অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রি-স্ট্রাকচারিং অব (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) এসইসি ইজ এক্সট্রিমলি ডিফিকাল্ট। এটা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে কেউ এখন সেখানে বসে কিছু শিখবে, সে সুযোগ কমে গেছে। এসইসি’র একজন আইন (বিষয়ক) সদস্য দরকার। মাথা ঠুকে এক জনকে পেলাম। কিন্তু তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। এক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট বিভাগকে উন্নত করার চেষ্টা চলছে। গতকাল সচিবালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, বর্তমানে এসইসি যে রেগুলেশন অনুসরণ করেন তা মানোত্তীর্ণ নয়। তারা সমস্ত কোম্পানির হিসাব দেন। এসব হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ক খুবই কম। তাদের মান উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তারা কিছু কিছু নিচ্ছেনও। প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটি বাজারে অস্থিরতার জন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- এসইসি’র অদক্ষতাকে দায়ী করেছে। এ জন্য সংস্থাটি পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে তারা। তবে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে ‘সরকারের নড়াচড়া কম’ বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান। বৈঠকে বিদেশী বিনিয়োগ, বাজেট বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। দেশে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) এক দশমিক চার শতাংশ। এটা তিন শতাংশ হওয়া দরকার। বাজেট বাস্তবায়নে দুর্বলতার কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সবসময়ই কথা হয়। বাস্তবায়নে গাফিলতি ও দুর্বলতা দু’টোই আছে। তবে এগুলো মোকাবিলার চেষ্টা হচ্ছে। কিছুটা সফলতাও এসেছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও ক্রয় পরিকল্পনা করতে দেরি হওয়ার কারণেই বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র জন্য ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতিবছরই এডিপি বাস্তবায়ন পুরোপুরি হয় না। ইংরেজি দৈনিক নিউজ টুডে’র সম্পাদক এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের উচ্চাভিলাস থাকবেই। বাস্তবায়ন না করতে পারাটা ব্যর্থতা। ইডিপেনডেন্ট সম্পাদক মাহবুবুল আলম বলেন, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোয় অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ভাবতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার সুফল কত মানুষ পাচ্ছে, তা নিয়েও ভাবতে হবে। বর্তমান অর্থবছরে পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের অর্থ খরচ না করার বিষয়টি তুলে ধরে এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ধান উৎপাদন ধরে রাখতে হলে কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষকদের নগদ সহায়তা দেয়ার পরিবর্তে সার বা অন্য ক্ষেত্রে ভর্তুকির মাধ্যমে এ টাকা দিতে হবে। বীজ উৎপাদনে বিএনডিসি’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে। খাদ্যশস্য সংরক্ষণ গুদাম তৈরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্রামপর্যায়ে পিপিপি হতে পারে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের কত আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। তাই যানজট নিরসনে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
April 24, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment