উপহার পাওয়া রিকশার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পৃষ্ঠায়ও স্থান পেয়েছে। সেখানে লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরা রাষ্ট্রদূত মজিনাকে রিকশা চালাতে দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত মজিনা ফেসবুকে জানতে চেয়েছেন, 'আমার নতুন রিকশাটিকে আপনারা কেমন পছন্দ করছেন? আমি কিন্তু আমার নতুন পেশার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি...।'
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার ফেসবুক পেজে লিখেছে, রিকশাটি রাষ্ট্রদূত মজিনাকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দিয়েছেন বড়দিনের উপহার হিসেবে। রিকশার সামনে যুক্তরাষ্ট্র ও মজিনার নিজ অঙ্গরাজ্য আইওয়ার পতাকা রয়েছে। আর পেছনে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা 'বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী রিকশা'; আছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকার ছবিও। সেখানে ফুল, পাখি ছাড়াও আছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, আর বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি।
ফেসবুকে মজিনাকে অনেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপহার হিসেবে বাংলাদেশি রিকশা গ্রহণের জন্য। আবার কেউ কেউ 'মামা যাবেন?' বা 'গুলিস্তান যাবেন?'- এমন মন্তব্যও লিখেছেন।
উপহার হিসেবে পাওয়া রিকশাটি মজিনা ঢাকায় তাঁর বাসভবনে রেখেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ড্যান ডাব্লিউ মজিনা। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ দেশে ফিরে আসাই ছিল তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর স্বপ্ন। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে মজিনা যখন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে রাজনৈতিক শাখার দায়িত্বে ছিলেন তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে জানাশোনা এ দেশের কূটনীতিকদের। এমন এক বাংলাদেশি কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মজিনার বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেক উচ্চ ধারণা। তিনিই একদিন আমাকে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে অন্তত সিঙ্গাপুরের সমতুল্য ভাববেন। এ দেশের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।'
মজিনা বাংলাদেশের অনেক জেলা ঘুরে দেখেছেন। ৬৪টি জেলার সবই ঘুরে দেখতে চান তিনি। তাঁর সময়েই গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ককে 'চমৎকার' বলে অভিহিত করেছেন তিনি। মজিনা মনে করেন, বন্ধুদের নানা ইস্যু থাকবেই, যেমনটা অনেক দিন ধরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে।
মজিনা বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, রেশম, চামড়া শিল্প পণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রশংসাও তিনি করেছেন।
No comments:
Post a Comment