
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদ, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ গুণী এই রবীন্দ্রশিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল দুপুরে তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বারিধারার বাসায় ভিড় জমিয়েছিলেন সংগীতাঙ্গনসহ সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সর্বস্তরের জনগণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে তাকে মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। কলিম শরাফীর জন্ম ১৯২৪ সালের ৮ই মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার খয়রাডিহি গ্রামে। সেটি ছিল তার নানাবাড়ি। মাত্র চার বছর বয়সেই তিনি মাকে হারান। মায়ের অবর্তমানে নানীর স্নেহেই শৈশবের দিন কাটে। গ্রামের লেটোর গান, ঝুমুর গান, আলকাপ, কীর্তন দেখতে দেখতেই তিনি বড় হয়ে ওঠেন। সবার অলক্ষ্যেই সংগীতের প্রতি এক অনির্বচনীয় টান যেন বাসা বাঁধে তার মনের গভীরে। ১৯৪২ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এ সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে জড়িয়ে পড়েন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে। গান্ধীজীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে ১৯৪২ সালের আগস্টে তিনি গ্রেপ্তার হন।। তিনি স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক লাভ করেছেন। অন্যসব আন্দোলনকারীর মধ্যে শিউড়ি জেলে তখন শরাফীই ছিলেন একমাত্র মুসলমান রাজবন্দি
No comments:
Post a Comment