যা ভাবা হয়েছিল, তাই সত্যি হলো। মঙ্গলবার গভীর রাতে ন্যান্সির বাসায় পুলিশ হানা
দিয়েছে। পুলিশের দাবি, বাড়িতে লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসী। খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু
তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। সন্ত্রাসীকে কি সেখানে পুলিশ খুঁজে পেতো?
ন্যান্সির দাবি, ‘পাবে কোথা থেকে? আমি কি সন্ত্রাসী লালন করি?’ তিনি জানান, ক’দিন
আগে যে পুলিশ আমার বাড়ি পাহারা দিয়েছে, সেই পুলিশই এখন বাড়ি ভাঙ্গার হুমকি দিচ্ছে!
বলছে আমার বাড়িতে নাকি সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে!
কেন পুলিশের হানা? কি এমন অপরাধ ন্যান্সির? তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে সন্ত্রাসী খুঁজতে যাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কারণ, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। সেখানে বিএনপিকে সমর্থন করার কথা জানান। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মূলত এরপর থেকে ফোনে, ফেসবুকে এবং উড়ো খবরে ন্যান্সিকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কোন সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারেÑ এমনটিও শোনা যাচ্ছিল। ন্যান্সি বলেন, এখন আমি আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
মঙ্গলবার রাত প্রায় একটার দিকে নেত্রকোণা সদর থানা পুলিশের একটি দল ন্যান্সির থাকার ঘর সার্চ করতে যায়। ন্যান্সি সন্ত্রাসী পুষেন এমন অভিযোগে তার বাড়িতে সার্চ করার কথা জানায় পুলিশ। এ নিয়ে ন্যান্সির সঙ্গে মুঠোফোনে পুলিশ বাজে ও আপত্তিকর আচরণ করে। পুলিশ ন্যান্সির ছোট ভাই সানিকে জানায়, তারা ন্যান্সির ঘর সার্চ করবেন। বিষয়টি ন্যান্সিকে ফোনে জানালে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানায়, গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে তাদের কাছে খবর আছে ন্যান্সি সন্ত্রাসী পালেন। এখন তার বাড়িতে তল্লাশি করা হবে। কোন সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে পুলিশ বিশেষ পরিস্থিতিতে সার্চ ওয়ারেন্ট লাগে না বলে জানায়। এ সময় ন্যান্সি ওয়ারেন্ট ছাড়া তার ঘরে ঢুকতে দেবেন না বলায় পুলিশের ওই সদস্য ফোনে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ন্যান্সিকে। ন্যান্সির আশঙ্কা, তাকে কোন একটা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে পুলিশ। এমনকি স্বামী অথবা ভাইকেও হয়রানি করতে পারে তারা। তিনি বলেন, আমি কোনো নোংরা রাজনীতির শিকার হতে চাই না।
কেন পুলিশের হানা? কি এমন অপরাধ ন্যান্সির? তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে সন্ত্রাসী খুঁজতে যাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কারণ, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। সেখানে বিএনপিকে সমর্থন করার কথা জানান। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মূলত এরপর থেকে ফোনে, ফেসবুকে এবং উড়ো খবরে ন্যান্সিকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কোন সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারেÑ এমনটিও শোনা যাচ্ছিল। ন্যান্সি বলেন, এখন আমি আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
মঙ্গলবার রাত প্রায় একটার দিকে নেত্রকোণা সদর থানা পুলিশের একটি দল ন্যান্সির থাকার ঘর সার্চ করতে যায়। ন্যান্সি সন্ত্রাসী পুষেন এমন অভিযোগে তার বাড়িতে সার্চ করার কথা জানায় পুলিশ। এ নিয়ে ন্যান্সির সঙ্গে মুঠোফোনে পুলিশ বাজে ও আপত্তিকর আচরণ করে। পুলিশ ন্যান্সির ছোট ভাই সানিকে জানায়, তারা ন্যান্সির ঘর সার্চ করবেন। বিষয়টি ন্যান্সিকে ফোনে জানালে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানায়, গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে তাদের কাছে খবর আছে ন্যান্সি সন্ত্রাসী পালেন। এখন তার বাড়িতে তল্লাশি করা হবে। কোন সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে পুলিশ বিশেষ পরিস্থিতিতে সার্চ ওয়ারেন্ট লাগে না বলে জানায়। এ সময় ন্যান্সি ওয়ারেন্ট ছাড়া তার ঘরে ঢুকতে দেবেন না বলায় পুলিশের ওই সদস্য ফোনে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ন্যান্সিকে। ন্যান্সির আশঙ্কা, তাকে কোন একটা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে পুলিশ। এমনকি স্বামী অথবা ভাইকেও হয়রানি করতে পারে তারা। তিনি বলেন, আমি কোনো নোংরা রাজনীতির শিকার হতে চাই না।
No comments:
Post a Comment