রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলের ৩ ছাত্রলীগ কর্মীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- অনিমেষ বিশ্বাস (২১), গোবিন্দ সাহা (২০) ও প্রকাশ মণ্ডল (২৪)। মন্দিরের পাশে কয়েকটি দোকানের মালিকানা ও পূজা উদযাপন কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মন্দিরের পাশের কয়েকটি দোকানের মালিকানা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উৎপল সাহা ও পঙ্কজের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার তাদের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৪০-৫০ জনের একটি দল চাপাতি, রড, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে মন্দির এলাকার দোকান ভাঙচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে দু’টি প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, কেন মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলো তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক শ্যামল কুমার বলেন, এ সময় তারা মন্দিরে রামপ্রসাদ ও সারদা দেবীর মূর্তি ভাঙচুর করে। এছাড়া ব্রাহ্মণের কক্ষেও ভাঙচুর করে। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে। ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ বলেন, পূজা উদযাপন কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উৎপল গ্রুপের কর্মীরা মূর্তি ভাঙচুর করেছে। তিনি ফটকের কাছে দু’টি দোকানের মালিকানার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে ছাত্রলীগ নেতা উৎপল সাহা মূর্তি ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পঙ্কজের গ্রুপ মূর্তি ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
November 2, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment