December 12, 2012

১২.১২.১২ সাকিব শিশিরের বিয়ে


একজন থাকেন বাংলাদেশে, অন্যজন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমজন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গেলেন ইংল্যান্ডে, অন্যজন সেখানে গেলেন ছুটির অবসরে। ভাগ্যবিধাতার অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে ওখানেই পরিচয় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে উম্মে আহমেদ শিশিরের। সেটি আজ পরিণত হচ্ছে পরিণয়ে। বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জীবনসঙ্গী হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এ তরুণী। আজ ১২.১২.১২ তারিখে সোনারগাঁও হোটেলে আকদের মাধ্যমে জীবন ইনিংসে জুটি বাঁধছেন সাকিব-শিশির।
২০১০ সালে পরিচয়ের পর তাঁদের মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়। তবে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েটা হচ্ছে। আজ আকদ হলেও তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে পরে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী শিশিরকে নিয়ে পরশু শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সাকিব। তাঁরা বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচ উপভোগ করেন। এরপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে হবু স্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জীবনসঙ্গী হতে যাওয়া উম্মে আহমেদ শিশিরকে নিয়ে তাই কৌতূহলের শেষ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাত্রী নারায়ণগঞ্জের মেয়ে হওয়ায় কৌতূহল কয়েক ধাপ বেশি নারায়ণগঞ্জবাসীরও। শিশিরের পরিচয় জানতে তাই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ফোন করছে সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোনেও। তাঁকে নারায়ণগঞ্জের মেয়ে বলে সাকিব পরিচয় করিয়ে দিলেও মূলত শিশিরের বাবার আদি নিবাস নরসিংদীর রায়পুরা এলাকায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের টেকনিক্যাল অপারেটের ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মো. শহীদুল্লাহ জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হওয়ার আগে শিশিরের পরিবার থাকত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের সরকারি কোয়ার্টারে। শিশিরের বাবা মমতাজ আহমেদ ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন) কর্মচারী। তাঁর চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিশির ছিলেন সবার ছোট।
১৯৯২ সালের দিকে ডিভি লটারি পান মমতাজ ও তাঁর পরিবার। পরে পর্যায়ক্রমে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জামান। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় শিশির সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। ওই সময় মমতাজ আহমেদ, তাঁর এক ছেলে ও শিশির যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তাঁদের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় একটি জমি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে ওই জমি বিক্রি করেন মমতাজ আহমেদ।

No comments:

Post a Comment

Khoj Khobor