পশ্চিমা ধাঁচের উন্মাদনায় নববর্ষের প্রথম দিনটি কাটালো ঢাকার অভিজাত সমাজ। বর্ষবরণে রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেল ও ক্লাবগুলোতে দর্শকদের জন্য ডিজে পার্টি ও ফ্যাশন শো'র আয়োজন করা হয়। এ সব অনুষ্ঠানের কয়েকটিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার চিত্র বিভিন্ন পত্রিকার ফটো সাংবাদিকরা ধারণ করলে হোটেল কতর্ৃপক্ষ তাদের অবরুদ্ধ করে রেখে ছবিগুলো ক্যামেরা থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য করে। প্রত্যক্ষদশর্ীদের বর্ণনা মতে, সবচেয়ে বেশি বিশৃংখল পরিবেশের সৃষ্টি হয় হোটেল শেরাটনে। রাত ২টার দিকে নাচের তালে তালে এক তরুণীর সঙ্গে ২০/২৫ জন যুবক অসদাচরণ করলে টানাটানির ঘটনা শুরু হয়। অসদাচরণের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে বিভিন্ন পত্রিকার ফটো সাংবাদিকরা। আর তাতে বাদ সাধে হোটেল কতর্ৃপক্ষ। ওই সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে হোটেলের তৃতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবিগুলো মুছে ফেলা হয়। এ ঘটনায় সেখানে অবস্থানরত অন্য সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে হোটেলের সেলস এন্ড মার্কেটিং কর্মকর্তা শফিক ক্ষমা চেয়ে পার পান। হোটেল শেরাটনের বলরুম এবং উইন্টারগার্ডেনে ডিজে পার্টির আয়োজন করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান খান ভিশন। শুরু থেকেই অনুষ্ঠানের দুর্বল মান নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ ছিল। রাত ৩টায় তা চরম আকার ধারণ করে। অনুষ্ঠানের ঘোষণা অনুযায়ী শিল্পী উপস্থিত না থাকায় উত্তেজিত দর্শকরা বল রুমের স্টেজ ভাঙচুর করে। পরে হোটেল কতর্ৃপৰ বল রুমের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। অনুরূপ আরেকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বনানীর হোটেল সেরিনায়। এ হোটেলের ৩, ৪, ১৩ ও ১৯ তলায় আলাদা আলাদা ডিজে পার্টির আয়োজন ছিল। প্রতি ফ্লোরে ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচে পড়া ভিড়। হোটেলে প্রবেশের পথে এক তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অন্য এক যুবক। আর এ নিয়ে ওই তরুণীর বয়ফ্রেন্ড এবং যুবকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যদিও আয়োজকরা অল্প সময়েই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। নববর্ষ বরণে হোটেল রিজেন্সী, ওয়েস্টিন, রেডিসন, সোনারগাঁও, ঈশা খাঁসহ প্রায় সব পাঁচতারা হোটেল ও ক্লাবে ডিজে, সাম্বা নাচ ও ফ্যাশন শোর আয়োজন ছিল। রাত বাড়তেই এসব হোটেল, ক্লাবগুলোতে তরুণ-তরুণী যুগলদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রায় সব তরুণীর পোশাকে পশ্চিমা সংস্কৃতির উগ্রতার ছাপ স্পষ্ট ছিল।
আমরা বাংগালিরা ডিজিটাল পোজ মাইরা চলতে চাই তাহলে আর কি হবে এর চেয়এ ভাল ।
ReplyDelete