রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান 'অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট'। গতকাল বেলা ১১টায় তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে এ অভিযানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়। রাস্তার দু'পাশে অবৈধ পার্কিং বন্ধ, যত্রতত্র বাস থামতে না দেয়া, অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ, রাহসস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখা বন্ধ করা ও রাস্তা বন্ধ করে হকারদের বসতে না দেয়ার অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ফিটনেস ও কাগজপত্র নেই এমন যানবাহন ও অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে চলবে এ অভিযান। এ ছাড়া সড়কের দু'পাশে অবৈধ পার্কিং, অননুমোদিত স্থানে গাড়ির স্টপেজ বন্ধ, ২০ বছরের পুরনো যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। রাজধানীতে চলাচলের অযোগ্য এমন স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হবে ওইসব গাড়িতে। ফুটপাতও দখল মুক্ত করা হবে এ সময়ে। ইতিমধ্যে গত সাতদিনে প্রায় দুই কোটি টাকা জরিমানা আদায় ও এক হাজার ৬৯৪ আনফিট গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ডিএমপি'র সদর দপ্তরে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যানজট নিরসনে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক শফিক আলম মেহেদী বলেন, যানজট নিরসনে যে কোন পদক্ষেপ নিতে তারা পিছপা হবেন না। কাউকে ছাড়ও দেয়া হবে না। যানজট সৃষ্টির জন্য দায়ী সব সংস্থাকেই এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। রাজধানীর যানজট সমস্যা রাতারাতি দূর করা না গেলেও বিদ্যমান আইনি সমস্যাগুলো সংস্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকাবাসী যানজটমুক্ত নগরে বসবাস করুক- এটা সবাই চায়। প্রতি দু'সপ্তাহ পর পরই এ কমিটি বৈঠকে বসবে। সেখানে যানজটের অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি জানান, যানজট নিরসনে রাজধানীকে আটটি জোনে ভাগ করে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রয়োজনে জোন ও ম্যাজিস্ট্র্রেটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), উপ-সচিব, (পুলিশ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সওজ ঢাকা বিভাগ, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিআরটিএ, যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) ডিএমপি, সিনিয়র এনফোর্সমেন্ট অফিসার ডিটিসিবি, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) রাজউক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ঢাকা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিটি করপোরেশন, পরিচালক ট্রাফিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, উপসচিব পরিবহন সড়ক ও রেল বিভাগ।
August 24, 2009
অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট শুরু
রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান 'অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট'। গতকাল বেলা ১১টায় তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে এ অভিযানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়। রাস্তার দু'পাশে অবৈধ পার্কিং বন্ধ, যত্রতত্র বাস থামতে না দেয়া, অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ, রাহসস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখা বন্ধ করা ও রাস্তা বন্ধ করে হকারদের বসতে না দেয়ার অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ফিটনেস ও কাগজপত্র নেই এমন যানবাহন ও অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে চলবে এ অভিযান। এ ছাড়া সড়কের দু'পাশে অবৈধ পার্কিং, অননুমোদিত স্থানে গাড়ির স্টপেজ বন্ধ, ২০ বছরের পুরনো যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। রাজধানীতে চলাচলের অযোগ্য এমন স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হবে ওইসব গাড়িতে। ফুটপাতও দখল মুক্ত করা হবে এ সময়ে। ইতিমধ্যে গত সাতদিনে প্রায় দুই কোটি টাকা জরিমানা আদায় ও এক হাজার ৬৯৪ আনফিট গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ডিএমপি'র সদর দপ্তরে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যানজট নিরসনে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক শফিক আলম মেহেদী বলেন, যানজট নিরসনে যে কোন পদক্ষেপ নিতে তারা পিছপা হবেন না। কাউকে ছাড়ও দেয়া হবে না। যানজট সৃষ্টির জন্য দায়ী সব সংস্থাকেই এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। রাজধানীর যানজট সমস্যা রাতারাতি দূর করা না গেলেও বিদ্যমান আইনি সমস্যাগুলো সংস্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকাবাসী যানজটমুক্ত নগরে বসবাস করুক- এটা সবাই চায়। প্রতি দু'সপ্তাহ পর পরই এ কমিটি বৈঠকে বসবে। সেখানে যানজটের অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি জানান, যানজট নিরসনে রাজধানীকে আটটি জোনে ভাগ করে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রয়োজনে জোন ও ম্যাজিস্ট্র্রেটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), উপ-সচিব, (পুলিশ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সওজ ঢাকা বিভাগ, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিআরটিএ, যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) ডিএমপি, সিনিয়র এনফোর্সমেন্ট অফিসার ডিটিসিবি, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) রাজউক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ঢাকা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিটি করপোরেশন, পরিচালক ট্রাফিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, উপসচিব পরিবহন সড়ক ও রেল বিভাগ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment