সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। হেফাজতে ইসলামের ডাকা
লংমার্চ কর্মসূচি প্রতিরোধে হরতাল এবং অবরোধের আগের দিনই ঢাকায় এ অবস্থার
সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ২৭টি সংগঠনের হরতাল এবং গণজাগরণ মঞ্চের
অবরোধ শুরু হলেও বুধবার রাত থেকেই আন্তঃজেলা বাসচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহন
মালিক সমিতিসমূহ স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায় গতকাল
সকাল থেকেই। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ-বিআইডবিউ্লটিএ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার
সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় কোন লঞ্চ ঢুকতে পারবে না।
এমনকি বাইরের কোন ঘাট থেকেও ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়তে পারবে না। এদিকে বিকাল থেকে হরতাল ও অবরোধ শুরু হওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে
ঢাকা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস না থাকায় ঢাকার আশপাশের লোকজনও রাজধানীতে আসতে
পারেননি। বাস এবং লঞ্চ বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ ছিল ট্রেনে। এই দু’দিকে ঢাকা
আসতে না পেরে হেফাজতের কর্মীরা অনেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসেন। তবে বিকাল
থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী ১০টি ট্রেন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
হরতাল অবরোধের মধ্যেও সারা দেশ
থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও হেফাজত কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেন। রাতেই
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জমায়েত শুরু হয়। সকালেই তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
বিভিন্ন জেলা থেকে হেঁটে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন সমাবেশে। সকাল ১০টা
থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলে নেতাদের
বক্তব্য। পুরো সময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত ছিল পুরো এলাকা। লাখ লাখ
মানুষের এই সমাবেশ হলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সকালেই সমাবেশের পরিধি শাপলা চত্বর থেকে পল্টন, উত্তেফাক মোড়, নটরডেম কলেজ, কমলাপুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে খাবার ও পানি নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের পক্ষ থেকেও সমাবেশে খাবার পাঠানো হয়েছে। ড্যাবের পক্ষ থেকে সমাবেশের আশপাশে ৮টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দেয়। সকালে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতেও দেখা গেছে হেফাজত কর্মীদের ভিড়। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং আশপাশের জেলা থেকে লোকজন হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন। সকালে মহাখালি এলাকায় মিছিলে বাধা দেয়ায় ক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের অস্থায়ী অবস্থানে হামলা চালায়। আমিনবাজার ও মিরপুরে হেফাজতের মিছিলে বাধা দেয় হরতালকারীরা। তবে বাধা উপক্ষো করেই হাজার হাজার মানুষ মতিঝিলের দিকে ছুটতে থাকেন। আগামী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহবান করেছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় শানে রেসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫ই মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। বিকালে শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সভাপতির বক্তব্য রাখেন। এর আগে সমাবেশ থেকে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। বিকাল পৌণে পাঁচটার দিকে শেষ হয় বহুল আলোচিত এ সমাবেশ।
সকালেই সমাবেশের পরিধি শাপলা চত্বর থেকে পল্টন, উত্তেফাক মোড়, নটরডেম কলেজ, কমলাপুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে খাবার ও পানি নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের পক্ষ থেকেও সমাবেশে খাবার পাঠানো হয়েছে। ড্যাবের পক্ষ থেকে সমাবেশের আশপাশে ৮টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দেয়। সকালে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতেও দেখা গেছে হেফাজত কর্মীদের ভিড়। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং আশপাশের জেলা থেকে লোকজন হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন। সকালে মহাখালি এলাকায় মিছিলে বাধা দেয়ায় ক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের অস্থায়ী অবস্থানে হামলা চালায়। আমিনবাজার ও মিরপুরে হেফাজতের মিছিলে বাধা দেয় হরতালকারীরা। তবে বাধা উপক্ষো করেই হাজার হাজার মানুষ মতিঝিলের দিকে ছুটতে থাকেন। আগামী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহবান করেছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় শানে রেসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫ই মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। বিকালে শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সভাপতির বক্তব্য রাখেন। এর আগে সমাবেশ থেকে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। বিকাল পৌণে পাঁচটার দিকে শেষ হয় বহুল আলোচিত এ সমাবেশ।
এদিকে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিস লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে অপারেটররা নিজ নিজ এলাকায় লাইন বন্ধ করে
দিয়েছেন। মিরপুর এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, পুরো এলাকায় দুপুরের পর
থেকে ডিস সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কোন কোন এলাকায় সব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে
না। এ বিষয়ে কোয়াবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। কোয়াবের বর্তমানে কোন কমিটি নেই।
No comments:
Post a Comment