বিশ্বাস জন্মেছিল
যে, প্রতি ৫ বছর পর পর তারা কোন ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাদের মত প্রকাশ
করতে পারবেন। এখন এ বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে। এটাও প্রমাণ হয়েছে, আমাদের দুটি
প্রধান রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের অধীনে কোন অবাধ ও সুষ্ঠু
নির্বাচন সম্ভব নয়। তা আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি-ই হোক। এখন আমরা একটি
মৌলিক সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছি, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন
কি এক ব্যক্তিক রাষ্ট্রের জন্ম দেয়নি। সমালোচক হিসেবে নয়, বরং গণতন্ত্রের
বন্ধু হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার হাতে থাকা অসীম ক্ষমতার ব্যাপারে
সতর্ক করছি। লর্ড অ্যাকটিন এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন, ক্ষমতা দুর্নীতির
জন্ম দেয় এবং নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ দুর্নীতির জন্ম দেয়। আধুনিক
রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ- নির্বাহী বিভাগ, সংসদ এবং বিচার বিভাগ। আজকের দিনে
শেখ হাসিনা প্রশ্নাতীতভাবে এবং কার্যকরভাবে দু’টি স্তম্ভ নিয়ন্ত্রণ করেন।
সাধারণভাবে রীতি অনুযায়ীই আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী বিভাগের
নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। আইন প্রণয়নকারী বিভাগ-সংসদের নেতা হিসেবে
প্রধানমন্ত্রীর বিরাট প্রভাব রয়েছে। যদিও সর্বশেষ নির্বাচনের পর নতুন
অগ্রগতিও হয়েছে। এমনকি এখন বিরোধী দলও প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিরোধী দলের একটি অংশ মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছে, আরেকটি অংশ রয়েছে বিরোধী
দলে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে। আমরা সবাই জানি,
কিভাবে বিরোধীদলীয় নেতা তৈরি করা হয়েছে। এবং তথাকথিত বিরোধীদল কিভাবে
সরকারের মন্ত্রিসভায় আরও স্থান পাওয়ার জন্য দরকষাকষি করছে। এই পরিস্থিতিতে
সংসদের ওপরও প্রধানমন্ত্রীর পুরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাকি থাকে
বিচার বিভাগ। ঐতিহ্যগতভাবেই বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের
ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে থাকে। উচ্চ আদালতের প্রতি সর্বোচ্চ
শ্রদ্ধা রেখেও বলা যায়, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাবের কথা
কেউই অস্বীকার করতে পারেন না। আমরা এখন এমন একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে
আছি যেখানে সরকারের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ক্ষেত্রে কোন ধরনের
ভারসাম্য নেই। সারা দুনিয়ার অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলোর
মধ্যে ক্ষমতার বিন্যাসের ওপরই সুশাসন নির্ভর করে। রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভের
হাতে বেশি ক্ষমতা চলে গেলে তা সরকার ব্যবস্থার জন্য বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসে।
সরকার ব্যবস্থায় ভারসাম্য নীতির অভাব আরও অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে। সাধারণ
পরিস্থিতিতে কোন দলের সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ ভবিষ্যতের জন্য
বিপর্যয়কর হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভিশাপের
ইতিহাস রয়েছে। তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নিয়ন্ত্রণাধীন বিরোধী দল,
ভারসাম্যহীন ক্ষমতার অধিকারী নেতার আবির্ভাব এবং এমন কোন প্রতিষ্ঠান না
থাকা যা তাকে দায়বদ্ধ করতে পারে, এ অবস্থায় লর্ড অ্যাকটিনের ভবিষ্যৎ বাণী
সত্য হওয়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে। এটা রেকর্ডে থাক যে, সর্বপ্রথম সতর্কঘণ্টা
আমরাই বাজিয়েছিলাম। <br /> </span></span></div>
<div style="text-align: right;">
<span style="font-size: small;"><span class="details">(১৭ই জানুয়ারি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত পত্রিকাটির সম্পাদক মাহফুজ আনামের মন্তব্য প্রতিবেদন থেকে অনূদিত)</span></span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-72080928094103763412013-11-17T20:30:00.000+06:002013-11-17T20:30:19.304+06:00কাঁদলেন শচীন, কাঁদালেন বিদায়ী ভাষণে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg37WbfcbByff9OTHvIr6Qnyj-CtguCht3LRXZqEY7i4msWSwSJSE9pO6bL_m1tg25mJ7f5QU6S7-DkevcJgyy7_Og0Pi29xhq5bZdMJabzhkoeFfyWWj8YjCp5FcNSj19BeshbP6DgVrrr/s1600/Sachin+Tendulkar_1.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg37WbfcbByff9OTHvIr6Qnyj-CtguCht3LRXZqEY7i4msWSwSJSE9pO6bL_m1tg25mJ7f5QU6S7-DkevcJgyy7_Og0Pi29xhq5bZdMJabzhkoeFfyWWj8YjCp5FcNSj19BeshbP6DgVrrr/s1600/Sachin+Tendulkar_1.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfioWOzgIPYeSxxcRYG2c4IRMWgdMLePWUZjLrGDm0bgXGR-dZg4Slosa1NQyPRoInBVF-k1awbUgp75jLToWh82T8seQMSDuohUMAcamaKLawGuL6fvSlO52fEwhk56AgefqRKydzjFYy/s1600/Sachin+Tendulkar_2.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"></a><span style="font-size: large;">৪০ বছরের জীবনের ২৯টি বছরই ক্রিকেট মাঠে কাটিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। এর
মধ্যে একটানা ২৪ বছর খেলেছেন জাতীয় দলে। খেলেছেন সর্বাধিক টেস্ট ও ওয়ানডে।
করেছেন সর্বাধিক রান, সর্বাধিক সেঞ্চুরিও তার ঝুলিতে। রেকর্ডের বড়পুত্র
হয়েছেন। ক্রিকেটে ধ্যান-জ্ঞান ছিল বলেই এটা ছাড়া এক মুহূর্ত ভাবতে পারতেন
না শচীন। সেই ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কটা ছিন্ন হয়ে গেল গতকাল। শচীনের
বিদায়ে পুরো দুনিয়ায় হাহাকার শুরু হয়েছে। এতে লিটল মাস্টারের ভেতরটা কত
হাহাকার করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই হাহাকার আটকে রাখতে পারলেন
ক্রিকেট ঈশ্বর। বিদায় বেলায় সেটাই প্রমাণ করলেন তিনি। তার বিদায়ী ভাষণে
ফুটে উঠলো দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সকল স্মৃতি। দুই যুগের বেশি সময় ধরে
বোলারদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়া টেন্ডুলকার গতকাল নিজেই কেঁপে উঠলেন।
মাইক্রোফোন হাতে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠেই কথা বলা শুরু করলেন। কিন্তু পারলেন না।
ভক্তদের মুহুর্মুহু করতালিতে আটকে গেল তাঁর কথা। বেরিয়ে এলো তাঁর ভেতরের
চিত্রটা। শচীন বললেন, ‘আপনারা এমন করলে আমি আরও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বো।’
বারবার কণ্ঠ ভেঙে আসছিল ক্রিকেট কিংবদন্তির। গলা শুকিয়ে আসছিল। কথা আটকে
যাচ্ছিল বলে বেশ কয়েকবার পানিও খেলেন। এর মধ্যেই বলে গেলেন নিজের কথা। তাঁর
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যাদের অবদান রয়েছে, তাঁদের সবার নামের তালিকা ছিল
টেন্ডুলকারের হাতে। কেউ যেন বাদ পড়ে না যায়!<br />বাবাকে স্মরণ আলাদাভাবে<br />১৯৯৯
সালে বাবা রমেশ টেন্ডুলকারকে হারিয়েছেন শচীন। বিদায়ী ভাষণে বাবার প্রসঙ্গ
তুলে আপ্লুত শচীন। ১৯৯৯ সালে বাবাকে হারানোর পর থেকে প্রতিটি পদক্ষেপেই যে
তিনি তাঁর প্রয়াত বাবাকে অনুভব করেন, সেটা জানিয়েছেন তিনি। বলতে ভোলেননি
প্রতিটি বড় ইনিংস খেলার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে বাবাকে খোঁজার ওই মুহূর্তের
কথা। <br />মায়ের অন্যরকম ভালবাসা<br />ছোটবেলায় যথেষ্ট দুষ্টু ছিলেন শচীন।
বেড়ে ওঠার পথে তাঁর রত্নগর্ভা মাও যে বিশেষ অবস্থানে আছেন বলেছেন সেটাও,
‘ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। আমাকে সামলানো ছিল যথেষ্ট কঠিন। সেই কঠিন
কাজটিই মা করে গেছেন হাসিমুখে। ক্রিকেটার টেন্ডুলকারের জন্য মায়ের
প্রার্থনাও যে ছিল বিরাট কিছু, বিদায়ী ভাষণে তা আবেগময় কণ্ঠে বলেছেন তিনি,
‘তাঁর প্রার্থনা ও কল্যাণ কামনাই আজ আমাকে নিয়ে এসেছে এই জায়গায়। যিনি
আমার বিদায়ী ম্যাচে প্রথম বারের মতো মাঠে এসেছেন আমাকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা
যুগিয়েছেন।’<br />অজিতের কাছে আকুতি<br />বড় ভাই নীতিন ও অজিতের কথাও স্মরণ
করেছেন তিনি। বিশেষ করে অজিত টেন্ডুলকারের কথা স্মরণ করে শচীনের কণ্ঠ যেন
বাষ্পরুদ্ধ, ‘১১ বছর বয়সে অজিত দাদা আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্যার রামাকান্ত
আচরেকরের ক্লাসে। ক্রিকেটের বর্ণময় সুধা সেদিন থেকেই পান করছি আমি।’
জানিয়েছেন, ভাই অজিত কখনোই নাকি শচীনের প্রশংসা করেননি, পাছে যদি অহঙ্কার
ভর করে তাঁর মধ্যে। জীবনের শেষ টেস্টটি শেষ করে ভাইয়ের উদ্দেশে একটি কথাই
বললেন শচীন, ‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যা কিছু পেয়েছি, তার জন্য একটা
প্রশংসা তোমার কাছ থেকে এখন আমি পেতেই পারি। আমি তো আর কখনোই মাঠে ক্রিকেট
খেলতে নামবো না।’<br />বড় বোনের কাছে প্রথম ব্যাট পান<br />বড় বোনের ক্রিকেট
ব্যাট কিনে দেয়ার কথাটি ভোলেননি শচীন, ‘জীবনের প্রথম ক্রিকেট ব্যাটটি আমি
পেয়েছিলাম আমার দিদির কাছ থেকে। আজকের এই আমি যা কিছু পেয়েছি, তার
শুরুটা তো দিদিই করেছিল। ও-ই তো ক্রিকেট ব্যাটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল
আমায়।’<br />সেরা জুটি অঞ্জলির সঙ্গে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfioWOzgIPYeSxxcRYG2c4IRMWgdMLePWUZjLrGDm0bgXGR-dZg4Slosa1NQyPRoInBVF-k1awbUgp75jLToWh82T8seQMSDuohUMAcamaKLawGuL6fvSlO52fEwhk56AgefqRKydzjFYy/s1600/Sachin+Tendulkar_2.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfioWOzgIPYeSxxcRYG2c4IRMWgdMLePWUZjLrGDm0bgXGR-dZg4Slosa1NQyPRoInBVF-k1awbUgp75jLToWh82T8seQMSDuohUMAcamaKLawGuL6fvSlO52fEwhk56AgefqRKydzjFYy/s1600/Sachin+Tendulkar_2.jpg" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;"><br />স্কুল ক্রিকেটে বিনোদ কাম্বলির
সঙ্গে গড়েছিলেন রেকর্ড ৬৬৪ রানের জুটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাহুল
দ্রাবিড়ের সঙ্গে রয়েছে তার ২০টির অধীন বড় জুটি। এত বড় হয়তো নয়, দীর্ঘ দুই
যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাঁর আছে এমন অসংখ্য জুটি। জুটির পর জুটি গড়ে
তিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। তবে লিটল মাস্টারের
কাছে তাঁর সেরা জুটি প্রেমময় স্ত্রী অঞ্জলির সঙ্গেই। শচীন নিজেই জানিয়েছেন
কথাটা। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গতকাল নিজের বিদায়ী অনুষ্ঠানে
ক্রিকেট কিংবদন্তি জানান, তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তটা সেদিন, যেদিন
প্রথম দেখেছিলেন অঞ্জলিকে। অঞ্জলিকে শচীন প্রথম দেখেছিলেন মুম্বই
এয়ারপোর্টে, ইংল্যান্ড সফর থেকে ফেরার সময়। মুহূর্তের ভাল লাগা থেকে
পরিচয়, এরপর মন দেয়া-নেয়া। পাঁচ বছরের প্রেম পরিণয়ে রূপ নেয় ১৯৯৫ সালে।
বয়সে ছয় বছরের বড় অঞ্জলিকে বিয়ে করেন টেন্ডুলকার। বিয়ের পর অঞ্জলি মেহতা
হয়ে যান অঞ্জলি টেন্ডুলকার। গুজরাটের শিল্পপতি আনন্দ মেহতা ও বৃটিশ
সমাজকর্মী অ্যানাবেল মেহতার মেয়ে অঞ্জলি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন চিকিৎসক।
এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পেয়েছিলেন। হয়তো চিকিৎসা পেশায়ও ভাল
করতেন। কিন্তু বেশি দিন সেটা চালিয়ে যাননি অঞ্জলি। টেন্ডুলকারের জন্য
উৎসর্গ করেন নিজের সব স্বপ্ন, ক্যারিয়ার। টেন্ডুলকারের ভাষায়, ‘আমার
জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে, যেদিন প্রথম আমার স্ত্রী
অঞ্জলিকে দেখেছিলাম। আমি জানি, খুব ভাল একজন চিকিৎসক হতে পারতো অঞ্জলি। যখন
আমরা সন্তান নেয়ার কথা ভাবলাম, তখন ও দায়িত্বটা নিল। আমাকে বলল, ‘তুমি
তোমার ক্রিকেট চালিয়ে যাও। পরিবারে দায়িত্ব নেব আমি।’ অঞ্জলিকে ধন্যবাদ
দিয়ে লিটল মাস্টার বলেন, ‘আমি ওকে বলেছি, জীবনে যতজনের সঙ্গে জুটি গড়েছি,
এর মধ্যে তুমিই সেরা।’<br />এবার সন্তানদের সময় দিবেন শচীন<br />ব্যাট হাতে
তামাম দুনিয়া শাসন করেছেন শচীন। দেশ বিদেশ ঘোরার কারণে দুই সন্তানকে সময়
দিতে পারেননি এই মহানায়ক। তাইতো দুই সন্তান অর্জুন আর সারাকে এখন থেকে অনেক
সময় দেবেন বলে কথা দিলেন কিংবদন্তি। ক্রিকেটের ব্যস্ত সময়সূচি আদরের দুই
সন্তানের জীবন থেকে যে সময়টুকু কেড়ে নিয়েছে, শচীন কথা দিয়েছেন, তিনি তাঁদের
বাকি জীবনটাতে সেই অভাব পুষিয়ে দেবেন বেশ ভালভাবেই। <br />স্মরণ সতীর্থদেরও<br />যাদের
সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ বছর খেলেছেন। বিদায় বেলায় তাদের ভোলোননি শচীন। একে একে
মনে করেছেন রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণ, অনিম কুম্মলে ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে।
বর্তমান দলটিও ভূয়সি প্রশংসা করেছেন তিনি। ধোনির যোগ্য নেতৃত্বে ভারত দিন
দিন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা ধরে রাখতে পারলে ক্রিকেট দুনিয়াকে ভারতই শাষণ
করবে বিশ্বাস লিটল মাস্টারের। বিদায় বক্তৃতাটা আবেগে আপ্লুত হয়ে শুনেছেন
ওয়াংখেড়ের দর্শকেরা। আবেগে আপ্লুত টেলিভিশনের সামনে বসা লাখোকোটি
দর্শকেরাও। ক্রিকেট মাঠের গেট তার বিদায় অনুষ্ঠানেও প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন
মানুষ হিসেবেও তিনি কত বড়!</span></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-24217789894266188572013-11-10T17:42:00.000+06:002013-11-10T17:42:50.824+06:00ফেনীর সোনাগাজীতে সমকামী বিয়ের প্রস্তুতিকালে আটক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUeTBFpzlaIlV5_Qi6dZuO2jO_oT5f4-VvpSzMVkhR5eXUldH-0zb3FDng6y6MJItoanXqq5Ero8e0BhBvDmDTWOZKEl584VGlsaV6m0jXhmjJ8bNy48RRgEGEZGQVtFvsqja-0BH0e6wa/s1600/Jabed+Hosen-Mir+Hosen-Feni.JPG" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="290" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUeTBFpzlaIlV5_Qi6dZuO2jO_oT5f4-VvpSzMVkhR5eXUldH-0zb3FDng6y6MJItoanXqq5Ero8e0BhBvDmDTWOZKEl584VGlsaV6m0jXhmjJ8bNy48RRgEGEZGQVtFvsqja-0BH0e6wa/s320/Jabed+Hosen-Mir+Hosen-Feni.JPG" width="320" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চর গোপালগাঁও
গ্রামে সমকামী বিয়ের প্রস্তুতিকালে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও
এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, চরগোপালগাঁও গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে মীর
হোসেনের সঙ্গে দাগনভূঞা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের কবির আহাম্মদের ছেলে
জাবেদ হোসেনের একই দোকানে চাকরির সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের
মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অবশেষে শুক্রবার রাতে তারা উভয়ে বিয়ের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মীর
হোসেন (তাজ নাহার আক্তার সুবর্ণা) (১৮) পরণে শাড়ি, গহনা পরে বিয়ের জন্য
জাবেদের হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার এসআই
শ্রীবাস চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে রাতে চরগোপালগাঁও গ্রামের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে উভয়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ
ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ সুভাষ চন্দ্র পাল জানান,
আটককৃত দু’জনই পুরুষ। তাদের দু’জনকে ৫৪ ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে
জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-9424449762568070232013-10-30T20:03:00.000+06:002013-10-30T20:03:00.655+06:00গভীর রাতে ন্যান্সির বাসায় পুলিশের হানা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj6TYa3itVinnNXHNX0abbEua8Xo5fKCg9FNykxFP8kZA_NgbJakURcnO0-aVWFC5jA9bZhi8lvuvhqhI0n4t58uQpn6GosAHcLb65I54cJj363EA8a2cZdHkMW8PPfbNAL7i_2_DQvlWUJ/s1600/Nazmun+Munir+Nancy.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="196" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj6TYa3itVinnNXHNX0abbEua8Xo5fKCg9FNykxFP8kZA_NgbJakURcnO0-aVWFC5jA9bZhi8lvuvhqhI0n4t58uQpn6GosAHcLb65I54cJj363EA8a2cZdHkMW8PPfbNAL7i_2_DQvlWUJ/s320/Nazmun+Munir+Nancy.jpg" width="320" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">যা ভাবা হয়েছিল, তাই সত্যি হলো। মঙ্গলবার গভীর রাতে ন্যান্সির বাসায় পুলিশ হানা
দিয়েছে। পুলিশের দাবি, বাড়িতে লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসী। খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু
তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। সন্ত্রাসীকে কি সেখানে পুলিশ খুঁজে পেতো?
ন্যান্সির দাবি, ‘পাবে কোথা থেকে? আমি কি সন্ত্রাসী লালন করি?’ তিনি জানান, ক’দিন
আগে যে পুলিশ আমার বাড়ি পাহারা দিয়েছে, সেই পুলিশই এখন বাড়ি ভাঙ্গার হুমকি দিচ্ছে!
বলছে আমার বাড়িতে নাকি সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে!<br />কেন পুলিশের হানা? কি এমন অপরাধ
ন্যান্সির? তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে সন্ত্রাসী খুঁজতে যাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ
রাজনৈতিক। কারণ, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান
পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। সেখানে বিএনপিকে সমর্থন করার কথা জানান। একই সঙ্গে আওয়ামী
লীগ সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মূলত এরপর থেকে ফোনে, ফেসবুকে
এবং উড়ো খবরে ন্যান্সিকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কোন সময় তাকে গ্রেপ্তার
করা হতে পারেÑ এমনটিও শোনা যাচ্ছিল। ন্যান্সি বলেন, এখন আমি আতংকে দিন
কাটাচ্ছি।<br />মঙ্গলবার রাত প্রায় একটার দিকে নেত্রকোণা সদর থানা পুলিশের একটি দল
ন্যান্সির থাকার ঘর সার্চ করতে যায়। ন্যান্সি সন্ত্রাসী পুষেন এমন অভিযোগে তার
বাড়িতে সার্চ করার কথা জানায় পুলিশ। এ নিয়ে ন্যান্সির সঙ্গে মুঠোফোনে পুলিশ বাজে ও
আপত্তিকর আচরণ করে। পুলিশ ন্যান্সির ছোট ভাই সানিকে জানায়, তারা ন্যান্সির ঘর সার্চ
করবেন। বিষয়টি ন্যান্সিকে ফোনে জানালে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানায়,
গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে তাদের কাছে খবর আছে ন্যান্সি সন্ত্রাসী পালেন। এখন তার
বাড়িতে তল্লাশি করা হবে। কোন সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে পুলিশ বিশেষ
পরিস্থিতিতে সার্চ ওয়ারেন্ট লাগে না বলে জানায়। এ সময় ন্যান্সি ওয়ারেন্ট ছাড়া তার
ঘরে ঢুকতে দেবেন না বলায় পুলিশের ওই সদস্য ফোনে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ন্যান্সিকে।
ন্যান্সির আশঙ্কা, তাকে কোন একটা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে পুলিশ।
এমনকি স্বামী অথবা ভাইকেও হয়রানি করতে পারে তারা। তিনি বলেন, আমি কোনো নোংরা
রাজনীতির শিকার হতে চাই না।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-43940902101843070202013-09-14T22:33:00.000+06:002013-09-14T22:33:35.096+06:00নবাবের চির প্রস্থান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg11iC1zcnt0f49HbXJ2NFZ5c0eY_jSvF5y-J9Zd4uaRlBwbaZAyOZ16w82qWu5cFoMd4SFhx0nIbzBahc22r6OMM1MeY49nENrRtSc4P-yFzD5DE7Q0qh9BdCBBEbpQcRUaVBtxYQak8oo/s1600/Anwar+Hossain.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg11iC1zcnt0f49HbXJ2NFZ5c0eY_jSvF5y-J9Zd4uaRlBwbaZAyOZ16w82qWu5cFoMd4SFhx0nIbzBahc22r6OMM1MeY49nENrRtSc4P-yFzD5DE7Q0qh9BdCBBEbpQcRUaVBtxYQak8oo/s1600/Anwar+Hossain.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">খান আতা’র ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিটির মাধ্যমে কিংবদন্তি হয়ে ছিলেন
আমৃত্যু। তাকে বলা হয় বাংলার মুকুটবিহীন নবাব। নানামুখী চরিত্রে তার অভিনয়
সমৃদ্ধ করেছে বাংলা চলচ্চিত্রকে। তিনি অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। সবার
শ্রদ্ধার, সবার প্রিয় আনু ভাই অর্ধশতকেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে সরব
পদচারণার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জীবনের যবনিকা টেনেছেন।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এ কিংবদন্তী
অভিনেতার (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। আনোয়ার হোসেন
অসুস্থতা নিয়ে গত ১৮ই আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ পর চিকিৎসকরা
জানান, তেমন বড় কোন সমস্যা নয়। সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন তিনি ওই সপ্তাহেই।
বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় তার পিত্তথলিতে পাথর থাকার বিষয়টি সন্দেহ
করছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছিলেন, অস্ত্রোপচারের মতো শারীরিক
অবস্থা না থাকায় এভাবেই থাকতে হবে তাকে। একপর্যায়ে বাংলা চলচ্চিত্রের
কিংবদন্তি এ অভিনেতার উন্নত চিকিৎসায় দায়িত্ব নিয়েছিল সরকার। স্বয়ং
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিনেতার সুচিকিৎসার তদারকি করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য তার
আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এর আগে বিরোধীদলীয়
নেতা বেগম খালেদা জিয়া তাকে এক লাখ টাকা সহায়তা দেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল
হক ইনু এমপি তাকে দেখতে গিয়ে বিদেশে চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু
প্রিয় এই অভিনেতাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রখ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন
স্ত্রী নাছিমা খানম, চার ছেলে ও এক মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহীকে কাঁদিয়ে
চলে গেলেন। তার চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে থাকেন সুইডেনে। অন্য তিন ছেলে
থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। এই গুণীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে
আসে শোকের ছায়া। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা দেশ।<br />
<strong>এক জীবনে আনোয়ার হোসেন</strong><br />
আনোয়ার
হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ই নভেম্বর জামালপুরের সরুলিয়া গ্রামে। পিতা
নাজির হোসেন ছিলেন জামালপুরের সাবরেজিস্ট্রার। শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের বেশ
ক’বছর কেটেছে তার জামালপুরে। ১৯৫১ সালে জামালপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে
ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হয়ে মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে
পড়েন। ময়মনসিংহ ছেড়ে এক সময় ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা বেতারের নাটকে প্রথম
অভিনয় করেন ১৯৫৭ সালে। নাটকটির নাম ছিল ‘নওফেল হাতেম’। আনোয়ার হোসেন অভিনীত
প্রথম ছবি মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ ছবিটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
১৯৬৪ সালের ১লা মে ‘দুই দিগন্ত’ ছবিটি দিয়ে ঢাকার বলাকা প্রেক্ষাগৃহের শুভ
উদ্বোধন হয়েছিল। আনোয়ার হোসেনের অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ ছবির মধ্যে নবাব
সিরাজদ্দৌলার পর জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ উল্লেখ্যযোগ্য। রাজেন
তরফদার পরিচালিত ‘পালঙ্ক’ ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন সন্ধ্যা রায়। তার অসাধারণ
অভিনয় দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়
তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আনোয়ার হোসেন একজন বহুমাত্রিক অভিনেতা হিসেবে
প্রায় চারশত ছবিতে অভিনয় করেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্প একজন
কিংবদন্তি অভিনেতার পাশাপাশি একজন অভিভাবককেও হারালো।<br />
<br />
<strong>অর্জিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার</strong><br />
আনোয়ার হোসেন<br />
১৯৭৫
সালে প্রথম প্রবর্তিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত
‘লাঠিয়াল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এরপর তিনি পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ
করেন। ছবিগুলো হচ্ছে- গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), দায়ী কে (১৯৮৭) এবং
লালসালু (২০০১)। এছাড়াও বাংলাভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশন
চ্যানেল আই ২০০৯ সালে দ্বিতীয় ‘চ্যানেল আই’ চলচ্চিত্র মেলায় আনোয়ার হোসেনকে
আজীবন সম্মাননা প্রদান করে। সর্বশেষ ২০১০ সালে আনোয়ার হোসেনকে জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।<br />
<strong>বিভিন্ন সংগঠনের শোক</strong><br />
আনোয়ার
হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর
সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি), বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক
সংস্থা, ফিল্ম এডিটর গিল্ড, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি সিডাব, বুকিং
এজেন্ট সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, ফিল্ম জার্নালিস্ট
ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-40783930340521613182013-08-20T21:05:00.000+06:002013-08-20T21:05:37.176+06:00ফেসবুক আপনাকে কী দিচ্ছে?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOF8Zwm38rdvfHv8qyG-NBpFCENIfPT420IRVDf7iJTzhgAjKRGpiT_5HeGHMEtkVw389MgTsWhc2ys8C_eRQm9grYXKi6g5i_Yh71w2XOLwm8B2BG2637gCmySr0iGAz_p-S4vrw-4dDP/s1600/facebook+brings+depression.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="276" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOF8Zwm38rdvfHv8qyG-NBpFCENIfPT420IRVDf7iJTzhgAjKRGpiT_5HeGHMEtkVw389MgTsWhc2ys8C_eRQm9grYXKi6g5i_Yh71w2XOLwm8B2BG2637gCmySr0iGAz_p-S4vrw-4dDP/s320/facebook+brings+depression.jpg" width="320" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">ফেসবুক আপনাকে কী দিতে পারে? গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের ব্যবহার আপনাকে
দিতে পারে একরাশ দুঃখ আর হতাশা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষকেরা এ দাবি করেছেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মার্কিন
গবেষকেরা ৮২ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণালব্ধ
ফলাফলের বরাত দিয়ে গবেষকেরা জানান, ব্যবহারকারীরা যত বেশি সময় ফেসবুক
ব্যবহার করেন, তত বেশি তাঁরা নিজের জীবন নিয়ে হতাশ হন, আর নিজের দুঃখ
বাড়িয়ে তোলেন।<br />আপনি যখন আপনার কোনো বন্ধুর ফেসবুক পোস্টটিকে পছন্দ
করছেন, মনে মনে এর অর্থ কী তা ভাবছেন? ফেসবুক বন্ধুর হাসি-খুশি, আনন্দময়
জীবনের উচ্ছ্বাসভরা কোনো মন্তব্য আপনার জীবনের বেদনার নীল রং হয়তো আরও
গাঢ় করে তুলছে। এ রকম শুধু যে আপনি একা ভাবেন, তা কিন্তু নয়। এ রকম ভাবনা
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাঁদের
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখেছেন, মানুষ যত বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন, নিজেদের
দুর্দশা ততই বাড়িয়ে তোলেন তাঁরা।<br />ফেসবুক নিয়ে মানুষের আবেগ ও অনুভূতি
পরীক্ষা করতে গিয়ে গবেষকেরা এক সপ্তাহ ধরে প্রাপ্তবয়স্ক ৮২ জন ফেসবুক
ব্যবহারকারীকে দিনে পাঁচটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে
গবেষকেরা দেখেছেন, অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারে মানুষের জীবন নিয়ে
সন্তুষ্টির বিষয়টি ক্রমশ কমতে দেখা যায়। এর বিপরীতে মুখোমুখি
দেখা-সাক্ষাত্ মানুষকে তাঁর জীবন সম্পর্কে উত্সাহী করে তোলে। এ প্রসঙ্গে
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ এথান ক্রস জানান, ১০০ কোটিরও বেশি
মানুষের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটিতে সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায়
অর্ধেক। সামাজিক যোগাযোগে ফেসবুকের ভূমিকা থাকলেও তরুণ ও যুবকদের মধ্যে
হতাশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রে
‘ফেসবুক-ঘটিত ঈর্ষা’ তরুণদের মানসিক কষ্ট বাড়াচ্ছে। অন্যান্য ফেসবুক
বন্ধুদের চমকপ্রদ ডিজিটাল জীবনব্যবস্থা দেখে নিজেকে তুচ্ছ মনে করছেন অনেকে।<br />সাম্প্রতিক
এ গবেষণার ফলাফল সমর্থন করে—এমন গবেষণা অতীতেও হয়েছিল। এর আগে ২০১২ সালে
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক দল গবেষক জানিয়েছিলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যত বেশি
ফেসবুকে লগ ইন করেন, তত বেশি নিজের জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নেন
তাঁরা। তাঁদের সব সময় এ ধারণা হয় যে, তাঁর চেয়ে বন্ধুরা অনেক বেশি ভালো
আছে! চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জার্মান গবেষকেদের এক গবেষণায় এ তথ্য
উঠে এসেছিল। গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, মানুষ যত বেশি সময় ফেসবুকে কাটায়,
ততই তাঁর ঈর্ষা বাড়ে, একাকিত্ব বোধ হয় ও রাগে ফুঁসতে থাকে। ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় না কাটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মুখোমুখি যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-51075720188900973832013-07-24T15:21:00.000+06:002013-07-24T15:21:05.473+06:00বাংলাদেশে দুই তরুণীর বিয়ে! <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihyphenhyphenR9_XhU7L6ClGGyIIBbLlGzxYq_6i-I_0q08fWddQDHN1xfAgT8XF2AvHkyNDyasZBeyVpFoFlgU6zSh-k_LuEdGysf95thyphenhyphenluKNjZkcn7Ar-YOL6QVynHfF_v9OB87OMqk_JFFA-Ppf/s1600/Puja-Sanjida.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="277" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihyphenhyphenR9_XhU7L6ClGGyIIBbLlGzxYq_6i-I_0q08fWddQDHN1xfAgT8XF2AvHkyNDyasZBeyVpFoFlgU6zSh-k_LuEdGysf95thyphenhyphenluKNjZkcn7Ar-YOL6QVynHfF_v9OB87OMqk_JFFA-Ppf/s320/Puja-Sanjida.jpg" width="320" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">একদমই নজিরবিহীন এক প্রেম! বিপরীত লিঙ্গের নয়, বরং সমলিঙ্গের দু'জন মানুষ জড়িয়েছে
পরস্পরের প্রেমে। শুধু কি প্রেম, সে প্রেম রীতিমতো পরিণয়ে গড়িয়েছে। হ্যাঁ, মালাবদল
করে দুই তরুণী, সানজিদা আর পূজা, ঘরও বেঁধেছেন গোপনে। এরপর এ নিয়ে হয়ে গেল কত না
নাটক, থানা-পুলিশ, লোক জানাজানি! <br />পশ্চিমা সমাজে হলে খুব একটা অবাক হতো না কেউ।
কেননা সেখানে নারী সমকামিতা বা লেসবিয়ান প্রেমের নজিরও ভূরি ভূরি। কিন্তু ব্যাপারটা
যে ঘটেছে বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে। সমাজের ট্যাবু ভাঙা এই বিরলতম ঘটনাটি তাই
ভুরু কপালে তুলে দিয়েছে সংশ্লিষ্টদের।<br />পিরোজপুর জেলার দুই তরুণী শ্রাবন্তী রায়
পূজা (১৬) ও মোসাম্মত্ সানজিদা (২১)। টানা ক'বছর ধরে প্রেম করে গেছেন দু'জনে-নিভৃতে,
গোপনে। তাদের পরিচয়টা হয়েছিল মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে। দিনে দিনে তাদের সখ্য রূপ নেয়
প্রেমে। তারপর তার সিদ্ধান্ত নেয় দূরে কোথাও পালিয়ে গিয়ে ঘর বাঁধবে। যেমন বলা তেমনই
কাজ।<br />গত ১৪ জুলাই ঘর ছেড়ে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় চলে আসেন দু'জন। রাজধানীর
মোহাম্মদপুরের মোহম্মদীয়া হাউজিংয়ের ৫ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসা 'ময়না ভিলা'য়
'সুখের ঠিকানা'য় ভাড়া নেন।<br />এদিকে শ্রাবন্তী রায় পূজার বাবা কৃষ্ণকান্তি শীল
মেয়েকে না পেয়ে গত ২০ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি
মামলা দায়ের করেন।<br />মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক
(এসআই) বাদল কৃষ্ণ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য সোর্স নিয়োগ করেন। তিনি জানতে
পারেন পূজাকে 'অপহরণকারী' আর কেউ নন, তিনিও আরেকজন নারী। তার নাম মোছা.
সানজিদা।<br />তাদের মোবাইল ট্রেকিং করে তিনি জানতে পারেন তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে
একটি বাসায় অবস্থান করছেন। পরে র্যাব-২ এর সহযোগিতায় সানজিদা ও পূজাকে মঙ্গলবার
দুপুরে ময়না ভিলা থেকে আটক করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের প্রেমের বিষয়ে জানা যায়
চাঞ্চল্যকর তথ্য।<br />সানজিদা পিরোজপুর গভর্নমেন্ট সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্সের
ছাত্রী। সানজিদা র্যাবকে জানান, তারা একে অপরকে দীর্ঘ দিন ধরে ভালোবেসে আসছিলেন।
শেষমেশ ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় পালিয়ে আসেন দু'জনে।<br />পূজাও
র্যাব কর্মকর্তা লে. সাজ্জাদকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে বলেছেন, 'একটা ছেলে যদি
একটি মেয়েকে ভালো বাসতে পারে, তবে একটা মেয়ে কেন আরেকটা মেয়েকে ভালোবাসতে পারবে
না?'<br />'ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে আমরা ঢাকায় এসেছি। হিন্দু শাস্ত্র মতে সোমবার
সন্ধ্যায় ওই বাসায় সিঁদুর পরিয়ে সানজিদা আমাকে বিয়ে করেছে।'<br />পূজা নিখোঁজ হওয়ার
পর তার বাবার দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদল
কৃষ্ণ হতবাকই হয়েছেন শুধু। কারণ এমন অদ্ভুতুড়ে কা- তিনি কস্মিনকালেও দেখেননি বা
শোনেননি।<br />এসআই কৃষ্ণ বাংলানিউজকে তার বিস্ময় মেশানো প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে
বলেন, 'প্রথমে আমি মনে করেছিলাম পূজাকে কোনো প্রেমিক এসে নিয়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু
তদন্ত করে গিয়ে দেখি, এত আরেক নারী সানজিদা। আর সেই হলো কিনা পূজার
প্রেমিক!'<br />তিনি বলেন, মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে আমরা যখন তাদের সন্ধান পাই তখন
র্যাব-২ এর সহায়তায় তাদের আটক করি।<br />র্যাব-২ এর লে. সাজ্জাদ জানান, 'তাদের
উদ্ধার (আটক) করার পর তাদের কথাবার্তা শুনে অবাক হয়েছি। কারণ একটি ছেলে একটি মেয়েকে
ভালোবাসে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটি মেয়ে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে ঘর বেঁধেছে -
এমনটা তো এদেশে স্বপ্নেও বিরল।'<br />উদ্ধারের পর দু'জনকে র্যাব-২ শিয়া মসজিদ
ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পূজার বাবার করা মামলার
সূত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআইর বাদল কৃষ্ণের কাছে সোপর্দ করা হয়। বাদল তাদের
নিয়ে পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। </span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">সানজিদার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ও পূজার
বাড়ি পিরোজপুর সদর থানার কুমুড়িয়া গ্রামে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মেয়ে দুটিকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা যে ভুল করেছে তা বোঝানো হবে। </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-27665031263974431952013-07-16T17:51:00.001+06:002013-07-16T17:59:34.898+06:00জটিল রোগ নেই, তবু হাসপাতালে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="mobile-photo" style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpULaDAL-gfu1Hs86BaoNw08wRM8kkpQyF2-sbK_RVz2_zHiBOqrmj8BItQYY03h8ln3ZPIZUmXx4ZHuC_Z5bg93wd_ZMl8-U9afFdFK5XE5rdk540s_LatWkdMzElY32z-QgWfxeZ0WY1/s1600/Ghulam+Azam-711576.jpg" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5901179885695093650" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpULaDAL-gfu1Hs86BaoNw08wRM8kkpQyF2-sbK_RVz2_zHiBOqrmj8BItQYY03h8ln3ZPIZUmXx4ZHuC_Z5bg93wd_ZMl8-U9afFdFK5XE5rdk540s_LatWkdMzElY32z-QgWfxeZ0WY1/s320/Ghulam+Azam-711576.jpg" /></a></span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">কোনো জটিল রোগে ভুগছেন না মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া গোলাম আযম। এর পরও গ্রেপ্তার হওয়ার গত ১৯ মাসে একটি দিনও কারাগারে থাকতে হয়নি তাঁকে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এই আমিরকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে। </span><br />
<span style="font-size: large;">জটিল রোগ না থাকা সত্ত্বেও গোলাম আযমকে এভাবে হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিত্সাধীন রাখার কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তাঁকে কখন, কবে কারাগারে স্থানান্তর করা হবেএ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।</span><br />
<span style="font-size: large;">বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক আবদুল মজিদ ভূইয়া প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, 'আজ সকালেও তিনি সুস্থ ছিলেন। গতকাল আদালতে নেওয়ার আগে আমরা তাঁর রক্তচাপ, নাড়ি পরীক্ষা করে দেখেছি। তিনি সুস্থ ছিলেন। গত ১৯ মাসে একবারের জন্যও তিনি জটিল কোনো রোগে ভোগেননি।' </span><br />
<span style="font-size: large;">২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে আসার পর বিভিন্ন সময়ে গোলাম আযমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তিনি রেকর্ড দেখে এই প্রতিবেদককে জানান, তাঁর রক্তচাপ এখন স্বাভাবিক। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন। তাঁর হূদযন্ত্র, কিডনি, যকৃত্ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। এমআরআই রিপোর্টে তাঁর কোমরে কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। এটি বার্ধক্যজনিত। তিনি খুব নিয়মমাফিক এবং ভালো খাওয়া-দাওয়া করছেন।</span><br />
<span style="font-size: large;">তার পরও গোলাম আযম বিএসএমএমইউতে কেনএমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র বলেছে, গোলাম আযমকে কারাগারে স্থানান্তরের বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। গোলাম আযমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। এখন বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ মনে করলে তাঁকে কারাগারে পাঠাতে পারে।</span><br />
<span style="font-size: large;">এ ব্যাপারে কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী বলেন, বিএসএমএমইউ গোলাম আযমকে ছেড়ে দিলেই কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ে আসবে। </span><br />
<span style="font-size: large;">এর আগে গত বছরের ১১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমকে কারা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই দিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান। সেখানে তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর গোলাম আযমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএসএমএমইউতে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। </span><br />
<span style="font-size: large;">পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ দুই দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগারকে জানায়, গোলাম আযম সুস্থ। এক দিন পর জামায়াতের এই সাবেক প্রধানের আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদনগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এরপর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি ওই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকবেন। </span><br />
<span style="font-size: large;">আজ গোলাম আযমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মেডিসিন অনুষদের ডিন এম বি এম আবদুল্লাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মানসিকভাবে তিনি খুব শক্ত আছেন। তবে তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাঁর পিত্তথলিতে পাথর আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে চোখ ও নাকে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারাগারে যাওয়ার জন্য তিনি উপযুক্ত কি না, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। </span><br />
<span style="font-size: large;"><br /></span>
<span style="font-size: large;">গোলাম আযমের খাওয়া-দাওয়া: সূত্রগুলো জানায়, গোলাম আযমকে প্রথম দিকে বাসা থেকে খাবার পাঠানো হতো। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে পরিবারকে জানায়, বাসা থেকে সরবরাহ করা খাবারে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।</span><br />
<span style="font-size: large;">এরপর পরিবার থেকে আর খাবার পাঠানো হচ্ছে না। তবে গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে গত বছরের ৪ মার্চ তাঁর খাবারের তালিকা ঠিক করে পাঠান। সে অনুযায়ী সরকারি খরচে অন্যান্য রোগীর চেয়ে আলাদা ও উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে তাঁকে।</span><br />
<span style="font-size: large;">গোলাম আযমের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে সকালের নাশতায় লাল আটার চার-পাঁচটি রুটি, সঙ্গে ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সবজি ভাজি, মুরগির মাংস (কারি/ভুন), মিষ্টি, এনসিওর দুধ ও কলা দেওয়ার অনুরোধ জানান।</span><br />
<span style="font-size: large;">সৈয়দা আফিফার দেওয়া তালিকায় গোলাম আযমের জন্য দুপুরের খাবারে রয়েছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি বা চিংড়ি মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছ ভুনা, সালাদ ও লেবু, মাল্টা বা বরই বা নাশপাতি। সন্ধ্যার খাবারের তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, নিমকি-বিস্কুট ও হরলিকস বা স্যুপ।</span><br />
<span style="font-size: large;">রাতের খাবারের তালিকায় রয়েছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ঢ্যাঁড়শ বা মিষ্টিকুমড়া বা পেঁপে ভাজি, গরু বা খাসির মাংস ভুনা, সালাদ ও লেবু এবং কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙুর বা বরই।</span><br />
<span style="font-size: large;">বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোলাম আযমের স্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নতুন তালিকায় খাবার সরবরাহ করতে শুরু করে। </span><br />
<span style="font-size: large;">এ তালিকায় রয়েছে সকাল নয়টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় দেওয়া হয় খিচুড়ি, সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা দুইটায় দেওয়া হয় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার। বিকেলে নাশতায় তাঁকে সরবরাহ করা হচ্ছে স্যুপ ও ফল। রাত আটটায় দেওয়া হয় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">শেখ সাবিহা আলম</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">প্রথম আলো</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">তারিখ: ১৬-০৭-২০১৩</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-84817500586796279062013-07-02T21:59:00.000+06:002013-07-02T21:59:28.149+06:00অভিনেত্রী মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - নেপথ্যে স্বামীর পরকীয়া!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-hZu3pVekCMMDaATV93JllAoVlbY20tE16IoiccZHogHCgpTJ4dOt2D_E-AoGP4R4daQeuUFcw2qQzYHYXX2CzR5dXAkCiU-408E781OIW1_ntJNf3-jubIzc1H7my_IkICcLnnRt8-zD/s683/Mita_Noor.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-hZu3pVekCMMDaATV93JllAoVlbY20tE16IoiccZHogHCgpTJ4dOt2D_E-AoGP4R4daQeuUFcw2qQzYHYXX2CzR5dXAkCiU-408E781OIW1_ntJNf3-jubIzc1H7my_IkICcLnnRt8-zD/s320/Mita_Noor.jpg" width="215" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে অভিনেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন না কি এটা হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মিতা নূরের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ তার গুলশান-১ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে ড্রয়িং রুমের ফ্যানের সঙ্গে মিতা নূরের লাশ ঝুলতে দেখেন তারা।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">পারিবারিক কলহের জের ধরে সদা হাস্যোজ্জ্বল জনপ্রিয় টিভি নায়িকা ও মডেল মিতা নূরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন, না তাকে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে— এ প্রশ্ন অনেকেরই। কোনও-কোনও সূত্র বলছে, ব্যবসায়ী স্বামীর পরকীয়া নিয়ে মিতা নূর দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ জট পাকায়। এর চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবেই জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়। ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ মিতা নূরের স্বামী বায়িং হাউস ব্যবসায়ী শাহনূর রহমান রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদিকে গতরাতে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান তার মেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।<br /><br />গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভোরে মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান রানা থানায় ফোন করে জানান— মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে পুলিশ গুলশান-২ লেকভিউর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টের ৬ তলায় অবস্থিত মিতা নূরের বাসায় যায়। সেখানে ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফ্যান থেকে মিতা নূরের মৃতদেহ নামায় পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল আসেন এবং মৃতদেহের ছবি তোলেন। জব্দ করেন বেশকিছু আলামত।<br /><br />জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই মিতা নূর চরম পারিবারিক কলহের মধ্যে ছিলেন। মাঝে মধ্যেই স্বামী শাহনূর রানার সঙ্গে বাগিবতণ্ডা হত। কিন্তু কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই কলহ এ বিষয়ে পুলিশ ও পরিবারের কেউ মুখ খুলছেন না। একটি সূত্র অবশ্য বলেছে, মিতা নূর তার স্বামীকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে কলহের শুরু। তাদের মধ্যকার পারিবারিক কলহের বিষয়টি ঢাকার পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পুলিশ কমিশনার গুলশান থানার ওসিকে তাদের মধ্যকার বিবাদ মেটানোর দায়িত্ব দেন। গত রোববার মহানগর পুলিশের অপরাধ সভা থেকেও কমিশনার এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান ওসির কাছে। কিন্তু প্রাণপণ চেষ্টা করেও পুলিশ দু’জনার দূরত্ব কমাতে পারেনি। সূত্র এও বলেছে, মিতা নূরের এক বোনের সঙ্গে তার স্বামী শাহনূরের পরকীয়া ছিল। এ পরকীয়া এতটাই গভীর হয়েছিল যে, তাকে ছাড়া কিছু বুঝত না তার স্বামী। ওই বোনের সঙ্গে ঘন-ঘন টেলিফোনে কথাবার্তার সূত্র ধরেই মিতা নূরের কাছে স্বামীর পরকীয়া ধরা পড়ে। মিতা নূর স্বামীকে এ পথ থেকে ফেরাতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে এর আগে দু’বার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।<br /><br />এদিকে মিতা নূরের লাশ ময়নাতদন্তের পর গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর যত কারণ থাকে তার সবই মিতা নূরের দেহে পাওয়া গেছে। এছাড়া শরীরের বাইরে বা ভেতরে কোনও ধরনের জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, তবে এ মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীর অংশবিশেষ রাসায়নিক পরীক্ষার (ভিসেরা) জন্য রাখা হয়েছে।<br /><br />মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হত। মেয়েজামাই মিতার ওপর অত্যাচার করত। তাদের দুটি বড় ছেলে থাকায় আমরা এ নিয়ে ভাবতাম না। তবে সকালে টিভি স্ক্রল দেখে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই।<br /><br />গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আজম জানান, গত শনিবার মিতা নূর নিকেতন ৩ নম্বর সড়কে স্বামী রানার বায়িং হাউসে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে বলে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মিতা নূর ও তার স্বামী পুলিশকে জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পুলিশের আর দরকার নেই। তখন পুলিশ চলে আসে। নূরে আজম আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে মিতা মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সদা হাস্যোজ্জ্বল মিতা নূরের সংসারে ২ ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে সেজানুর তাউস প্রিয় (১৬) উত্তরার আগা খান ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে এবার ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দিয়েছে আর ছোট ছেলে সাদমান রহমান পৃথ্বী (১২) গুলশানের সি-ব্রিজ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে।<br /><br />এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাত দাবি করে মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান রানা বলেন, শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে আমরা একে অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার ছিলাম। মিতা কখনও তার সমস্যা নিয়ে আমার সঙ্গে শেয়ার করেনি। সে কিছুদিন ধরে শুটিংয়ে না গিয়ে বিষণ্নচিত্তে প্রায় সময়ই ঘুমিয়ে থাকত। কখনও-কখনও ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমাত। এ বিষয়ে মিতার কাছে জিজ্ঞাসা করলেও কিছু বলত না। রানা আরও বলেন, গত ২৩ জুন বিবাহবার্ষিকীতে মিতা ও ২ ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে বাইরে হোটেল লাঞ্চ ও ডিনার করি।<br /><br />গত রোববারের ঘটনা প্রসঙ্গে রানা জানান, সকালে সবাই একসঙ্গে নাস্তা করি। পরে আমি অফিসে যাই। বিকালে ফিরে দেখি মিতা শুয়ে আছে। জানতে পারি ও পায়ে ব্যথা পেয়েছে। সে সময় জোর করেই ওকে ব্যথার ওষুধ খেতে দিই। এরপর রাত ১০টায় বাসায় ফেরার সময় সিঁড়ির পাশে কতগুলো ঘুমের ওষুধের পাতা পড়ে থাতে দেখি। এ নিয়ে মিতাকে কিছুই বলিনি। তখনও মিতা শুয়েছিল। এরপর বড় ছেলে প্রিয়কে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ড্রয়িংরুমে গল্প করে ঘুমাতে এসে দেখি মিতা মোবাইলে গান শুনছে। তখন গান বন্ধ করে দু’জন একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি। রানা আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ছোট ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে গিয়ে ঘুম থেকে উঠে ড্রয়িংরুমে দেখি সে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তখন পুলিশে খবর দিই। মিতা নূরের গাড়িচালক সবুজ বলেন, সকাল ৭টার দিকে সাহেবের ছোট ছেলে পৃথ্বীকে স্কুলে নিতে বাসায় এলে স্যার বলেন, তোমার ম্যাডাম তোমার সঙ্গে তো খারাপ ব্যবহার করত। এখন থেকে আর করবে না। এরপর স্যারের সঙ্গে ড্রয়িংরুমে গিয়ে ম্যাডামের ঝুলন্ত লাশ দেখি। তিনি আরও বলেন, কী কারণে ম্যাডাম মারা গেছে জানি না। তবে মাঝেমধ্যেই ম্যাডাম টেলিফোনে রাগারাগি করত। <br /><br />বাসার গৃহপরিচারিকা হালিমা বলেন, প্রায়ই স্যার ও ম্যাডামের মধ্যে তর্কবিতর্ক হত। তবে ঝগড়া বা মারধরের বিষয়টি তিনি দেখেননি।<br /><br />এদিকে মিতা নূরের মৃত্যুর খবরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিতা নূরের বাসায় ছুটে যান অভিনেতা তারিক আনাম, অভিনেত্রী তারানা হালিম এমপি, দীপা খন্দকার, রোকেয়া প্রাচীসহ নাট্যঙ্গনের অনেকেই।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-11801405900286282302013-05-11T20:32:00.000+06:002013-05-11T20:32:06.351+06:00মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrZH73q3cmVHGOJoXkEGJBV7zXOwdfuBUWjcMDrQtXNfXRy7u-ZAZHNpbsYTMz_O47DJNiTdvayhYhPEufArBY61HeaEsJ8p2sl-RprUa-Yyg2zKZkz3RUDHsHZNLfNwb_1mPnnuyDKKvN/s1600/Reshma.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrZH73q3cmVHGOJoXkEGJBV7zXOwdfuBUWjcMDrQtXNfXRy7u-ZAZHNpbsYTMz_O47DJNiTdvayhYhPEufArBY61HeaEsJ8p2sl-RprUa-Yyg2zKZkz3RUDHsHZNLfNwb_1mPnnuyDKKvN/s400/Reshma.jpg" width="340" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;"><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার হয়ে মৃত্যুকে জয় করলেন গার্মেন্টকর্মী রেশমা। মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমাকে এক ঘণ্টা চার মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে জীবিত ও অনেকটা সুস্থ অবস্থায় বের করে আনে উদ্ধারকারী দল। রেশমা রানা প্লাজার তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেডের অপারেটর ছিলেন। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জের তুশগাড়ি গ্রামে। </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;"></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">রেশমার
সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে তিনি তৃতীয় তলায় ছিলেন। পরে ফাঁক দিয়ে
নিচে নেমে আসেন। ওই সময় তাঁর আশপাশে কোনো জীবিত মানুষ ছিল না। দুর্ঘটনার
পর কত দিন গেছে তা-ও বলতে পারছেন না রেশমা। রেশমা যেখানে ছিলেন সেখানে তিনি
হাঁটতে পেরেছেন, বসতে পেরেছেন। এক বোতল পানি শেষ করেছেন কয়েক দিন ধরে।
এরপর দেয়াল টপকে পড়া পানি পান করেছেন। পানিতে গন্ধ থাকার কারণে এক পর্যায়ে
ওই পানি পান বন্ধ করে দেন রেশমা। তিনি আরো বলেন, পাশে অনেক লাশ ছিল। কিন্তু
তিনি লাশের কাছ থেকে দূরে সরে ছিলেন। লাশের গন্ধ সহ্য করতে পারছিলেন না।<br />
রেশমাকে উদ্ধারের অভিযানে থাকা সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, রেশমা দ্বিতীয় তলার
একটি খোলা কক্ষে আটকে থেকে ভাগ্যগুণে বেঁচে ছিলেন। সেই স্থানেও ছিল আলো ও
বাতাসের স্বল্পতা।</span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">
কিভাবে এত দিন বেঁচে ছিলেন? রেশমা বলেন, 'পানি খাইয়া ছিলাম স্যার। একটা বড়
বোতল পাইছিলাম। ওইটা একটু একটু কইরা খাইছি, য্যান শেষ না হইয়া যায়। ওই
পানিও এক সময় শেষ হইয়া গ্যাছে। দেওয়ালের পানি খাইছি। পরে আর গন্ধে খাইতে
পারি নাই।' সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) প্রচণ্ড কড়াকড়ি ও
গণমাধ্যমের জটলার ভিড়ে ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকারে রেশমা তাঁর ৪০৮ ঘণ্টা বেঁচে
থাকার সংগ্রামের কথা এভাবেই জানালেন। </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">'আমি
ভাবি নাই বাঁচমু। বাঁচার জন্য পাগলের মতো করছি। কোনো মানুষের সাড়া পাই
নাই। কাঁদতেও পারি নাই। আমার আল্লাহ আমারে বাঁচাইছে।' হাসপাতালের বিছানায়
শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন রেশমা। আরো বলেন, 'টিভির ক্যামেরা, কত মানুষ। আর কতক্ষণ আগেও ভাবছি,
পৃথিবীর আলো দেখতে পামু না। উদ্ধারকারী ভাইদের দোয়া করি, তাঁরা যদি আমারে
না দেখতেন তাইলে আমি শেষ হইয়া যাইতাম।'</span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">
তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, আর বাঁচবেন না। তাই মানসিক বিপর্যয় আর কষ্টে নিজের
মাথার চুল নিজেই কেটেছেন তিনি। চুল কেটেছেন কেন জানতে চাইলে রেশমা বলেন,
'আমি তো মনে করছিলাম বাঁচবই না, চুল দিয়া কী হবে। চুলের জন্য নড়তে পারছিলাম
না। তাই কাপড় কাটার কাঁচি দিয়া চুল কাটছি।' ১৭ দিন পর উদ্ধার হয়েছেন শুনে
নিজেও বিস্মিত রেশমা। বলেন, '১৭ দিন হইছে বুঝি নাই। তবে মনে করছি অনেক দিন
হইয়া গ্যাছে। কেউ আমারে আর খুঁজব না। আমি মইরা যাচ্ছি।' কিভাবে ছিলেন-
জানতে চাইলে রেশমা জানান, তিনি তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। ভবনধসের পর একটি অংশ
দেবে নিচে পড়ে যান তিনি। এর কয়েক দিন পর অন্ধকারে খোঁজাখুঁজি করে একটি ফাঁক
পান তিনি। ওই পথ দিয়ে নিচে নামেন। পরে তিনি একটি খোলা ঘর দেখেন। সেখানে
কেউ ছিল না। আশপাশ থেকে শুধুই লাশের গন্ধ আসছিল। জায়গাটি এমন অন্ধকার ছিল
যে দিন নাকি রাত বোঝা যাচ্ছিল না। বাতাস না থাকায় বারবার দম বন্ধ হয়ে
যাচ্ছিল। ছোট একটি ফাঁক দিয়ে বাতাস আসত বলে ধারণা তাঁর। তবে সেই ফাঁকটি
তিনি খুঁজে পাননি। এর মধ্যে কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন রেশমা। জ্ঞান
ফেরার পর আল্লাহর নাম জপেছেন। শেষ সময়ে আর নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। কাল
হঠাৎ উদ্ধারকারীদের তৈরি একটি ফাঁক গলে আলো এসে পড়ে তাঁর পাশে। এরপর বাঁচার
তাগিদে সাহায্য চাইতে উঠে দাঁড়ান রেশমা। একটি লাঠিতে কাপড়ের টুকরো বেঁধে
ওই ফাঁক দিয়ে বাইরে বের করে নাড়ান। তবে সেদিকে কেউ আছে কি না তা তিনি তখনো
জানতেন না। কিছু সময় পর যন্ত্রের শব্দ তাঁর কানে যায়। দেখা মেলে
উদ্ধারকারীদের। রেশমা জানান, নামার সময় তিনি পায়ে একটু ব্যথা পেয়েছেন। এ
ছাড়া দুর্বলতার কারণে তিনবার তিনি পড়েও গেছেন। বেশ কিছু সময় পর নিজের
চেষ্টাতেই উঠে দাঁড়ান রেশমা।</span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">যেভাবে
সন্ধান - গতকাল ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিট। রানা প্লাজার সামনের
দিকটায় ভেকুর সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। হঠাৎ একজন উদ্ধারকারী
চিৎকার করে ওঠেন, 'স্যার, জ্যাতা মানুষ দেখা যায়- এইখানে আসেন। মেশিন বন্ধ
করেন।' রেশমাকে প্রথম দেখা ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ রুবেল, ঢাকা সিটি
করপোরেশনের ড্রামট্রাক চালক। রুবেলের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান সেনাবাহিনীর
ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুর রাজ্জাক। তিনি জমে থাকা পানির পাশে দালানের নিচের
অংশের ফাঁক দিয়ে একটি লাঠি নড়তে দেখেন। এগিয়ে গিয়ে তিনি দেখেন, দূরে দুটি
চোখ দেখা যাচ্ছে। রাজ্জাক শুনতে পান তাঁর উদ্দেশে বলা হচ্ছে, 'স্যার, আমাকে
বাঁচান। পানি দেন, খাবার দেন।' রাজ্জাক ছুটে যান সেখানে দায়িত্বরত মেজর
মোয়াজ্জেম হোসেন ও মেজর দেলোয়ার হোসেনের কাছে। এই দুই সেনা কর্মকর্তা তখন
উদ্ধারকাজের পর্যায় ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিককে।
অবিশ্বাস্য খবরটি পেয়ে দুই সেনা কর্মকর্তা ছুটে যান। </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">
স্বজনরা জানিয়েছেন, রেশমার বাবা মৃত আনসার আলী। মা জবেরা খাতুন। বাড়ি
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার তুষগাড়ি গ্রামে। রেশমার স্বামীর নাম আবদুর
রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি যশোরের মণিরামপুরে। তাঁরা সাভারে ব্যাংক কলোনি এলাকায়
থাকতেন। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে রেশমা সবার ছোট। তাঁকে ফিরে পেয়ে
স্বজনরা এখন আনন্দাশ্রুতে ভাসছেন। বড় বোন আসমা কালের কণ্ঠকে বলেন, '১৭ দিন
হাতে ছবি নিয়া বোনরে খুঁজতাছি। মনে করছি মইরাই গেছে। লাশের জন্য মাঠে বইসা
থাকছি। মর্গে গেছি। বাঁইচা আছে শুইনা কলিজাটা এখন কেমন জানি লাগতাছে।
আল্লাহ রহমত করছে।' বোনকে দেখে আইসিইউ থেকে বের হয়ে এসে তিনি বলেন, 'ও
আমারে চিনতে পারছে। ও বলছে, এইটা আমার বড় বোন। ও ভালো আছে।'</span><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhP3nVaVrLyD76SFcI-4FDEdsaLd7_JqHu7WAygQfhE1y4pPSVdMyzgf4pYrTmci3EPsNbS5ORozrroDo4Zhss3tGEa9hrpaHLhMDry1MbqSgZywCJ1FkKscpF5Jb8B9AgAQaMqYe6X_QsO/s1600/Reshma+with+PM.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="198" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhP3nVaVrLyD76SFcI-4FDEdsaLd7_JqHu7WAygQfhE1y4pPSVdMyzgf4pYrTmci3EPsNbS5ORozrroDo4Zhss3tGEa9hrpaHLhMDry1MbqSgZywCJ1FkKscpF5Jb8B9AgAQaMqYe6X_QsO/s320/Reshma+with+PM.jpg" width="320" /></a></div>
<span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">সন্ধ্যায় রেশমাকে দেখতে সাভার সিএমএইচে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিও রেশমাকে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দেশবাসীকে দোয়া করার আহবান জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন : রেশমাকে উদ্ধারের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, উদ্ধারকারীরা অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রপতি রেশমার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;"></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;"> </span></span></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-7541874879287431382013-05-05T20:50:00.000+06:002013-05-05T20:50:48.764+06:00মৃত্যুর কোলে ৪ দিন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh0XhHtBiEPncL58qiaUJEeN1Zavz9klSWIpMjb98m_AAUZhuYDNfcluxQELX2B5gfaBwBOgas9KI-PxohLBD60UiT65eTr30h2k1QB-QUs3CKEmhUmQr5tkRexYnVan09B2THOz33NFhA/s1600/Merina+Begum.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="293" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh0XhHtBiEPncL58qiaUJEeN1Zavz9klSWIpMjb98m_AAUZhuYDNfcluxQELX2B5gfaBwBOgas9KI-PxohLBD60UiT65eTr30h2k1QB-QUs3CKEmhUmQr5tkRexYnVan09B2THOz33NFhA/s400/Merina+Begum.jpg" width="400" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;"><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। ঘাড়ে-পিঠে কামড়ের দাগ। হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ। নড়াচড়া করতে গেলে টান পড়ে মেরুদণ্ডে। ধ্বংসস্তূপের নিচে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছিলেন টানা চার দিন। এখন এনাম মেডিক্যালের বেডে শুয়ে দুই চোখ মেলে দেখছেন অফুরান আলো। তার পরও বিশ্বাস করতে পারছেন না বেঁচে আছেন। ২৮ বছরের এই মেয়ের নাম মেরিনা বেগম। বাড়ি মেহেরপুর জেলার ধলাগ্রামে। মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন ফ্যান্টম লিমিটেডে। ৯৬ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ফিরে আসা সেই মেরিনা বেগমকে নিয়ে লিখেছেন পিন্টু রঞ্জন অর্ক। </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">ভবনে
ফাটল ধরায় আগের দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরদিন তাই আর কাজে আসতে সায়
দিচ্ছিল না মন। কিন্তু কাজে না গেলে মাস শেষে বেতন আটকে দেওয়া হবে_ঘোষণা
করেছিল গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিলেন, অন্যদিনের মতো
সকাল ৮টার মধ্যেই চলে এলেন রানা প্লাজায়। রানা প্লাজার চতুর্থ তলায় মেরিনার
কর্মস্থল। ভবনের সামনে অনেক মানুষের জটলা, সবার চোখে সংশয়। কেউই ভেতরে
যেতে চাচ্ছেন না। হঠাৎ গার্মেন্টের কর্মকর্তারা এসে শাসানো শুরু করলেন,
'মাস তো প্রায় শেষ। তোমরা কি বেতন চাও না? আমরা তো ভবন পরীক্ষা করাইছি।
কোনো সমস্যা নাই, সবাই ওঠো।'<br />
প্রতিবাদ করে উঠলেন কেউ কেউ, 'এক দিনের মধ্যে কী সমাধান করলেন?'<br />
উত্তরে কর্মকর্তারা জানান, 'ইঞ্জিনিয়ার আইনা পরীক্ষা করাইছি। ইঞ্জিনিয়ার
বলছেন, কোনো সমস্যা নেই। আপাতত কাজ করা যাবে। তোমরা সবাই ওঠো।'<br />
তার পরও অনড় দাঁড়িয়ে রইলেন শ্রমিকরা। কর্মকর্তাদের একজন তখন জোর গলায় বলে
উঠলেন, 'তেমন সমস্যা থাকলে কি আমরা গার্মেন্ট খোলা রাখতাম? কাল তো বন্ধ করে
দিয়েছিলাম।' আস্তে আস্তে তাঁদের কথা বিশ্বাস করতে শুরু করলেন অনেকে। তার
পরও কয়েকজন প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁদের বেতন কেটে নেওয়ার হুমকি
দেওয়ায় আর বেশি উঁচুতে উঠতে পারেনি তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা। দলে দলে সবাই
উঠতে শুরু করলেন গার্মেন্টের বিভিন্ন ফ্লোরে।<br />
সকাল তখন প্রায় ৯টা। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। সঙ্গে সঙ্গে জেনারেটর ছেড়ে
দেওয়া হলো। জেনারেটর চালানোর মিনিট দুয়েকের মধ্যে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল,
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে লাগল পুরো ভবন। মেরিনাদের ফ্লোরে কাজ করছিলেন ৭০০-৮০০
শ্রমিক। মেরিনা কাজ করছিলেন সেলাই মেশিনে। ভবনধসের ভয়ংকর শব্দটা সব কিছু
ছাপিয়ে কানে এলো তাঁরও। আশপাশে তাকিয়ে দেখলেন, যে যাঁর মতো ছুটছেন।
চিৎকার-চেঁচামেচিতে কান পাতা দায়। ওপর থেকে গায়ের ওপর এসে পড়ছে পাথর, রড,
বিভিন্ন জিনিসপত্র। সঙ্গে সঙ্গে মেশিন ছেড়ে উঠে পড়লেন মেরিনা। দৌড় দিলেন
সিঁড়ি বরাবর। তবে ২০-২৫ হাতের বেশি যেতে পারলেন না। সেখানে বড় দুটি মেশিন
পাশাপাশি রাখা। মেশিন দুটোর মাঝখানে চলে গেলেন তিনি। হঠাৎ ওপর থেকে ছাদ
ভেঙে মাথার ওপর পড়তে শুরু করল। ফ্লোরে শুয়ে পড়লেন মেরিনা। ছাদের ভাঙা অংশ
পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল সব ভারী মেশিন। একটু পর মাথা তুলতে গিয়ে দেখেন, ছাদের
সঙ্গে বাড়ি খাচ্ছে মাথা।<br />
দুই ছাদের মাঝখানে আটকা পড়লেন মেরিনা। চারপাশে কেবল অন্ধকার। একটুও আলো নেই
কোথাও। ধুলাবালিতে ঢেকে যাচ্ছে নাক-চোখ-মুখ। একটা শব্দই কেবল মুখে আসছে,
'বাঁচাও! বাঁচাও!'<br />
আশপাশের আওয়াজ থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই টের পেলেন এখানে তাঁরা ১২-১৩ জন আটকা
পড়েছেন। তিনজন ছেলে, বাকি আট-নয়জন মেয়ে। ছোট একটি জায়গায় চিত হয়ে শুয়ে
আছেন সবাই। যেন জীবন্ত লাশ! যেদিকে চোখ যায়, ঘুটঘুটে অন্ধকার। এদিক-সেদিক
নড়াচড়ারও সুযোগ নেই। মেরিনার ডান পাশে একটি ছেলে, দুটি মেয়ে। তাঁদের পাশেই
পড়ে আছে একটি লাশ। বিমের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে মেয়েটা। প্রথম দিন কোনো
গন্ধ হয়নি। পরদিন থেকে উৎকট গন্ধ ছড়াতে শুরু করল। তীব্র গন্ধে প্রথম প্রথম
বমি চলে আসত। আস্তে আস্তে সে গন্ধও সয়ে গেল। আর বমি আসবে কিভাবে? পেটে কিছু
থাকলে তো! ভয়ে লাশের দিকে একবারও ফিরে তাকাননি মেরিনা। ঘুমও আসে না এক
ফোঁটা। মনের মধ্যে একটাই শঙ্কা_কখন মাথার ওপর ছাদটা ভেঙে পড়ে! ঘুমাতে গেলেই
তো মরতে হবে।<br />
সঙ্গে পানি নিয়ে আসতে পেরেছিলেন এক বোতল। প্রথমে সেখান থেকে একটু একটু করে
খেয়েছেন। দুই দিন পর বোতলটা খালি হয়ে গেল। পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ। শব্দ
পর্যন্ত বের হচ্ছে না। আশপাশে তখন কেবল একটাই চিৎকার, 'পানি দে, একটু পানি
দে, জীবনটা বাঁচাই।' এ চিৎকারেই বুদ্ধিটা খেলে গেল মাথায়। মেরিনা জানেন,
ছাদে আয়রনের (ইস্ত্রি) বক্সে বোতলভর্তি পানি থাকে। পাশের মেয়েটির গায়ের ওপর
পা দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। ছাদ হাতড়ে দেখলেন একটা আয়রনের বাক্সে পানির বোতল
আছে। অনেক কষ্টে বের করে আনলেন সেটা। এভাবেই এক বোতল পানি ছিপি দিয়ে ১২-১৩
জন মিলে খেলেন টানা দুই দিন। তবে তৃতীয় দিনে আবার কারবালার হাহাকার শুরু
হলো। কোথাও এক ফোঁটা পানি নেই। প্রচণ্ড গরমে প্রবল তৃষ্ণা লাগছিল। দরদর করে
ঘামছে গা। নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে কষ্ট হচ্ছে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা
লাগার সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে যেন আগুন ধরে যাচ্ছে। এর পরও কয়েক ফুট জায়গার
মধ্যে সবাইকে গায়ে গা লাগিয়ে থাকতে হচ্ছে। কারো চোখে পানি এলে বুভুক্ষুর
মতো হামলে পড়ছেন সবাই, খেয়ে নিচ্ছেন চেটেপুটে। এক সময় অবস্থা এমন হলো,
কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি পর্যন্ত শুকিয়ে গেল। পাশে একটা ছেলে আর কয়েকটা
মেয়ে প্রস্রাব করে খাচ্ছে! তবে ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের মধ্যে আটকে আছে সবাই।
ফলে হাত বাড়িয়ে প্রস্রাবটুকুও নেওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার 'পানি দে,
পানি দে' বলে অন্যের শরীর কামড়ে দিলেন। মেরিনার শরীরেও কামড়েছেন অনেকে।
অনেকে অন্যের মাথার চুল টেনে ছিঁড়তে লাগলেন। হামলা থেকে রেহাই পাননি
মেরিনাও। এক সময় পাশের ছেলেটি পাগলামি শুরু করলেন। বলতে লাগলেন, 'দরজা বন্ধ
কেন? দরজা খুলে দে। এত অন্ধকার ভালো লাগে না। আমি বাড়ি যাব। দরজা খোল।'
একটু পর আবার পাশেরজনকে মারতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর আবার থেমে গেলেন।<br />
প্রচণ্ড গরমে তৃতীয় দিন লাশের শরীর থেকে তেলের মতো চর্বি বেরোতে লাগল।
আস্তে আস্তে পুরো মেঝেতে ছড়িয়ে গেল পিচ্ছিল চর্বি। সবার শরীরে তেল লেগে
গেল। শরীরের নিচে ছাদ থেকে খসে পড়া বালি। তেল আর বালি একসঙ্গে আটকে গেল
চামড়ায়। শুরু হলো প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া, চুলকানি। এখানে-সেখানে ক্ষত সৃষ্টি
হতে লাগল। এদিকে প্রচণ্ড গরমে নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। মেশিনগুলোর পাশে পড়ে
থাকা কয়েকটা কার্টন ছিঁড়ে বাতাস করতে লাগলেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হলো না।
এক পর্যায়ে শুরু হলো শ্বাসকষ্ট। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগতে ভুগতে মনে হলো_আর
বুঝি বাঁচা গেল না। তবে আশা জোগাল পায়ের আওয়াজ। সঙ্গে সঙ্গে সবাই চিৎকার
করতে লাগলেন_'আমাদের বাঁচান।'<br />
বেঁচে থাকার আকুতিটা আরো জোরালো হলো মেশিনের আওয়াজে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে
চিৎকার দিয়ে উঠল, 'বাঁচাও বাঁচাও'। কিন্তু চিৎকারের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে
যায় মেশিন। তখন সবাই চুপ করে থাকেন। কিন্তু মন তো মানে না। কিছুক্ষণ পর
আবার শুরু হয় বেঁচে থাকার আকুতি_'আমাদের বাঁচান।' একজন আরকজনকে সান্ত্বনা
দেন_'আজ হয়তো ছয়তলায় কাজ হলো। কাল আমাদেরটা হবে।' এক সময় আর কানে আসে না
মেশিনের আওয়াজ। মেরিনারা ভাবেন, 'রাত হয়ে গেছে তো তাই এখন কাজ বন্ধ। কাল
আবার শুরু হবে।' আশায় বুক বাঁধেন সবাই_'আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করা হবে।'<br />
আস্তে আস্তে সে আশাটাও ফিকে হয়ে আসতে থাকে। কেউ আসছে না। বাঁচার আশা ছেড়ে
দিতে লাগলেন সবাই। মনকে বোঝালেন, 'হয়তো বাইরের মানুষজন মনে করছে আমরা মরে
গেছি। বিল্ডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে
আমাদেরও।' যেকোনো সময় মরে যেতে পারেন, এভাবেই তৈরি করতে লাগলেন মনটাকে।<br />
অনেক কিছু ভেসে উঠল মেরিনার মনের কোণে_'আর কোনো দিন দুনিয়ার আলো-বাতাস দেখা
হবে না। ভোরে উঠে রান্না করে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার ভরতে হবে না। বেতনের
টাকা দিয়ে ঈদের সময় মা-বাবাকে আর শাড়ি-পাঞ্জাবিও দেওয়া হবে না। বড় বোনটার
জন্য খুব মায়া লাগছে। সেও এই ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। জানি না সে বেঁচে আছে,
না মরে গেছে।'<br />
মেরিনার বাঁ পাশের মেয়েটির বাড়ি লালমনিরহাট। থেকে থেকে বিলাপ করছিল ও। একটা
ব্যাটের বায়না ধরেছিল ছোট ভাইটা। কথা দিয়েছিল, ঈদে কিনে দেবে। মরে গেলে
ভাইকে ব্যাট কিনে দেবে কে? ভাই তো জানতেও পারবে না বোনটা মরে পড়ে আছে
ফ্যান্টম গার্মেন্টে। লাশটাও খুঁজে পাবে না মা-বাবা। একজন আরেকজনকে কেবল
বলছেন, 'বোন, কেউ যদি বেঁচে থাকো, মা-বাবাকে বোলো, এত দিন অনেক কষ্ট করে
বেঁচে ছিলাম। কিন্তু আর পারলাম না। লাশটা যেন বাবা এসে নিয়ে যান।'
দোয়া-দরুদ পড়তে লাগলেন সবাই। মেরিনা শুধু এই বলে মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন,
'ওই মেয়েটা তো প্রথম দিনই মরে গেছে। আমিও তো মারা যেতে পারতাম। আমার ভাগ্য
তো তার চেয়ে ভালো! আমি এত দিন বেঁচে আছি।'<br />
মেরিনার একটু দূরে শুয়ে ছিলেন একটি ছেলে। কোয়ালিটি কন্ট্রোলার। তাঁর পকেটে
একটা কলম ছিল। কার্টনের কিছু অংশ ছিঁড়ে সবাই নিজের নাম, মা-বাবার নাম,
বাড়ি, মোবাইল নম্বর লিখলেন। কাগজের টুকরোগুলো ছিঁড়ে গুঁজে রাখলেন বুকের
মধ্যে, মরে গেলে অন্তত লাশটা যাতে বেওয়ারিশ দাফন না হয়। লাশ হয়েও যেন
শেষবারের মতো ফিরে যেতে পারেন মা-বাবার কাছে। অজ্ঞান অবস্থায় পরে যখন
মেরিনাকে উদ্ধার করা হয়, ওই ঠিকানা-মোবাইল নম্বর দেখেই তাঁর মা-বাবাকে ফোন
করা হয়েছিল।<br />
বিমের ওপাশে আটকা পড়েছিলেন ফ্যান্টম গার্মেন্টের স্টাফ ইমরানসহ কয়েকজন।
তাঁকে অবশ্য দেখা যাচ্ছিল না, কণ্ঠস্বর শুনেই চিনতে পেরেছিলেন সবাই। তাঁকে
ডেকে বললেন মেরিনা_'স্যার, ও স্যার, আপনারা আমাদের ক্যান ডাইকা আইনা মারলেন
স্যার?' তিনি উত্তরে বললেন, "আমার তো কোনো দোষ নাই। আমরা তো চাইছিলাম বন্ধ
রাখতে। কিন্তু মালিক কইছে 'আমার শিপমেন্ট আগে। কিচ্ছু হইব না। চালু রাখো
কারখানা।' আমরাও তো তোমাগো মতো গরিব মানুষ, হুকুমের দাস।" এভাবে কিছুক্ষণ
পরপর কথা হতো। মাঝেমধ্যে তিনি সান্ত্বনা দিতেন। মেয়েরা ডেকে বলতেন, 'স্যার,
আপনাদের কাছে পানি থাকলে এট্টু দ্যান না, স্যার।' তিনি বলতেন, 'বইন,
আমাদের এখানে ধু-ধু মরুভূমির মতো। এক ফোঁটাও পানি নাই। বেশি কান্নাকাটি
কইরো না। তাইলে পিপাসা লাগব।'<br />
তখন চারপাশে কেবল মরণের গল্প, মৃত্যুর অপেক্ষা। হঠাৎ শুনলেন মানুষের
কণ্ঠস্বর। তবে তাঁদের ডেকে সাহায্য চাইবার শক্তিটুকুও কারো নেই। মুখ দিয়ে
কোনো স্বর বেরোচ্ছে না, কেবল চোখ দুটো খোলা। ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন,
ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে তীরের মতো পড়ছে আলোর রেখা! সম্ভবত টর্চলাইটের আলো।
একটু পর আবার নিভে গেল।<br />
ক্ষীণস্বরে পাশের মেয়েটি বলল, 'আপা, চিল্লান দ্যান। মাইনষে যাইতাছে ওদিক
দিয়া।' শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে 'বাঁচান ভাই, কেউ থাকলে আমাদের বাঁচান,'
বলে চিৎকার দিলেন মেরিনা। কয়েকবার চিৎকারের পর ছিদ্র দিয়ে আবার আলোর রেখা
দেখা গেল। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করল পাশের ছেলেটিও। তবে কয়েক মিনিট
পরও সাড়া পাওয়া গেল না। আবারও শুরু হলো কান্নাকাটি।<br />
আধঘণ্টা পর কেউ একজন জানতে চাইলেন, 'ভেতরে কি কেউ আছেন? থাকলে আওয়াজ দেন।'<br />
'ভাই, আমাদের বাঁচান। আমরা এখানে অনেক মানুষ।' এই বলেই চিৎকার শুরু করলেন সবাই।<br />
একটু পর শোনা গেল আরো কয়েকজনের কণ্ঠস্বর। নিচে তখন চলছে কান্নাকাটি। ওপরে
চলছে আটকে পড়াদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা। আধঘণ্টা পর মেরিনার মাথার কাছের
একটি পাথর কাটা শুরু হলো। অনেকক্ষণ পর তৈরি হলো সুড়ঙ্গের মতো একটা পথ। সে
পথ দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা একটা পানির বোতল ছুড়ে দিলেন। তবে সে পানি খেতে
পারেননি মেরিনা, তার আগেই জ্ঞান হারালেন।<br />
জ্ঞান ফেরার পর আবিষ্কার করলেন, নাকের সঙ্গে পাইপ জাতীয় কিছু একটা লাগানো
আছে। পরে বুঝলেন, অক্সিজেনের পাইপ। তিনি শুয়ে আছেন হাসপাতালের বেডে। দুই
পাশে অনেক মানুষ। মাথার ওপর অনেক লাইট। মনে পড়ল মা-বাবার কথা। মাকে ডাকলেন।
দেখেন, তাঁরা দুজনেই পাশে আছেন। মেরিনা বললেন, 'মা, আমি এখানে কেন? এখানে
এত মানুষ কেন? এরা কারা?' কাঁদতে কাঁদতে মা বললেন, 'তুই বিল্ডিংয়ের নিচে
চাপা পড়েছিলি। উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে।'</span><br /><span id="hl3" style="color: #667b7b; display: block; text-align: left;"><br /></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;"></span></span></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-50328530162552674982013-04-29T21:40:00.000+06:002013-04-29T21:40:15.961+06:00শাহানার নিথর দেহ উদ্ধার হল<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxiO0GzjlJ2tQPvTnY7QN1JiBeBeJPvKo3AuUDvp1bz3rhyCKolkh-QpJcZ3DuaFwcoI67X2iUoe8C8rFhEUcGM1M9VUf5melbOJ2TvRv1XKZECA14DoA5jK0ecuo90ZI7yAa8fRbhaQG7/s1600/Shahana.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxiO0GzjlJ2tQPvTnY7QN1JiBeBeJPvKo3AuUDvp1bz3rhyCKolkh-QpJcZ3DuaFwcoI67X2iUoe8C8rFhEUcGM1M9VUf5melbOJ2TvRv1XKZECA14DoA5jK0ecuo90ZI7yAa8fRbhaQG7/s1600/Shahana.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">নিয়তির কাছে হার মানলেন শাহানা। দীর্ঘ এক দিনের চেষ্টায় বাঁচার আশা
দেখেছিলেন তিনি। উদ্ধারের আগ মুহুর্তে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাণ্ড তাকে নিয়ে
গেছে মৃত্যুর দোয়ারে। আজ বিকাল সোয়া তিনটায় ধসে পড়া ভবনের চতুর্থ তলা থেকে
তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল দিনভর তাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা
চালান উদ্ধারকারীরা। তার সঙ্গে কথাও বলেন। খাবার এবং পানি দেন। হাতে হাত
রেখে মৃত্যুকূপ থেকে তুলে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। রাত ১০টায় শাহানাকে বের
করার আগ মুহুর্তে রড কাটার মেশিন থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে কাপড়ে।
এরপর হতভাগা শাহানাকে ফেলে রেখে জীবন বাঁচাতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। শাহানা
তার দেড় বছরের ছেলেটির জন্য বারবার বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন উদ্ধারকারীদের
কাছে। অগ্নিকান্ডের পরই উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন শাহানার আর বেঁচে থাকার
সম্ভাবনা নেই।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-83196404750888633412013-04-06T22:59:00.001+06:002013-04-06T22:59:33.541+06:00সোমবার হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ৫ই মে ঢাকা অবরোধ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"></span><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiYY1CwgAHsBYvHyPb0mM0038Gl4Puz_pLAeb5_jEZrlQN3lMTwbeMvdNwY3qnRvugDBA0gPjEAyGEwcaK_FSextHjVz6FBpUXm6eeI0gNlZVcrXeo3NpywmLFd6KU8dYBPdp-Zmve2fQc4/s1600/Hefajat-e-Islam+meeting.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="266" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiYY1CwgAHsBYvHyPb0mM0038Gl4Puz_pLAeb5_jEZrlQN3lMTwbeMvdNwY3qnRvugDBA0gPjEAyGEwcaK_FSextHjVz6FBpUXm6eeI0gNlZVcrXeo3NpywmLFd6KU8dYBPdp-Zmve2fQc4/s400/Hefajat-e-Islam+meeting.jpg" width="400" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। হেফাজতে ইসলামের ডাকা
লংমার্চ কর্মসূচি প্রতিরোধে হরতাল এবং অবরোধের আগের দিনই ঢাকায় এ অবস্থার
সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ২৭টি সংগঠনের হরতাল এবং গণজাগরণ মঞ্চের
অবরোধ শুরু হলেও বুধবার রাত থেকেই আন্তঃজেলা বাসচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহন
মালিক সমিতিসমূহ স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায় গতকাল
সকাল থেকেই। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ-বিআইডবিউ্লটিএ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার
সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় কোন লঞ্চ ঢুকতে পারবে না।
এমনকি বাইরের কোন ঘাট থেকেও ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়তে পারবে না। এদিকে বিকাল থেকে হরতাল ও অবরোধ শুরু হওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে
ঢাকা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস না থাকায় ঢাকার আশপাশের লোকজনও রাজধানীতে আসতে
পারেননি। বাস এবং লঞ্চ বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ ছিল ট্রেনে। এই দু’দিকে ঢাকা
আসতে না পেরে হেফাজতের কর্মীরা অনেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসেন। তবে বিকাল
থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী ১০টি ট্রেন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">হরতাল অবরোধের মধ্যেও সারা দেশ
থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও হেফাজত কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেন। রাতেই
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জমায়েত শুরু হয়। সকালেই তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
বিভিন্ন জেলা থেকে হেঁটে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন সমাবেশে। সকাল ১০টা
থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলে নেতাদের
বক্তব্য। পুরো সময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত ছিল পুরো এলাকা। লাখ লাখ
মানুষের এই সমাবেশ হলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। <br />সকালেই
সমাবেশের পরিধি শাপলা চত্বর থেকে পল্টন, উত্তেফাক মোড়, নটরডেম কলেজ,
কমলাপুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে খাবার ও পানি নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক
স্বেচ্ছাসেবী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের পক্ষ থেকেও সমাবেশে
খাবার পাঠানো হয়েছে। ড্যাবের পক্ষ থেকে সমাবেশের আশপাশে ৮টি মেডিকেল টিম
চিকিৎসা সেবা দেয়। সকালে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতেও দেখা গেছে হেফাজত
কর্মীদের ভিড়। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং আশপাশের
জেলা থেকে লোকজন হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন। সকালে মহাখালি এলাকায় মিছিলে বাধা
দেয়ায় ক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের অস্থায়ী অবস্থানে হামলা
চালায়। আমিনবাজার ও মিরপুরে হেফাজতের মিছিলে বাধা দেয় হরতালকারীরা। তবে
বাধা উপক্ষো করেই হাজার হাজার মানুষ মতিঝিলের দিকে ছুটতে থাকেন। আগামী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহবান করেছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে
আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় শানে রেসালাত
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫ই মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি
পালিত হবে। বিকালে শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব
জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সভাপতির
বক্তব্য রাখেন। এর আগে সমাবেশ থেকে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। বিকাল পৌণে
পাঁচটার দিকে শেষ হয় বহুল আলোচিত এ সমাবেশ। </span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">এদিকে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিস লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে অপারেটররা নিজ নিজ এলাকায় লাইন বন্ধ করে
দিয়েছেন। মিরপুর এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, পুরো এলাকায় দুপুরের পর
থেকে ডিস সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কোন কোন এলাকায় সব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে
না। এ বিষয়ে কোয়াবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। কোয়াবের বর্তমানে কোন কমিটি নেই। </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-78658164981783118552013-03-18T20:13:00.000+06:002013-03-18T20:13:50.206+06:00শোকে স্তব্ধ হাতিমারা - কাঁদছে পরিবার, কাঁদছে গ্রাম<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjNy71xS4f9ifd-0P_XfitKuLkZ5rUXMgwq4bQJM-Gc76dXszaGhwAm14trGRI2Ed8GpgEl8JtJlCAbpY40EI4kGjuPu4RYVglU3FoOjxbWrUMCHmkEi8Qs896cVk7RZJycvN5PIFVAjXIP/s1600/Natherpetua+grieving+relatives.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="266" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjNy71xS4f9ifd-0P_XfitKuLkZ5rUXMgwq4bQJM-Gc76dXszaGhwAm14trGRI2Ed8GpgEl8JtJlCAbpY40EI4kGjuPu4RYVglU3FoOjxbWrUMCHmkEi8Qs896cVk7RZJycvN5PIFVAjXIP/s400/Natherpetua+grieving+relatives.jpg" width="400" /></a></div>
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাতিমারা গ্রামটির চিত্র এক দিনের ব্যবধানে একেবারে পাল্টে গেল। গত
শনিবার দুপুরে মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়া বাজারের উত্তর পাশে ঘাতক ট্রাক
কেড়ে নেয় হাতিমারা গ্রামের সাতটি নিষ্পাপ তাজা প্রাণ। নিহতরা সবাই স্থানীয়
নাথেরপেটুয়া মডেল স্কুলের (কিন্ডারগার্টেন) শিক্ষার্থী। এলাকাবাসীর ক্ষোভের
আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘাতক ট্রাকটির পাশে দাঁড়িয়ে গতকাল সকালে কাঁদছিল নিহত
শোভা, হৃদয় ও মিথুনদের খেলার সঙ্গীরা। তারা তাদের বন্ধুদের প্রাণ কেড়ে
নেওয়া ট্রাকটির দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। নিহত শিশুদের বাড়ি গিয়ে
দেখা গেছে মাতম। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। শুধু
হাতিমারা নয়, এ শোক যেন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। এ মর্মান্তিক
দুর্ঘটনায় উপজেলা পরিষদ তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এদিকে শনিবারের সাত
শিশু নিহতের ঘটনায় গতকাল থানায় মামলা হয়েছে।</span><span style="font-size: large;"><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">ঘটনাস্থলেই
নিহত হাসিবুল হাসান নিহাদ (৬) ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্লে গ্রুপের ছাত্র
ছিল। ওই দিন সকালে ছেলেকে নিজ হাতে রুটি খাইয়ে স্কুলভ্যানে তুলে দেন হাসিনা
বেগম। তিন বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে নিহাদ ছিল সবার ছোট। বড় বোন তাহমিনা
আক্তার (১৫) প্রতিবন্ধী। অন্য দুই বোন ওই স্কুলেই পঞ্চম ও তৃতীয় শ্রেণীতে
পড়ে।<br />
ঘটনাস্থলেই নিহত ফাহাদুল ইসলাম মিথুন (৯) ছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মা
নাসিমা বেগম ওই দিন সকালে ছেলেকে তার বাবা মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে নাশতা
খাইয়ে স্কুলভ্যানে তুলে দেন। মিথুন বড় হয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিল বলে তার মা
বিলাপ করছেন।<br />
একই অবস্থায় নিহত আরেক হতভাগ্য টিপু সুলতান স্বাধীন (১০) ছিল চতুর্থ
শ্রেণীর ছাত্র। বাবা সেলিম মিয়া বাইরাইনপ্রবাসী। ওই দিন সকালে নাশতা খাইয়ে
টিফিনের জন্য পাঁচ টাকা হাতে দিয়ে ছেলেকে স্কুলভ্যানে তুলে দেন মা সুরমা
বেগম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ছেলে বলেছিল, 'আম্মু টা-টা আসি।' ছেলের জন্য
বিলাপ করতে করতে কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন তিনি। স্বাধীনের একমাত্র
ছোট বোন সুমাইয়া সুলতানা শান্তা ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ। তার ধারণা, ভাইয়া
আবার ভ্যানে চড়ে বাড়ি ফিরবে।<br />
হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে ঝরে যায় রাকিবুল হাসান শুভর (৬) প্রাণ। সে প্লে
গ্রুপের ছাত্র ছিল। তার বাবা মনির হোসেন ওমানপ্রবাসী। মা লাকি বেগম ছেলের
শোকে পাথর। দুই ভাইয়ের মধ্যে শুভ বড়।<br />
হাসপাতালে নেওয়ার পর নিহত আল-আমিন (৬) নার্সারিতে পড়ত। বাবা মাওলানা আবদুল
মালেক ছেলে হারিয়ে শোকে বাকরুদ্ধ। আর মা আয়েশা আক্তারের বিলাপে কাঁদছে
সান্ত্বনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও। দুই ভাইয়ের মধ্যে আল-আমিন বড়। অবুঝ শিশু
আরাফাতের প্রশ্ন, তার ভাইয়া কখন বাড়ি ফিরবে। নিহত মোত্তাকিন হোসেন হৃদয় (৬)
ছিল প্লে গ্রুপের ছাত্র। হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাণ হারায় সে। তার বাবা
মো. আবদুল্লাহ ও মা রুনু আক্তার ছেলের শোকে পাথর। দুই ভাইবোনের মধ্যে হৃদয়
বড়, ছোট বোনের নাম নিহার আক্তার।<br />
হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যাওয়া জান্নাতুল মাওয়া শোভা (৭) পড়ত নার্সারিতে।
বাবা জহিরুল ইসলাম মজুমদার সৌদিপ্রবাসী। গত মাসে ছুটিতে বাড়ি আসেন তিনি।
দুই বোনের মধ্যে শোভা বড়। ছোট্ট নুশরাত জাহান বড় বোনের বাড়ি ফেরার
অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে।<br />
মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আমিরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের স্কুলের
ভ্যানটি রাস্তার বাঁ পাশ দিয়েই যাচ্ছিল। হঠাৎ নোয়াখালীগামী ঘাতক ট্রাকটি
স্কুলভ্যানটি অতিক্রমের সময় তা চাপা দেয়। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার
সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।'<br />
এদিকে গতকাল সকালে নিহতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে হাতিমারা গ্রামে আসেন
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ পাটোয়ারী। তিনি উপজেলা পরিষদ ও
মনোহরগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি কালো
পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ করতে সবার প্রতি আহবান জানান। নিহতদের
পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।<br />
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, ঘাতক ট্রাকটির চালক ও মালিককে
এখনো শনাক্ত করা যায়নি। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা
চলছে।<br />
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের
মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়া বাজারের অদূরে ঘাতক ট্রাকের চাপায় স্কুলভ্যানে
থাকা সাত শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত শিশু ফাহমিদা
তাহের তমা, খাজিদা আক্তার যুথী ও ভ্যানচালক জয়নাল আবেদীন কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।</span><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiy1J0r_dbnj0UdEXLap5alqMdQLxXP_V4Sh0zXbx8gi2Fn6iaVOJCMPJQpWR7utJ-d3edDnVhKhAQpHEXjXRcSZerm00JvGUBtsg7a0UEy2dsRuQTgv7koNICzhiU8Yxiq_9CrmjS5EFzv/s1600/Ammu+Ta+Ta+Asi.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="266" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiy1J0r_dbnj0UdEXLap5alqMdQLxXP_V4Sh0zXbx8gi2Fn6iaVOJCMPJQpWR7utJ-d3edDnVhKhAQpHEXjXRcSZerm00JvGUBtsg7a0UEy2dsRuQTgv7koNICzhiU8Yxiq_9CrmjS5EFzv/s400/Ammu+Ta+Ta+Asi.jpg" width="400" /></a></div>
<span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে সাতটি কচি প্রাণ। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া রিকশা-ভ্যানের অস্তিত্বও বোঝা কঠিন। কিন্তু রিকশা-ভ্যানের 'আম্মু টা টা আসি' লেখাখচিত অংশটি রয়ে গেছে অক্ষত। এ যেন মাকে চিরবিদায়ের ডাকে চলে যাওয়া। শিশুদের অন্তিম উচ্চারণ তাদের মায়ের উদ্দেশে। </span></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;"> </span><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;"> </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-47480411495860570732013-03-12T19:51:00.000+06:002013-03-12T19:52:42.923+06:00ইতিহাস গড়লেন মুশফিক, আশরাফুলের আফসোস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnZs5cPFJ3fKW8as45s3501KnqdK6HWaxoL_Z-fJMErh6lib90EWdAKhS_bsCIyAUiM0DlLJfO4Jr4Jx1YmOeJfUJpK8ld_W6djyJ5FnDJve75XokSHEfujlG5FucPuq9kgc2cvi36DdS5/s1600/Mushfiqur+Rahim+after+double+century.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnZs5cPFJ3fKW8as45s3501KnqdK6HWaxoL_Z-fJMErh6lib90EWdAKhS_bsCIyAUiM0DlLJfO4Jr4Jx1YmOeJfUJpK8ld_W6djyJ5FnDJve75XokSHEfujlG5FucPuq9kgc2cvi36DdS5/s400/Mushfiqur+Rahim+after+double+century.jpg" width="336" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">ইতিহাস গড়লেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল
সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটিও এখন তার দখলে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ১৫২ রানে
অপরাজিত ছিলেন তিনি। চতুর্থ দিন সকালে খুব দ্রুত আশরাফুলের বিদায়ও তাকে বিচলিত করতে
পারেনি। নাসির হোসেনের দুর্দান্ত সঙ্গকে শক্তিতে পরিণত করে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা
খেলে যান মুশফিকুর রহিম। আর তাতেই পেয়ে গেলেন পুরস্কারটি। তবে ২০০ পূরণ করেই
কুলাসেকারার বলে এলবিডবিস্নউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ দলপতি। এর আগে গল টেস্টের তৃতীয়
দিনেই শতক পূর্ণ করেছিলেন মুশফিকুর। তবে গতকাল সবার নজর ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের
দিকে। ১৮৯ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করা আশরাফুলই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম
দ্বিশতকের ইনিংসটি খেলবেন বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু মনঃসংযোগে চিড় ধরায়ই হয়তো মুখোমুখি হওয়া দিনের প্রথম বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলেন।
বেঁচে গেলেন, কিন্তু রঙ্গনা হেরাথকে আবারও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে আর বাঁচলেন
না। বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে যখন স্লিপে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো
ম্যাথুজের হাতে যায়, তখন আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে আর মাত্র ১ রানই যোগ করতে
পেরেছেন আশরাফুল। তবে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্নটা
বৃথা যেতে দেননি টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং করে পূর্ণ করেছেন
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম দ্বিশতক। ২০০ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলার পথে ৩২১টি বল
মোকাবেলা করেছেন মুশফিক। এতে ছিল ২২টি চার ও ১টি ছয়ের মার। দুর্দান্ত এ ইনিংসটি
খেলে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার প্রমাণও বেশ ভালোমতোই দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শ্রীলংকান বোলারদের নাজেহাল করে মাঠের চারদিকেই শট খেলেছেন মুশফিক। তার ২০০ রানের
মধ্যে ১০৩ রান এসেছে অফসাইড থেকে; বাকি ৯৭ রান লেগ সাইড থেকে। এই পরিসংখ্যান থেকেই
বোঝা যায়, সবদিকেই শট খেলতে সমানভাবে পারদর্শী বাংলাদেশের এই তরুণ অধিনায়ক।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"> দেশজুড়ে হানাহানির এই দুঃসময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী
খালেদা জিয়া ডাবল সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ককে।<br /> </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-74134297915012602582013-03-05T19:38:00.000+06:002013-03-05T19:38:19.195+06:00সিঙ্গাপুরে কী এমন টাকার মোচা পেলেন, যে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ালেন : খালেদাকে প্রধানমন্ত্রী<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfoHjpS4K_F_kReqZGhhPQbGM1xS2cZN9nQIiMzGw9gzW_ZOGmk7pBQPF6VqnbwiDbTYEZCjtDrMAlqhuYMJ_LXS30tv2ufx4cIZJ4ZurjatsxYbcjAH-__bJP2wxE8SftGemgvapLhLkT/s1600/Hasina+at+Shariatpur.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfoHjpS4K_F_kReqZGhhPQbGM1xS2cZN9nQIiMzGw9gzW_ZOGmk7pBQPF6VqnbwiDbTYEZCjtDrMAlqhuYMJ_LXS30tv2ufx4cIZJ4ZurjatsxYbcjAH-__bJP2wxE8SftGemgvapLhLkT/s1600/Hasina+at+Shariatpur.jpg" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;">প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন,
'শুনেছি তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু দেশে এসেই যুদ্ধাপরাধীদের
পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।' শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা মৌজায় পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন
ইয়ার্ডের নদীরতীর রক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা
বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, 'সেখানে কী এমন টাকার
মোচা পেলেন যা নিয়ে দেশে এসে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন।' প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তর সালে যারা আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন করেছে,
নিরস্ত্র জনতাকে হত্যা করেছে, সেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মতো তাদের রায়ও বাংলার মাটিতে কার্যকর করা হবে।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"><br /></span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">এদিকে মাদারীপুরের এ আর হাওলাদার জুট মিল মাঠে অপর এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি কোনোভাবেই রাজাকারদের বাঁচাতে
পারবেন না। বাংলাদেশ রাজাকারমুক্ত হবেই। যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বাঁচানোর জন্য
বাসে আগুন দিচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,
হরতাল দিয়ে তাদের বাঁচাতে পারবেন না। তিনি জামায়াত-শিবিরকে বাঁচাতে সিঙ্গাপুর থেকে
দেশে ফিরে হরতালের ডাক দেন। দেশে বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। তিনি তো ম্যাট্রিক
পাস করেননি। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখুক তা তিনি চান না।' </span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-26286830045556185002013-02-20T21:01:00.000+06:002013-02-20T21:02:30.582+06:00রিকশা চালিয়ে ৪০০ কিমি পথ পাড়ি দিচ্ছেন ২০ বিদেশি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_82_AzKMwaWc-7kBnnYKsrVBZegv59BcHsfMoJzMDGi8QxaS_EIEQD1TIu-eFLEq9gp-02HgNFC-5bPyAZvrOZL8X7Ab3nWMacGIcR9rIttg7Ivs1CxZwyayruwe74EX15FLK0ZdCWFtd/s1600/Wild+Rickshaw+Challenge.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_82_AzKMwaWc-7kBnnYKsrVBZegv59BcHsfMoJzMDGi8QxaS_EIEQD1TIu-eFLEq9gp-02HgNFC-5bPyAZvrOZL8X7Ab3nWMacGIcR9rIttg7Ivs1CxZwyayruwe74EX15FLK0ZdCWFtd/s1600/Wild+Rickshaw+Challenge.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী ৪০০
কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়াইল্ড রিক্সা চ্যালেঞ্জ। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মান, বৃটেন,
ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত ২০ জন প্রকৃতিপ্রেমী ১০টি রিক্সা নিয়ে এই
চ্যালেঞ্জে অংশ নিচ্ছেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় টেকনাফ থেকে ১০টি রিক্সা
নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত স্কেন্দ অলিংসহ আগত প্রকৃতিপ্রেমীরা
রিক্সা চালিয়ে সমুদ্র তীর ঘেঁষে নির্মিত মেরিন ড্রাইভ ও এলজিইডি সড়ক ধরে
কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যান। বিদেশিদের রিক্সা চালাতে দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে
ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। সারাদিনে তারা প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে
রাতে সমুদ্র তীরবর্তী সোনারপাড়া ও হিমছড়ির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত মারমেড ইকো
রিসোর্টে রাত যাপন করেন। আজ মঙ্গলবার তাদের কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে।
<br /><br />এই রিক্সা চ্যালেঞ্জের ৪০০ কিলোমিটার ধরা হয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র
সৈকত কক্সবাজার, পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের প্রাণ মেঘনা নদী আর পৃথিবীর একক বৃহত্তম
ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার
তাগিদে বাঘ ও তার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনের কথা ছড়িয়ে দিতেই
প্রকৃতিপ্রেমী প্রতিযোগীরা এক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সংগঠনের পরিচালক
লুসি বড্যাম।<br /><br />লুসি বলেন, ওয়াইল্ড রিক্সা চ্যালেঞ্জ হলো উচ্চাকাঙ্ক্ষী
তীর্থযাত্রার মতো। এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। সুন্দরবন আর তার গৌরব বাঘকে
বাঁচানোর জন্য এটা একটি মহাকাব্যিক অভিযান । আমরা চাই সবাই আমাদের সাথে যোগ দিক
এবং যার যার মতো করে এই উদ্যোগকে সমর্থন করুক।<br /><br />বাঘ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে
আসার আহ্বান জানিয়ে ওয়াইল্ড টিমের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
বলেন, "পুরো পৃথিবীতে এখন মাত্র ৩২০০র মতো বাঘ টিকে রয়েছে। তাদের বাঁচিয়ে রাখতে
আমাদের সবার সহযোগিতা আর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বাঘ সুন্দরবনের অঘোষিত
প্রাকৃতিক পাহারাদার। সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামের অধিবাসীরা মনে করেন, যতদিন বাঘ রয়েছে
ততদিন সুন্দরবনও থাকবে। আমাদের দেশের সবুজ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করার
স্বার্থেই বাঘ আর সুন্দরবন সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে"।<br /><br />রিক্সা
চ্যালেঞ্জের অন্যতম প্রতিযোগী বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মি.
স্কেন্দ অলিং বলেন, "আমি বিশ্বাস করি বাঘের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত্ রক্ষার জন্য যথাযথ
পদক্ষেপ নেয়ার এখনি উপযুক্ত সময়। তাই প্রকৃতির এই রাজকীয় সৌন্দর্যের অধিকারী
প্রাণীটিকে রক্ষায় এখনই আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে"</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-56491273479535944392013-02-19T20:12:00.000+06:002013-02-19T20:12:14.978+06:00মানহানি মামলায় কাদের সিদ্দিকীকে আদালতে তলব<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWVjL2koxn8E8sAEfFTD-7eLoWZqK2UdvZmmii7cbwdV4v04nNp6VHmSBPN8CAcELnkkCHMIiIhuTIe-jJpmmB2_8mU5lntEVFx7a5yQW-DEsyON6APaYy6S8yQ0UaEZeHyd0wCdQHz8ev/s1600/Kader-Siddiqui.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWVjL2koxn8E8sAEfFTD-7eLoWZqK2UdvZmmii7cbwdV4v04nNp6VHmSBPN8CAcELnkkCHMIiIhuTIe-jJpmmB2_8mU5lntEVFx7a5yQW-DEsyON6APaYy6S8yQ0UaEZeHyd0wCdQHz8ev/s1600/Kader-Siddiqui.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলে মন্তব্য করার অভিযোগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নামে মানহানি মামলা করেছেন
এক মুক্তিযোদ্ধা। আজ মঙ্গলবার রুহুল আমিন মজুমদার নামের ওই মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার
সিএমএম আদালতে মানহানির মামলা করেন। মামলায় শুনানি শেষে আগামী ১৮ এপ্রিল কাদের
সিদ্দিকীকে আদালতে হাজির হতে বলেছেন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান। <br /><br />প্রসঙ্গত,
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের অনুষ্ঠিত এক
সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজাকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
সম্ভব নয়। তাঁর এ বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মুক্তিযোদ্ধা
হিসেবে তারও মানহানি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন রুহুল আমিন মজুমদার।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-52511394900302361892013-01-08T22:11:00.000+06:002013-01-08T22:11:25.409+06:00মজিনা এখন রিকশাওয়ালা!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLyYmwCQN2fRUouKRf9rSWCOEPpc1SVFvgI3_X3ZNdGmNqvaS4JQCW8RLsud2hS0tOfAU28I3YloYguhhyTEE8pW4_JLx2A6qgIaAa1-UdhjDUt3bAqqxdVrnDkZxGKl78DsfBF_aM-tya/s1600/Dan+W+Mozena.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="247" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLyYmwCQN2fRUouKRf9rSWCOEPpc1SVFvgI3_X3ZNdGmNqvaS4JQCW8RLsud2hS0tOfAU28I3YloYguhhyTEE8pW4_JLx2A6qgIaAa1-UdhjDUt3bAqqxdVrnDkZxGKl78DsfBF_aM-tya/s400/Dan+W+Mozena.jpg" width="400" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;"><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">বড়দিনে
কী উপহার পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা? হয়তো অনেক কিছুরই নাম আসতে পারে। তবে গত বড়দিনে (২৫
ডিসেম্বর) আপনজনদের কাছ থেকে পাওয়া একটি উপহারে সত্যিই তিনি বেজায় খুশি।
উপহারটি ছিল এ দেশের রাস্তার অতিপরিচিত তিন চাকার যান রিকশা। <br />
উপহার পাওয়া রিকশার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্র
দূতাবাসের পৃষ্ঠায়ও স্থান পেয়েছে। সেখানে লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরা রাষ্ট্রদূত
মজিনাকে রিকশা চালাতে দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত মজিনা ফেসবুকে জানতে
চেয়েছেন, 'আমার নতুন রিকশাটিকে আপনারা কেমন পছন্দ করছেন? আমি কিন্তু আমার
নতুন পেশার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি...।' <br />
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার ফেসবুক পেজে লিখেছে, রিকশাটি রাষ্ট্রদূত
মজিনাকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দিয়েছেন বড়দিনের উপহার হিসেবে। রিকশার সামনে
যুক্তরাষ্ট্র ও মজিনার নিজ অঙ্গরাজ্য আইওয়ার পতাকা রয়েছে। আর পেছনে বাংলা ও
ইংরেজি ভাষায় লেখা 'বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী রিকশা'; আছে বাংলাদেশ ও
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকার ছবিও। সেখানে ফুল, পাখি ছাড়াও আছে
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, আর বাংলাদেশের জাতীয়
স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি।<br />
ফেসবুকে মজিনাকে অনেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপহার হিসেবে
বাংলাদেশি রিকশা গ্রহণের জন্য। আবার কেউ কেউ 'মামা যাবেন?' বা 'গুলিস্তান
যাবেন?'- এমন মন্তব্যও লিখেছেন।<br />
উপহার হিসেবে পাওয়া রিকশাটি মজিনা ঢাকায় তাঁর বাসভবনে রেখেছেন।<br />
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বরাবরই আশাবাদী
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেই তিনি
সাংবাদিকদের জানান, এ দেশে ফিরে আসাই ছিল তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর স্বপ্ন। সে
স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। <br />
রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে মজিনা যখন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে রাজনৈতিক
শাখার দায়িত্বে ছিলেন তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে জানাশোনা এ দেশের কূটনীতিকদের।
এমন এক বাংলাদেশি কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মজিনার বাংলাদেশের ব্যাপারে
অনেক উচ্চ ধারণা। তিনিই একদিন আমাকে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে অন্তত
সিঙ্গাপুরের সমতুল্য ভাববেন। এ দেশের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।' <br />
মজিনা বাংলাদেশের অনেক জেলা ঘুরে দেখেছেন। ৬৪টি জেলার সবই ঘুরে দেখতে চান
তিনি। তাঁর সময়েই গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন
বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ককে 'চমৎকার'
বলে অভিহিত করেছেন তিনি। মজিনা মনে করেন, বন্ধুদের নানা ইস্যু থাকবেই,
যেমনটা অনেক দিন ধরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে। <br />
মজিনা বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, রেশম, চামড়া শিল্প পণ্যের
ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রশংসাও তিনি করেছেন।</span></span></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-88252693699350462752012-12-12T22:53:00.000+06:002012-12-12T22:53:46.893+06:00১২.১২.১২ সাকিব শিশিরের বিয়ে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkWAUEc2Q-JHyWioh2GrW18xFJmWj_RD5mKs1QtFP2z7_rNR7nXFwVTnxPBFiD9F_nRp71pBjui9eiE53WQaxU41FiVCud-BgPzuAnO_oyz9eL1pGhyphenhyphenOVTuqj38nDZskZoS6PA98jYrbpW/s1600/Shakib-Shishir.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkWAUEc2Q-JHyWioh2GrW18xFJmWj_RD5mKs1QtFP2z7_rNR7nXFwVTnxPBFiD9F_nRp71pBjui9eiE53WQaxU41FiVCud-BgPzuAnO_oyz9eL1pGhyphenhyphenOVTuqj38nDZskZoS6PA98jYrbpW/s1600/Shakib-Shishir.jpg" /></a></div>
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">একজন
থাকেন বাংলাদেশে, অন্যজন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমজন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে
গেলেন ইংল্যান্ডে, অন্যজন সেখানে গেলেন ছুটির অবসরে। ভাগ্যবিধাতার অদৃশ্য
রিমোট কন্ট্রোলে ওখানেই পরিচয় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে উম্মে আহমেদ
শিশিরের। সেটি আজ পরিণত হচ্ছে পরিণয়ে। বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল
হাসানের জীবনসঙ্গী হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এ তরুণী। আজ ১২.১২.১২
তারিখে সোনারগাঁও হোটেলে আকদের মাধ্যমে জীবন ইনিংসে জুটি বাঁধছেন
সাকিব-শিশির।</span><br />
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">
২০১০ সালে পরিচয়ের পর তাঁদের মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়। তবে দুই পরিবারের
সম্মতিতেই বিয়েটা হচ্ছে। আজ আকদ হলেও তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে পরে।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী শিশিরকে নিয়ে পরশু শেরেবাংলা
স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সাকিব। তাঁরা বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার
টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচ উপভোগ করেন। এরপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের
সঙ্গে হবু স্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন। </span><br />
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জীবনসঙ্গী হতে যাওয়া উম্মে আহমেদ শিশিরকে নিয়ে তাই
কৌতূহলের শেষ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাত্রী নারায়ণগঞ্জের মেয়ে হওয়ায়
কৌতূহল কয়েক ধাপ বেশি নারায়ণগঞ্জবাসীরও। শিশিরের পরিচয় জানতে তাই বিভিন্ন
শ্রেণী-পেশার মানুষ ফোন করছে সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোনেও। তাঁকে
নারায়ণগঞ্জের মেয়ে বলে সাকিব পরিচয় করিয়ে দিলেও মূলত শিশিরের বাবার আদি
নিবাস নরসিংদীর রায়পুরা এলাকায়। </span><br />
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">
সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের টেকনিক্যাল অপারেটের ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মো.
শহীদুল্লাহ জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হওয়ার আগে শিশিরের পরিবার থাকত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের সরকারি কোয়ার্টারে।
শিশিরের বাবা মমতাজ আহমেদ ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিদ্ধিরগঞ্জ
পাওয়ার স্টেশন) কর্মচারী। তাঁর চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিশির ছিলেন
সবার ছোট।</span><br />
<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: large; text-align: justify;">
১৯৯২ সালের দিকে ডিভি লটারি পান মমতাজ ও তাঁর পরিবার। পরে পর্যায়ক্রমে
সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জামান। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময়
শিশির সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর
ছাত্রী ছিলেন। ওই সময় মমতাজ আহমেদ, তাঁর এক ছেলে ও শিশির যুক্তরাষ্ট্রে
গিয়েছিলেন। তাঁদের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় একটি জমি ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে ওই জমি বিক্রি করেন মমতাজ আহমেদ।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-43833119523497611462012-11-07T19:55:00.000+06:002012-11-07T19:55:13.631+06:00দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট ওবামা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdQNZTr_Hh7x2mMUefxkSnczkP-ovD9MceCoWtE14IMa8Khwue0Sw2NlidzxTvkL0D6QmcfV5gAmospxjHoNMjugfalF_fKzPdUKLMLII4SLDgy7eRKLOeDG66uFFYWV2ajr2q8Hg80CsD/s1600/Obama+family+after+win.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="226" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdQNZTr_Hh7x2mMUefxkSnczkP-ovD9MceCoWtE14IMa8Khwue0Sw2NlidzxTvkL0D6QmcfV5gAmospxjHoNMjugfalF_fKzPdUKLMLII4SLDgy7eRKLOeDG66uFFYWV2ajr2q8Hg80CsD/s400/Obama+family+after+win.jpg" width="400" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে বারাক ওবামা
দেশের জন্য সেরাটা দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচনে বিজয়ের খবর
পাওয়ার পর শিকাগোতে নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে যান প্রেসিডেন্ট
ওবামা। এ সময় তার সাথে ছিলেন স্ত্রী মিশেল, দুই মেয়ে শাসা ও মালিয়া।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
বিজয়ী ভাষণে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ওবামা বলেন, আমরা একটি আমেরিকান পরিবার
এবং যারা একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে জানে, পতনেও থাকে একসঙ্গে। আমেরিকাকে এগিয়ে
নিতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী রমনির সঙ্গে
আলোচনা করবেন বলে সমর্থকদের জানান তিনি।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
সরকারের বাজেট ঘাটতি হ্রাস, কর নীতিমালা নির্ধারণ ও অভিবাসন ব্যবস্থা
সংস্কারের বিষয়ে কংগেসে রিপাবলিকান নেতাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার
করেন তিনি।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ওবামা বলেন, অসম্পন্ন ও সামনের কাজগুলো আরো
সংকল্পবদ্ধ ও উত্সাহ নিয়ে শেষ করার প্রত্যয়ে হোটাইট হাউজে ফিরছেন তিনি।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
তিনি আরো বলেন, আমাদের ঐক্যকে সুসংহত করার কাজ আরো সামনে এগিয়ে গেল। যারা
২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে নিজেদের ভবিষ্যত্ নির্ধারণের
অধিকার আদায় করেছিল।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন,
আপনারা আমার পক্ষে জনসমর্থন তৈরি করেছেন। আমার হয়ে আপনারাই প্রচারণার
অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিকূলতা ঠেলে এ বিজয়কে সামনে নিয়ে গেছেন।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
তিনি আরো বলেন, আমরা সাদা, কালো, এশিয়ান, আফ্রিকান হিসাবে কাউকে বিবেচনা
করতে চাই না। আমরা সবাই আমেরিকান এটাই আমাদের সব থেকে বড় পরিচয়। আমাদের
সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। নতুন নতুন কাজ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বেকার
সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের অসমাপ্ত কাজ এবার শেষ করতে হবে।</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcTjnnCzqjb7ZYtwfp5S6cpmj_KcpmG4fOIGUsrnP1DRWS_q2L1BT2Qw2WqoDhCMMx7x3fsMf5ZlwNucKnLZt9NBtPxY7FfglaIPcpja_TNQGTPccCQCmkTC49_qxUitoI2ce3PeT6NDeW/s1600/Obama+wins.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcTjnnCzqjb7ZYtwfp5S6cpmj_KcpmG4fOIGUsrnP1DRWS_q2L1BT2Qw2WqoDhCMMx7x3fsMf5ZlwNucKnLZt9NBtPxY7FfglaIPcpja_TNQGTPccCQCmkTC49_qxUitoI2ce3PeT6NDeW/s320/Obama+wins.jpg" width="320" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে ৩০৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন
বারাক ওবামা। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী মিট
রমনি পেয়েছেন ২০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন
ছিল ২৭০টির। খবর বিবিসির।</span>
</div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">
মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোর খবর অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামা
গুরুত্বপূর্ণ ওহায়ো অঙ্গরাজ্যে জয়লাভ করেছেন। এদিকে এখনও পর্যন্ত পাওয়া
ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্ব্বী মিট রমনি নির্বাচনে
তার পরাজয় মেনে নিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের জন্য রমনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে
অভিনন্দন জানিয়েছেন। রমনির নির্বাচনী সদরদপ্তর ম্যাসাচুস্টেসে সমর্থকদের
উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় তাদের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-71852094635990579212012-11-06T20:42:00.001+06:002012-11-06T20:42:33.379+06:00যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-UzRwJ3DWJ2dAOI8yd8dWR4dhAyHn7DAPC4SRb74tDGCWZ7WfY-lWVIuaPRYbzI3r-yBNaEessyRfJ9ong7jfKII94CWHT-rb3bsrop_EdnAoDDatIs1qodYSZsXqv06YIJVCu34TtU3/s1600/US+election+%28cartoon%29.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-UzRwJ3DWJ2dAOI8yd8dWR4dhAyHn7DAPC4SRb74tDGCWZ7WfY-lWVIuaPRYbzI3r-yBNaEessyRfJ9ong7jfKII94CWHT-rb3bsrop_EdnAoDDatIs1qodYSZsXqv06YIJVCu34TtU3/s1600/US+election+%28cartoon%29.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন আজ। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে এই নির্বাচনের দিকে। কে হচ্ছেন হোয়াইট
হাউসের পরবর্তী চার বছরের নতুন অধিকর্তা? কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭তম
প্রেসিডেন্ট? ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বারাক ওবামা নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী
মিট রমনি? এসব প্রশ্ন ও রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার অবসান হবে আজকের নির্বাচনের
মাধ্যমে। তবে এখন পর্যন্ত দুই প্রার্থীরই জয়ের সম্ভাবনা সমান সমান। এক
জরিপে ওবামা এগিয়ে গেলে, অন্য জরিপে এগিয়ে থাকছেন রমনি। তাই কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট তা নিয়ে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। সময় যত গড়াচ্ছে উত্তেজনা ততই বাড়ছে।<br />বিবিসির
সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ওবামাকে সমর্থন করছেন ৪৯ শতাংশ, মিট রমনিকে
সমর্থন করছেন ৪৮ শতাংশ জনগণ। এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপ অনুসারে
দুই প্রার্থীর পক্ষেই সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশ ভোটারের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও
জরিপ সংস্থা ইপসোসের জরিপেও দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রায় সমান জনসমর্থন
প্রকাশ পেয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫ হাজার ৭৬০ ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশ
ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ওবামাকে সমর্থন দিয়েছেন আর ৪৭ শতাংশ বলেছেন রমনির
কথা।<br />বিশ্লেষকরা বলছেন, ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মূলত ১১
রাজ্যের ১২৩ ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। এই ১২৩ ইলেকটোরাল
কলেজের মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডার ২৯, নর্থ ক্যারোলিনার ১৫, ভার্জিনিয়ার ১৩,
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ৪, আইওয়ার ৬, কলোরাডোর ৯, নেভাদার ৬, ওহাইওর ১৮,
মিনেসোটার ১০, মিসৌরির ১০ ও মন্টানোর ৩টি। এই রাজ্যগুলোর জনমত জরিপে উভয়ের
অবস্থান খুবই কাছাকাছি। </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh42f1CUmsb0UIKVZoQq1rQIRdHjGdmyRFirix85PJlcLnAj-oFbwDR5mubl2vIXN0qgCxPNC7AtwyDevDzwQ0wMr4wtCJgGvazbEf64pnnkM_q9I2hQ_7VDBasC0bk70k7OXODAiuGHIk7/s1600/US+election.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh42f1CUmsb0UIKVZoQq1rQIRdHjGdmyRFirix85PJlcLnAj-oFbwDR5mubl2vIXN0qgCxPNC7AtwyDevDzwQ0wMr4wtCJgGvazbEf64pnnkM_q9I2hQ_7VDBasC0bk70k7OXODAiuGHIk7/s1600/US+election.jpg" /></a></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;">আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যে পদ্ধতিতে<br />আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষদের একজন বলেই গণ্য করেন অনেকে। কিন্তু কীভাবে নির্বাচিত হন এই ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট? এই পদ্ধতিটি নিশ্চয়ই সুচারু হওয়াটা জরুরি। কারণ আমেরিকার সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনেক। তিনি একইসঙ্গে দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রধান ও সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন-চিফ। কংগ্রেসের যে কোনো আইনকে অনুমোদন ও বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে তার। মন্ত্রিসভা গঠন এবং উপদেষ্টা নিয়োগেও রয়েছে একচ্ছত্র ক্ষমতা। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন তিনিই। এমন ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিটি খুবই জটিল। অনেকেই মনে করেন প্রেসিডেন্ট বুঝি সরাসরি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন জিতে নিতে হয় প্রার্থীকে। আর এই মনোনয়ন পেতেও প্রচারণা চালাতে হয় তাদের। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পদ্ধতিতে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত কনভেনশনের মাধ্যমেই দলগুলো তাদের প্রার্থী নির্ধারণ করে থাকে। প্রথমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়নের জন্য নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। আর এজন্য তাকে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হতে হয়। বয়স হতে হয় কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং অন্তত ১৪ বছর আমেরিকায় বসবাস করতে হয়। আর কেউই দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। দলীয় মনোনয়ন লাভের পরই ওই প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরাই সাধারণত নিজেদের রানিংমেট বা ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাছাই করে থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভোট একসঙ্গে সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ও তার রানিংমেট বা ভাইস-প্রেসিডেন্ট একসঙ্গে এক টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটারদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য একটি টিকিট দেয়া হয়। তারা একজন প্রেসিডেন্টের পক্ষে ভোট দিয়ে তার রানিংমেট ছাড়া অন্য প্রার্থীর রানিংমেটকে ভোট দিতে পারেন না। আমেরিকার সংবিধানের ২ নাম্বার ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে। দেশটিতে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা সর্বমোট ৫৩৮টি। কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী হতে হলে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি পেতে হবে। নির্বাচনের দিন ভোটাররা ভোট দেন, কিন্তু প্রার্থীরা সরাসরি সে ভোট পান না। ভোট পড়ে তাদেরই মনোনীত ইলেক্টোরাল কলেজের সপক্ষে। পরবর্তী পর্যায়ে এই ইলেক্টোরাল কলেজের দ্বারা আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইলেক্টোরাল কলেজ কী ইলেক্টোরাল কলেজ নামে এই শব্দের সহজ বাংলা হচ্ছে নির্বাচকম-লী। বিভিন্ন রাজ্যে দলগুলোর রাজ্য শাখার মনোনীত প্রতিনিধিরাই ওই রাজ্যের 'নির্বাচক' হিসেবে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্য হন। সাধারণত নির্বাচনের আগের মাসগুলোতেই এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে থাকে। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজ্য সেখানকার নির্বাচকদের মনোনয়ন দিতে কিংবা বেছে নিতে পারে। কোথাও কোথাও অন্যান্য প্রার্থীর মতোই এ নির্বাচকরাও প্রাইমারি বা দলীয় ককাসে নির্বাচিত হন। ওকলাহোমা, ভার্জিনিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনার মতো কোনো কোনো রাজ্যে দলীয় কনভেনশনের মাধ্যমে এই নির্বাচন হয়ে থাকে। আর পেনসিলভানিয়ায় দলীয় প্রচার শিবিরের কমিটি স্থানীয় নির্বাচকদের নাম ঘোষণা করে থাকে। বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচকদের সংখ্যা নির্ধারিত হয় কংগ্রেসে সেখানকার সিনেটর এবং 'হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস' বা 'প্রতিনিধি পরিষদ' সদস্য সংখ্যার অনুপাতে। রাজ্যে নির্বাচকের মোট সংখ্যা হবে 'সিনেটর' এবং 'প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য'র সমসংখ্যক। এ হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে 'নির্বাচক'র সংখ্যা (৪৩৫ জন 'প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য', ১০০ সিনেটর, ওয়াশিংটন ডিসির জন্য সংরক্ষিত তিনজন নির্বাচক) মোট ৫৩৮ জন। অন্যান্য রাজ্যের মতো সিনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য না থাকলেও ওয়াশিংটন ডিসির জন্য তিনজন নির্বাচক রাখার বিধান করা হয়েছে। সংবিধানের ২৩তম সংশোধনী অনুসারে দেশের সবচেয়ে ছোট রাজ্যের 'নির্বাচক' সংখ্যার সমসংখ্যক 'নির্বাচক' রাখার বিধান করা হয়েছে এই রাজধানী জেলার জন্য। নির্বাচক সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫)। এরপর ক্রমানুসারে বাকি ৬টি রাজ্য হলো টেক্সাস (৩৪), নিউইয়র্ক (৩১), ফ্লোরিডা (২৭), ইলিনয় (২১), পেনসিলভানিয়া (২১)। আলাস্কা, ডেলাওয়ার, মন্টানা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, ভারমন্ট এবং ওয়াইওমিং রাজ্য ৭টির নির্বাচক সংখ্যা সবচেয়ে কম। এ রাজ্যগুলোর প্রতিটির জন্য রয়েছেন মাত্র তিনজন নির্বাচক। সাধারণ মানুষের অনেকেই ভাবতে পারেন, নির্বাচনের দিন তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু আসলে তারা ভোট দিচ্ছেন তাদের প্রার্থীর বা দলের নির্বাচককে। নির্বাচকদের নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক রাজ্য তার আইনসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্ধতি বেছে নিতে পারে। তবে বর্তমানে সব রাজ্যই কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের নির্ধারিত দিনকেই এজন্য বেছে নিয়েছে। এদিনে বিভিন্ন প্রার্থী বা দলের মনোনীত নির্বাচকরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। প্রতি ৪ বছর পর পর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রথম মঙ্গলবার পড়েছে ৬ নভেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী এদিনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু মাসের ১ তারিখ যদি মঙ্গলবার হয়, তাহলে ওই দিন নির্বাচন হবে না, সেক্ষেত্রে পরবর্তী মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠান করাটাই বিধান।</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-570880266791709768.post-13197664242177693782012-11-05T21:05:00.000+06:002012-11-05T21:05:56.499+06:00আদালতে হাজিরা দিতে এসে বাথরুমে সন্তান জন্মদান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<span style="font-size: large;"></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-size: large;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi44_eW8HIRq5PM4h-LVzRy8BjxOeEch1FPX_NeXZQwUfmFgo320MnkEfS8SgnwrA9fMZIKB9I93NjRqBp0S-QFyzCf6e_V2fdbU8Xl__44VWOWBD2m-pZ0URU1lzHlY_9kW4JZHymfEaxR/s1600/Baby+of+Rehana.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi44_eW8HIRq5PM4h-LVzRy8BjxOeEch1FPX_NeXZQwUfmFgo320MnkEfS8SgnwrA9fMZIKB9I93NjRqBp0S-QFyzCf6e_V2fdbU8Xl__44VWOWBD2m-pZ0URU1lzHlY_9kW4JZHymfEaxR/s320/Baby+of+Rehana.jpg" width="320" /></a></span></div>
<span style="font-size: large;"><span style="color: #1a1a1a; display: block; text-align: justify;">রাজশাহীর
কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজিরা দিতে এসে বন্ধ থাকা
আইনজীবীর চেম্বারের পাশের বাথরুমে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন রেহানা। আজ
সোমবার সকাল ৮ টায় ৭/৮ নওয়াবপুর রোডস্থ আনোয়ার টাওয়ারের দোতলায় অবস্থিত
এডভোকেট এনামুল হক (টিপু)-র চেম্বারের পাশের বাথরুমে এই নবজাতকের ভূমিষ্ঠ
হয়। এটি রেহানা আক্তারের চতূর্থ সন্তান। এর আগে তিনি আরো ৩ টি কন্যা
সন্তানের মা হয়েছেন। তার স্বামীর নাম হাছান। তিনি একজন রিক্সাচালক।
বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ থাকলেও তাদের গরম কাপড় চোপড় দরকার। ঢাকায় তার
থাকার কোন জায়গা নেই। তিনি কিভাবে এ অবস্থায় রাজশাহী ফিরে যাবেন এটি নিয়েই
তিনি বেশ চিন্তিত।<br />
<br />
গত প্রায় একমাস যাবতই রেহানা আক্তার অসুস্থ ছিলেন। গতকাল পর্যন্ত তিনি একটি
হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত তারিখেও তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারেন নি। এই
তারিখেও তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান। তিনি তার আইজীবীকে
বিস্তারিত ভাবে শারীরীক অসুস্থতার কথা বললেও আইনজীবীকে তাকে যেভাবেই হউক
আসার কথা বলেন। আইনজীবীর অনড় মনোভাবের কারনে তিনি আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে
তিনি জানান।<br />
<br />
গত প্রায় তিন বছর আগে ১৩ পিস ভারতীয় শাড়িসহ আরো আট জনের সাথে জয়দেবপুরে
আটক হন রেহানা। সেই থেকে তিনি হাজিরা দিয়ে আসছেন। প্রসুতির আইনজীবী
এডভোকেট এনামুল হক (টিপু) তার চেম্বারের পাশের বাথরুমে মক্কেলের সন্তান
ভূমিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চেম্বারের পাশের ইউনিক অটো ড্রাই
ক্লিনার্সের মালিক তোফাজ্জল হোসেন জানান সকাল ৭:৩০ টার দিকে তারা ৯/১০ জন
এসেছেন। হঠাৎ একজন প্রসব বেদনা অনুভব করলে স্থানাভাবে সাথের অন্য মাহিলারা
তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। সেখানে ৮ টার দিকে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম
দিয়েছেন বলে তিনি জানান।</span></span></div>
Unknownnoreply@blogger.com0