বিরোধী নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর
পূর্ণাঙ্গ রায় পক্ষপাতদুষ্ট ও অগ্রহণযোগ্য। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান
কার্যালয়ে বিকালে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর তার সইকৃত রায়ের সুস্পষ্ট পার্থক্য অভূতপূর্ব ও বিচারিক অসদাচরণ। আমরা তার এই অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার পর বিচারকরা আর শপথের অধীনের থাকেন না। বিচারিক কার্যকক্ষমতা বা রায় লিখতে পারেন না। ফলে এই রায় যৌক্তিক কারণেই পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য ও বাতিলযোগ্য। প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত সংক্ষিপ্ত এবং পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন গরমিল নজিরবিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই এটা ঘটানো হয়েছে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের হুবহু প্রতিধ্বনী। তাদের সংক্ষিপ্ত রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। মাননীয় সাবেক প্রধান বিচারপতির এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ একটি মারাত্মক বিচারিক অসদাচরণ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি গত ২৯শে মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছেন। এরপর সরকারের অভিপ্রায় বান্তবায়ন করতেই সেই রায় বিচাররকদের দিয়ে নতুন করে লিখান। তার এই আচরণ একেবারেই বিচারিক সুলভ নয় এবং নৈতিকতা বিরোধী। এই রায়ের সত্যতা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর জবাব দেয়ার দায়িত্ব প্রধান বিচারপতির। ক্ষমতাসীন সরকারই আবার নতুন নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবেন। প্রশ্ন হচ্ছে ৪২ দিন সংসদ ভেঙে গেলে সবাই অনির্বাচিত হয়ে যাবেন। তাহলে অনির্বাচিত লোকজন কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে। সরকারের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। নৈতিকতা বিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই রায় যৌক্তিক কারণে অকার্যকর।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই রায়ের কারণে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। রাজনৈতিক সংকট বাড়বে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত অযৌক্তিক ও পরস্পর বিরোধী রায় জনগণ মানবেও না এবং এর অধীনে কোন নির্বাচনও হতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জনদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পক্ষপাতদুষ্ট এই রায় আন্দোলন দুর্বল করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর তার সইকৃত রায়ের সুস্পষ্ট পার্থক্য অভূতপূর্ব ও বিচারিক অসদাচরণ। আমরা তার এই অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবসরে যাওয়ার পর বিচারকরা আর শপথের অধীনের থাকেন না। বিচারিক কার্যকক্ষমতা বা রায় লিখতে পারেন না। ফলে এই রায় যৌক্তিক কারণেই পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য ও বাতিলযোগ্য। প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত সংক্ষিপ্ত এবং পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন গরমিল নজিরবিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই এটা ঘটানো হয়েছে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের হুবহু প্রতিধ্বনী। তাদের সংক্ষিপ্ত রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। মাননীয় সাবেক প্রধান বিচারপতির এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ একটি মারাত্মক বিচারিক অসদাচরণ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি গত ২৯শে মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছেন। এরপর সরকারের অভিপ্রায় বান্তবায়ন করতেই সেই রায় বিচাররকদের দিয়ে নতুন করে লিখান। তার এই আচরণ একেবারেই বিচারিক সুলভ নয় এবং নৈতিকতা বিরোধী। এই রায়ের সত্যতা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর জবাব দেয়ার দায়িত্ব প্রধান বিচারপতির। ক্ষমতাসীন সরকারই আবার নতুন নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবেন। প্রশ্ন হচ্ছে ৪২ দিন সংসদ ভেঙে গেলে সবাই অনির্বাচিত হয়ে যাবেন। তাহলে অনির্বাচিত লোকজন কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে। সরকারের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। নৈতিকতা বিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই রায় যৌক্তিক কারণে অকার্যকর।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই রায়ের কারণে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। রাজনৈতিক সংকট বাড়বে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত অযৌক্তিক ও পরস্পর বিরোধী রায় জনগণ মানবেও না এবং এর অধীনে কোন নির্বাচনও হতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জনদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পক্ষপাতদুষ্ট এই রায় আন্দোলন দুর্বল করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment