কি পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে সম্মতির কথা বলেছিলেন তার
ব্যাখ্যা দিলেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি বলেছেন, আমি
নিজ থেকে দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ দেখাইনি। আমি নিতেও চাইনি। সেদিন অনুষ্ঠান
শেষে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন-জাতির জন্য যদি আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়
তাহলে নেবো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবেই বলেছিলাম, দরকার হলে দায়িত্ব নিতে
রাজি হবো । এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। সাফ
জানিয়ে দিয়েছেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারেকাছেও আর যাবেন না।
বললেন, মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। পত্রপত্রিকায় দেখেছি তারা স্বাগত
জানিয়েছেন আমাকে। কিন্তু যখন দেশের প্রধান ব্যক্তির কাছ থেকে অমার্জনীয়
মন্তব্য আসে তখন সেই দায়িত্ব নেয়ার আর সুযোগ থাকে না। আমার যদি আত্মসম্মান
থাকে, লজ্জা থাকে তাহলে আমি আর তার আশপাশেও যাবো না। গতকাল বেসরকারি
টেলিভিশন বাংলাভিশনের লাইভ টক-শো ফ্রন্ট লাইনে তিনি এই অসম্মতির কথা জানান।
সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় টক-শোতে সামপ্রতিক সময়ে তাকে
নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উক্তির সমালোচনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, রাজনীতি,
দুর্নীতি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। জরুরি জমানায়
দু’নেত্রীর পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন ব্যারিস্টার
রফিক। তার সম্পর্কে নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে ‘গ্রাম্য
ন্যাস্টি কমেন্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামের
মহিলাদের মতো যা বলেছেন, তার মুখে তা মানায় না। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
নয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবেও তার কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করিনি।
দেশবাসীও আশা করেন না। কোন ভদ্রলোক এরকম মন্তব্য করতে পারেন না। রাজনৈতিক
ভাবে এখনও পরিপক্বতা আসেনি বলে নানা সময় আমাদের নেতা-নেত্রীরা এরকম মন্তব্য
করে বসেন। এর পরিবর্তন হওয়া দরকার। রফিক-উল হক বলেন, নির্বাচন হবে।
আদালতের রায় অনুযায়ী নির্বাচন হতেই হবে। আমি এখনও আশাবাদী নির্বাচন যথাসময়ে
হবে। আর তা হবে নিরপেক্ষ কোন সরকারের অধীনে। হোক সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার
কিংবা নির্দলীয় সরকার আর ‘ইলেকশন গভর্নমেন্ট’। পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতি
হয়েছে বলে তিনিও মনে করেন। তার যুক্তি, তা না হলে কেন তাহলে দুই মন্ত্রীকে
পদত্যাগ করতে হলো?
বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে সত্যিকারের আইনের বিচার প্রতিষ্ঠা হলে দুর্নীতি থাকতো না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতো। দেশে যেন আইন মানার জন্য নয়, ভাঙার মধ্যেই সবাই কৃতিত্ব দেখেন। সাধারণ মানুষই শুধু নয়, মন্ত্রী এমপি আর পুলিশ- সবাই আইন ভাঙেন। আমি মনে করি এভাবে দেশ চলতে পারে না। রাজনৈতিক ভাবে আদালত চলতে পারে না। বিচারক নিয়োগে রাজনীতি হয়। বিচারকাজেও রাজনীতি হয়। এসব রোধে একটি নীতিমালা প্রয়োজন। এই নীতিমালা রাজনৈতিক ভাবে বিচারক নিয়োগ রোধে সহায়ক হবে। তার মতে, বাংলাদেশের প্রধান দু’টি সমস্যা হচ্ছে পলিটিক্স ও দুর্নীতি। আদর্শ রাজনীতি নেই। সর্বত্রই দুর্নীতি অক্টোপাসের মতো লেগে আছে। দুর্নীতি যথাসম্ভব কমাতে হবে। তা না হলে সুশাসন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে না, দেশের উন্নতিও হবে না। রফিক-উল হক আশাবাদী একজন মানুষ। তাই আশার কথা শোনালেন গণতন্ত্র নিয়ে। বললেন, আজ না হোক একদিন দেশের মানুষ সত্যিকারের গণতন্ত্র ভোগ করবে। হয়তো সেটি দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হবে না। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম সেই গণতন্ত্রের স্বাদ ঠিকই ভোগ করবে।
বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে সত্যিকারের আইনের বিচার প্রতিষ্ঠা হলে দুর্নীতি থাকতো না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতো। দেশে যেন আইন মানার জন্য নয়, ভাঙার মধ্যেই সবাই কৃতিত্ব দেখেন। সাধারণ মানুষই শুধু নয়, মন্ত্রী এমপি আর পুলিশ- সবাই আইন ভাঙেন। আমি মনে করি এভাবে দেশ চলতে পারে না। রাজনৈতিক ভাবে আদালত চলতে পারে না। বিচারক নিয়োগে রাজনীতি হয়। বিচারকাজেও রাজনীতি হয়। এসব রোধে একটি নীতিমালা প্রয়োজন। এই নীতিমালা রাজনৈতিক ভাবে বিচারক নিয়োগ রোধে সহায়ক হবে। তার মতে, বাংলাদেশের প্রধান দু’টি সমস্যা হচ্ছে পলিটিক্স ও দুর্নীতি। আদর্শ রাজনীতি নেই। সর্বত্রই দুর্নীতি অক্টোপাসের মতো লেগে আছে। দুর্নীতি যথাসম্ভব কমাতে হবে। তা না হলে সুশাসন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে না, দেশের উন্নতিও হবে না। রফিক-উল হক আশাবাদী একজন মানুষ। তাই আশার কথা শোনালেন গণতন্ত্র নিয়ে। বললেন, আজ না হোক একদিন দেশের মানুষ সত্যিকারের গণতন্ত্র ভোগ করবে। হয়তো সেটি দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হবে না। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম সেই গণতন্ত্রের স্বাদ ঠিকই ভোগ করবে।
No comments:
Post a Comment