বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান রোববার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বছরের প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন) এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে আগের মতোই ‘উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সহায়ক’ হিসাবে উল্লেখ গভর্নর বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাস্তবানুগ মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হবে।’ মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে একই অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০০৯-২০১০’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এ সময় ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা ও ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশে ও বিদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো অস্থির। এ প্রেক্ষাপটে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে গড় মূল্যস্ফীতি দ্রুত হারে কমবে বলে মনে হয় না। এছাড়া আগামীতে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য পুর্নর্নিধারণ করা হলে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও খানিকটা বাড়তে পারে।’ এ পরিস্থিতিতে চলতি বাজেটে প্রত্যাশিত গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকার সম্ভাবনা কম উল্লেখ করে অর্থবছর শেষে তা ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির ওপর যে চাপ ফেলবে তা রোধের জন্য মুদ্রানীতিতে অপচয়ী অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংক ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
গভর্নর আরো জানান, মুদ্রাস্ফীতির গড় হার গত জুনে ছিলো ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এই হার ছিলো ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির গড় হার দাঁড়ায় ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ হার ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুনে খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত নভেম্বরে তা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য, জ্বালানি ও খাদ্য-বহির্ভূত শিল্পপণ্যের মূল্য বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন গভর্নর।
সমষ্টিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ শতাংশ। কিন্তু রপ্তানির জোরালো বৃদ্ধি সত্ত্বেও আমদানী ব্যয় আরো বেশি হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ তারল্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রায়ই বাজারে টাকা ও মার্কিন ডলারের যোগান দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে আসায় ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। এ কারণে এবার অর্থবছর শেষে নীট বৈদেশিক সম্পদ বৃদ্ধির হার বেশ কমই হবে।’ তবে এর বিপরীতে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন উপকরণের আমদানীর হার বিপুলভাবে বেড়েছে বলেও জানান গভর্নর।
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে উৎপাদনের পরিমানগত সূচকও রয়েছে উর্দ্ধমুখী। আগামীতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতেও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ঘটবে।’ এ অবস্থায় নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি না হলে চলতি অর্থবছর কাঙ্খিত ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে আগের মতোই ‘উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সহায়ক’ হিসাবে উল্লেখ গভর্নর বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাস্তবানুগ মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হবে।’ মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে একই অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০০৯-২০১০’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এ সময় ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা ও ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশে ও বিদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো অস্থির। এ প্রেক্ষাপটে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে গড় মূল্যস্ফীতি দ্রুত হারে কমবে বলে মনে হয় না। এছাড়া আগামীতে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য পুর্নর্নিধারণ করা হলে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও খানিকটা বাড়তে পারে।’ এ পরিস্থিতিতে চলতি বাজেটে প্রত্যাশিত গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকার সম্ভাবনা কম উল্লেখ করে অর্থবছর শেষে তা ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির ওপর যে চাপ ফেলবে তা রোধের জন্য মুদ্রানীতিতে অপচয়ী অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংক ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
গভর্নর আরো জানান, মুদ্রাস্ফীতির গড় হার গত জুনে ছিলো ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এই হার ছিলো ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির গড় হার দাঁড়ায় ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ হার ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুনে খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত নভেম্বরে তা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য, জ্বালানি ও খাদ্য-বহির্ভূত শিল্পপণ্যের মূল্য বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন গভর্নর।
সমষ্টিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ শতাংশ। কিন্তু রপ্তানির জোরালো বৃদ্ধি সত্ত্বেও আমদানী ব্যয় আরো বেশি হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ তারল্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রায়ই বাজারে টাকা ও মার্কিন ডলারের যোগান দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে আসায় ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। এ কারণে এবার অর্থবছর শেষে নীট বৈদেশিক সম্পদ বৃদ্ধির হার বেশ কমই হবে।’ তবে এর বিপরীতে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন উপকরণের আমদানীর হার বিপুলভাবে বেড়েছে বলেও জানান গভর্নর।
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে উৎপাদনের পরিমানগত সূচকও রয়েছে উর্দ্ধমুখী। আগামীতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতেও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ঘটবে।’ এ অবস্থায় নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি না হলে চলতি অর্থবছর কাঙ্খিত ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।
No comments:
Post a Comment