প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে চুলোচুলি ও হাতাহাতিতে জড়ালো ছাত্রলীগ। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলের ব্যানার কে ধরবে এ নিয়ে মধুরক্যান্টিনের সামনেই কথাকাটাকাটি হয়। রীতি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের শাখার ছাত্রীরা মিছিলের ব্যানার ধরে। মিছিলটি কলা ভবনের পাশে শ্যাডো চত্বরে আসতেই ইডেন কলেজের সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন ছাত্রী হঠাৎ করেই পেছনের সারি থেকে সামনের সারিতে গিয়ে ব্যানার ধরার চেষ্টা করে। এ নিয়েই শুরু দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পরে তা চুলোচুলিতে রূপ নেয়। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইডেন কলেজ শাখার নেত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে কোন ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না। বিশেষ করে ১২ই মার্চ ইডেনে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর ওই শাখার নেত্রীরা নিষ্ক্রিয়। ছাত্রীদের অনৈতিক কাজ করাতে বাধ্য করার প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়েছিল। কলেজের সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করান বলে ওই সময় অভিযোগ করেন নির্যাতিত ছাত্রীরা। ইডেন কলেজ শাখার মেয়াদ শেষ হয়েছে সাড়ে তিন বছর আগে। ২০০৬ সালের ১৫ই জানুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ১৪ই জানুয়ারি। নতুন কমিটি শিগগিরই দেয়া হচ্ছে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সক্রিয় হয় ইডেন নেত্রীরা। প্রায় এক বছর পরে শেখ হাসিনার জন্মদিনে কভার পেতে ব্যানার নিয়ে টানাটানি করে। সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, রোকেয়া হলের তন্বী ও শামসুন্নাহার হলের প্রার্থী নুসরাতসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইডেনের নেত্রী আয়েশা, সীমা ও ইয়াসমিন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ হায়দার চৌধুরী রোটনসহ ছাত্রলীগের অন্য নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও প্রায় ২০ মিনিট চলে হাতাহাতি ও চুলোচুলি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রলীগের অবস্থান ক্ষুণ্ন্ন করার করার জন্য এ ধরনের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক লিলি বলেন, পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিঝুমের বক্তব্যের জন্য তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে আরেক ছাত্রী ফোন ধরে বলেন, আপা ব্যস্ত আছেন। সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ হায়দার চৌধুরী রোটন। রিপন ও রোটন বলেন, ছাত্রলীগের ভেতর যারা ছাত্রলীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আর ছাত্রলীগ করতে দেয়া হবে না।
September 29, 2010
হাসিনার জন্মবার্ষিকীর আনন্দ মিছিলে ছাত্রলীগের হাতাহাতি, চুলোচুলি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে চুলোচুলি ও হাতাহাতিতে জড়ালো ছাত্রলীগ। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলের ব্যানার কে ধরবে এ নিয়ে মধুরক্যান্টিনের সামনেই কথাকাটাকাটি হয়। রীতি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের শাখার ছাত্রীরা মিছিলের ব্যানার ধরে। মিছিলটি কলা ভবনের পাশে শ্যাডো চত্বরে আসতেই ইডেন কলেজের সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন ছাত্রী হঠাৎ করেই পেছনের সারি থেকে সামনের সারিতে গিয়ে ব্যানার ধরার চেষ্টা করে। এ নিয়েই শুরু দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পরে তা চুলোচুলিতে রূপ নেয়। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইডেন কলেজ শাখার নেত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে কোন ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না। বিশেষ করে ১২ই মার্চ ইডেনে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর ওই শাখার নেত্রীরা নিষ্ক্রিয়। ছাত্রীদের অনৈতিক কাজ করাতে বাধ্য করার প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়েছিল। কলেজের সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করান বলে ওই সময় অভিযোগ করেন নির্যাতিত ছাত্রীরা। ইডেন কলেজ শাখার মেয়াদ শেষ হয়েছে সাড়ে তিন বছর আগে। ২০০৬ সালের ১৫ই জানুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ১৪ই জানুয়ারি। নতুন কমিটি শিগগিরই দেয়া হচ্ছে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সক্রিয় হয় ইডেন নেত্রীরা। প্রায় এক বছর পরে শেখ হাসিনার জন্মদিনে কভার পেতে ব্যানার নিয়ে টানাটানি করে। সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, রোকেয়া হলের তন্বী ও শামসুন্নাহার হলের প্রার্থী নুসরাতসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইডেনের নেত্রী আয়েশা, সীমা ও ইয়াসমিন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ হায়দার চৌধুরী রোটনসহ ছাত্রলীগের অন্য নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও প্রায় ২০ মিনিট চলে হাতাহাতি ও চুলোচুলি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রলীগের অবস্থান ক্ষুণ্ন্ন করার করার জন্য এ ধরনের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক লিলি বলেন, পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিঝুমের বক্তব্যের জন্য তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে আরেক ছাত্রী ফোন ধরে বলেন, আপা ব্যস্ত আছেন। সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ হায়দার চৌধুরী রোটন। রিপন ও রোটন বলেন, ছাত্রলীগের ভেতর যারা ছাত্রলীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আর ছাত্রলীগ করতে দেয়া হবে না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment