প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের
আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি দেওয়ায়
এহসানুজ্জামান খান নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জ
সরকারি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক। রোববার রাজধানীর রমনা এলাকার ইস্কাটন রোড
থেকে তাকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। গতকাল সোমবার র্যাব সদর দফতরে
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন ডা.
এহসানুজ্জামান।
র্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইং প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল সমকালকে বলেন, গত জুলাই মাসে হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর ডা. এহসানুজ্জামান ইন্টারনেটে শাওনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করেন। তিনি ফেসবুকে 'উই হেট মেহের আফরোজ শাওন' নামে একটি গ্রুপ খোলেন। এই গ্রুপে শাওনকে নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আপলোড করেন এহসানুজ্জামান। এর পর থেকে গত তিন মাসে তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১২শ' ছাড়িয়ে যায়।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন মেহের আফরোজ শাওন। এ সময় অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী তানজিনা রহমান স্বর্ণাও উপস্থিত ছিলেন। দুঃখ-ভারাক্রান্ত কণ্ঠে শাওন বলেন, 'হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে আমি ফেসবুকে বসিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে স্বজনরা আমাকে এই গ্রুপ সম্পর্কে বললেও আমি তেমন গুরুত্ব দিইনি। সম্প্রতি এই গ্রুপের সদস্যরা বাসার টেলিফোন ও ই-মেইলে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। হুমকিদাতারা আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও বলেছে।'
শাওন আরও জানান, ফেসবুকের গ্রুপটি সারা পৃথিবীতে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করায় গত ১১ অক্টোবর তিনি র্যাব সদর দফতরের অ্যান্টি-ক্রাইম জোনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর তিন দিন পর রোববার প্রধান হোতা ডা. এহসানুজ্জামানকে গ্রেফতার করেন র্যাব-২-এর সদস্যরা। এর মধ্যে শাওনের বাবা ফেসবুকের এই গ্রুপের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর আওতায় একটি মামলা করেন। এ আইনে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডা. এহসানুজ্জামান বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েন। মৃত্যুর আগে ও পরে শাওন হুমায়ূন আহমেদকে অযত্ন-অবহেলা করেছে বলে তার মনে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই ফেসবুকে তারা শাওনের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। তিনি আরও জানান, আমেরিকা প্রবাসী নওরীন নায়না ও ব্রিটেন প্রবাসী তসলিমা খাতুন এই গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তা ছাড়া তরিকুল ইসলাম ও গৌতম নামে আরও দু'জন এই গ্রুপের উদ্যোক্তা। নেত্রকোনার সাতপাই গ্রামের মৃত হাবিবুজ্জামানের ছেলে এহসানুজ্জামান ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ পান। তার মা একজন গাইনি চিকিৎসক। সংবাদ সম্মেলনে নিজের দোষ স্বীকার করে এহসানুজ্জামান বলেন, অ্যাকাউন্ট করার সময় এত কিছু চিন্তা করা হয়নি।
একই সংবাদ সম্মেলনে শাওন বলেন, ফেসবুকে এই গ্রুপের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি বাসার টেলিফোনে ফোন করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ওই গ্রুপটি সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তিনি সাইবার ক্রাইম অ্যাক্টে গ্রুপটি ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান শাওন। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার এম সোহায়েল আরো জানান, র্যাব গ্রুপটির ১২০০ সদস্যের বিরুদ্ধেই মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার করবে।
র্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইং প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল সমকালকে বলেন, গত জুলাই মাসে হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর ডা. এহসানুজ্জামান ইন্টারনেটে শাওনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করেন। তিনি ফেসবুকে 'উই হেট মেহের আফরোজ শাওন' নামে একটি গ্রুপ খোলেন। এই গ্রুপে শাওনকে নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আপলোড করেন এহসানুজ্জামান। এর পর থেকে গত তিন মাসে তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১২শ' ছাড়িয়ে যায়।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন মেহের আফরোজ শাওন। এ সময় অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী তানজিনা রহমান স্বর্ণাও উপস্থিত ছিলেন। দুঃখ-ভারাক্রান্ত কণ্ঠে শাওন বলেন, 'হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে আমি ফেসবুকে বসিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে স্বজনরা আমাকে এই গ্রুপ সম্পর্কে বললেও আমি তেমন গুরুত্ব দিইনি। সম্প্রতি এই গ্রুপের সদস্যরা বাসার টেলিফোন ও ই-মেইলে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। হুমকিদাতারা আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও বলেছে।'
শাওন আরও জানান, ফেসবুকের গ্রুপটি সারা পৃথিবীতে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করায় গত ১১ অক্টোবর তিনি র্যাব সদর দফতরের অ্যান্টি-ক্রাইম জোনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর তিন দিন পর রোববার প্রধান হোতা ডা. এহসানুজ্জামানকে গ্রেফতার করেন র্যাব-২-এর সদস্যরা। এর মধ্যে শাওনের বাবা ফেসবুকের এই গ্রুপের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর আওতায় একটি মামলা করেন। এ আইনে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডা. এহসানুজ্জামান বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েন। মৃত্যুর আগে ও পরে শাওন হুমায়ূন আহমেদকে অযত্ন-অবহেলা করেছে বলে তার মনে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই ফেসবুকে তারা শাওনের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। তিনি আরও জানান, আমেরিকা প্রবাসী নওরীন নায়না ও ব্রিটেন প্রবাসী তসলিমা খাতুন এই গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তা ছাড়া তরিকুল ইসলাম ও গৌতম নামে আরও দু'জন এই গ্রুপের উদ্যোক্তা। নেত্রকোনার সাতপাই গ্রামের মৃত হাবিবুজ্জামানের ছেলে এহসানুজ্জামান ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ পান। তার মা একজন গাইনি চিকিৎসক। সংবাদ সম্মেলনে নিজের দোষ স্বীকার করে এহসানুজ্জামান বলেন, অ্যাকাউন্ট করার সময় এত কিছু চিন্তা করা হয়নি।
একই সংবাদ সম্মেলনে শাওন বলেন, ফেসবুকে এই গ্রুপের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি বাসার টেলিফোনে ফোন করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ওই গ্রুপটি সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তিনি সাইবার ক্রাইম অ্যাক্টে গ্রুপটি ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান শাওন। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার এম সোহায়েল আরো জানান, র্যাব গ্রুপটির ১২০০ সদস্যের বিরুদ্ধেই মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার করবে।
No comments:
Post a Comment