দেশের আলোচিত, সমালোচিত এবং বিতর্কিত বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের পক্ষে সাফাই গাইলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)'র সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সবচেয়ে সফল মন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত তাকে করেছেন। ভারতের বাজারে বিনাশুল্কে ৪৬টি পণ্য প্রবেশের সুযোগ আদায় করে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সফলতা এনেছেন স্বাধীনতার পর আর কেউ তা পারেননি, বলেন এ কে আজাদ।
শনিবার ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। এ কে আজাদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বেড়েই চলছে। এ ঘাটতি কমানোর জন্য কাজ করেও আমরা সফল হয়নি। কিন্তু বিগত এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সফলতা নিয়ে বিরোধীতাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা বলছেন এ সফরে আমরা কিছুই পেলাম না- তারা সঠিক কথা বলছেন না। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বাংলাদেশিদের জন্য ২৪ ঘণ্টা খুলে দেয়া হয়েছে, বিনাশুল্কে ৪৬টি পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমোদন পেয়েছে, যা আমাদের বড় প্রাপ্তি।
এফবিসিসিআই সভাপতি এ সময় সরকারি দলের কাছে বিরোধী দলে গেলে হরতাল না করার ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীবান্ধব পরিবেশ পেলে আগামী দুই বছর পর দেশে ৩ লাখ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট দেয়া হবে তার ৬০ শতাংশ অর্থ রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে জোগান দেবে ব্যবসায়ীরা। এর পরপরই প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও বিনাশুল্কে ৪৬টি ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমোদনকে একটি বিশাল অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন। কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে নাম সর্বস্ব সংগঠন যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পকেট সংগঠন নয়- একটি কার্যকর সংগঠন হিসেবে আপনাদের কাজ করতে হবে। কুয়েতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আগামীতে যাতে কুয়েতে রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়ে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন। অনুষ্ঠানে ৬ সেপ্টেম্বর কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বারের নির্বাচিত ২৭ সদস্যের কমিটির নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল মতিন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
No comments:
Post a Comment