বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলের ডাকা দেশব্যাপী টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে বেপরোয়া পুলিশ ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে। কোথাও নামতে দেয়নি হরতাল পালনকারীদের। সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার শিকার হন বিরোধী দলের নারী ও পুরুষ সংসদ সদস্যরা। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের জন্য নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাতায়াতের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল। নেতা-কর্মীদের রাস্তায় নামতে দেওয়া দূরে থাক মানিক মিয়া এভিনিউতে বিএনপি সংসদ সদস্যদের মিছিলে অতিউৎসাহী পুলিশ বিনা উসকানিতে আক্রমণ করেছে। বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর বর্বর হামলাই করেনি তার মাথা ফাটিয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। টিভি ক্যামেরা ও ফটো সাংবাদিকদের উপেক্ষা করে তাকে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। পুলিশ রাস্তায় ফেলে গায়ে সজোরে বুটের লাথি চালিয়েছে। অসম্মানজনকভাবে গায়ের গেঞ্জি খুলে নিয়ে চ্যাংদোলা করে লাঠিপেটা করেছে। একদল পুলিশের নির্লজ্জ আক্রমণের মুখে অসহায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক জান বাঁচাতে পাগলের মতো দৌড়ে ন্যাম ভবনে সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী পাপিয়ার বাসভবনের দিকে ছুটে গেলেও তাকে রেহাই দেওয়া হয়নি। ন্যাম ভবনের লিফট থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে বেধড়ক পেটায়। তাকে পুলিশ-গাড়িতে তুলেও ফেলে দেওয়া হয়। জয়নুল আবদিন ফারুককে পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথাসহ গায়ে ১৯টি সেলাই লেগেছে। আজ তার সিটিস্ক্যান হবে। গতকাল সারা দেশেই টিভিতে যারা এই দৃশ্য দেখেছেন আলোচনার ঝড় তুলেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে মিছিল বের করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ ও সহকারী কমিশনার বিপ্লবকুমারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং জয়নুল আবদিন ফারুক বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তাকে রাস্তায় ফেলে কিল-ঘুষি, বুটের লাথি মারতে থাকে। পুলিশ ফারুকের হাতের ব্যান্ডেজ ও টিশার্ট খুলে ফেলে। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার মাথা ও নাক ফেটে শরীর রক্তাক্ত হয়। এ সময় রাস্তায় শুয়ে পড়া ফারুকের পরনের প্যান্ট টেনে নামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ফারুক ন্যাম ভবনের দিকে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা করে পুলিশ। ভবনের নিচতলায় ফেলে আবারও বেধড়ক পেটানো হয় আহত জয়নুল আবদিন ফারুককে। এ সময় হারুন অর রশীদকে বুট দিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুককে উপর্যুপরি লাথি মারতে দেখা যায়। এরপর পুলিশের ভ্যানে তুলে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় তাকে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ফারুক এবং তার জিহ্বা বের হয়ে আসে। পুলিশের লাঠিপেটায় মহিলা এমপি শাম্মী আক্তার ও শামসুন্নাহার চুমকিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাদের ন্যাম ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে বিএনপিসহ চার দলের টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়। হরতাল চলাকালে ঢাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পেঁৗছে। প্রাইভেট কার চলাচল না করায় এবং যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কম থাকায় রিকশা ছিল মানুষের প্রধান বাহন। কয়েকটি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করলেও তারা যাত্রীদের কাছে ভাড়া আদায় করে ইচ্ছেমতো। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কের পাশে ছোট-বড় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিএনপি দাবি করেছে, হরতালের আগের রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফা। হরতালে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করলেও তা ছিল প্রায় যাত্রীশূন্য। পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভাব দেখা গেলেও ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে ছিল মন্দাভাব। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ছিল প্রায় বন্ধ। শিল্পকারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল কম।
সব মিলিয়ে হরতালের প্রথম দিনে সাধারণ মানুষের কর্মজীবনে দেখা দেয় স্থবিরতা। ব্যবসা-বাণিজ্যে ছিল অচলাবস্থা। হরতালের প্রভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম। অধিকাংশ ব্যাংকের প্রধান ফটক ছিল বন্ধ। কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল গাছাড়া ভাব। রাজধানীর মতিঝিলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সামনে পুলিশের উপস্থিতির চিত্র ছিল গ্রাহকের তুলনায় বেশি। এ প্রসঙ্গে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল ৭০ ভাগ গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম। খুব বেশি লেনদেনও হয়নি। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বরগুনার কোথাও হরতাল পালিত হয়নি।
এদিকে রাজধানীতে হরতালের প্রথম দিনে সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালীসহ অন্যান্য বাসস্টপেজ ও টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অপরদিকে কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। তবে যাত্রীসংখ্যা ছিল খুবই কম। বিমান চলাচলের শিডিউলে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সদরঘাট থেকে দু-একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও যাত্রীসংখ্যা ছিল কম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে মিছিল বের করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ ও সহকারী কমিশনার বিপ্লবকুমারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং জয়নুল আবদিন ফারুক বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তাকে রাস্তায় ফেলে কিল-ঘুষি, বুটের লাথি মারতে থাকে। পুলিশ ফারুকের হাতের ব্যান্ডেজ ও টিশার্ট খুলে ফেলে। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার মাথা ও নাক ফেটে শরীর রক্তাক্ত হয়। এ সময় রাস্তায় শুয়ে পড়া ফারুকের পরনের প্যান্ট টেনে নামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ফারুক ন্যাম ভবনের দিকে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা করে পুলিশ। ভবনের নিচতলায় ফেলে আবারও বেধড়ক পেটানো হয় আহত জয়নুল আবদিন ফারুককে। এ সময় হারুন অর রশীদকে বুট দিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুককে উপর্যুপরি লাথি মারতে দেখা যায়। এরপর পুলিশের ভ্যানে তুলে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় তাকে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ফারুক এবং তার জিহ্বা বের হয়ে আসে। পুলিশের লাঠিপেটায় মহিলা এমপি শাম্মী আক্তার ও শামসুন্নাহার চুমকিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাদের ন্যাম ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে বিএনপিসহ চার দলের টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়। হরতাল চলাকালে ঢাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পেঁৗছে। প্রাইভেট কার চলাচল না করায় এবং যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কম থাকায় রিকশা ছিল মানুষের প্রধান বাহন। কয়েকটি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করলেও তারা যাত্রীদের কাছে ভাড়া আদায় করে ইচ্ছেমতো। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কের পাশে ছোট-বড় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিএনপি দাবি করেছে, হরতালের আগের রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফা। হরতালে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করলেও তা ছিল প্রায় যাত্রীশূন্য। পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভাব দেখা গেলেও ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে ছিল মন্দাভাব। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ছিল প্রায় বন্ধ। শিল্পকারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল কম।
সব মিলিয়ে হরতালের প্রথম দিনে সাধারণ মানুষের কর্মজীবনে দেখা দেয় স্থবিরতা। ব্যবসা-বাণিজ্যে ছিল অচলাবস্থা। হরতালের প্রভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম। অধিকাংশ ব্যাংকের প্রধান ফটক ছিল বন্ধ। কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল গাছাড়া ভাব। রাজধানীর মতিঝিলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সামনে পুলিশের উপস্থিতির চিত্র ছিল গ্রাহকের তুলনায় বেশি। এ প্রসঙ্গে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল ৭০ ভাগ গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম। খুব বেশি লেনদেনও হয়নি। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বরগুনার কোথাও হরতাল পালিত হয়নি।
এদিকে রাজধানীতে হরতালের প্রথম দিনে সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালীসহ অন্যান্য বাসস্টপেজ ও টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অপরদিকে কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। তবে যাত্রীসংখ্যা ছিল খুবই কম। বিমান চলাচলের শিডিউলে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সদরঘাট থেকে দু-একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও যাত্রীসংখ্যা ছিল কম।
No comments:
Post a Comment