সোনালী ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী পরিচালক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী দাবি করেছেন তিনি
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আজ দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমার কোন অবৈধ সম্পদ নেই। দুদকে
যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমার সম্পদের বিষয়ে
যেসব অভিযোগ এসেছে সে বিষয়ে দুদক আমাকে তলব করেছে। আমি লিখিত বক্তব্য
দিয়েছি।
সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে যান। বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তাকে অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদিন শিবলী ও জাহাঙ্গীর আলম এ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেনরীর নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে সংশ্লিষ্ট দুদক অফিস থেকে তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় সে সময় তার সম্পদ তদন্তে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়। এরপর দুদক ঢাকা থেকে তার বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
এর অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহরের সবুজ কানন হাইস্কুলের শিক্ষক হেনরী ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার পর নাটকীয়ভাবে তার উত্থানপর্ব শুরু হয়। মালিক হন বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের।
গাড়ি-বাড়ি আর সামাজিক অবস্থানেরও রাতারাতি পরিবর্তন হয় তার। হেনরীর এ উত্থান সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা প্রয়াত মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূ হিসেবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পান তিনি। কিন্তু পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে।
No comments:
Post a Comment