ভোলার লালমোহনে এমভি কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮০ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের নিচতলা এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। কোকো-৪ সম্পূর্ণ উদ্ধার করতে হামজাকে সহায়তা দিতে আজ বুধবার অন্য উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ভোলার লালমোহনে এসে পেঁৗছেছে। এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে গড়িমসির অভিযোগে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও বিআইডবিস্নউটিএ'র ৩ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, অন্যদিকে কোকো-৪ লঞ্চের স্টাফদের আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদি হয়েছেন ওই লঞ্চের যাত্রী কামাল উদ্দিন। লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নৌ-মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত টিম গতকাল মঙ্গলবার ২ দিনের স্থানীয় তদন্ত শেষ করে ঢাকায় চলে যায়। এই টিম লঞ্চ যাত্রী ও ঘাটের প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৩০ জনের বক্তব্য রেকর্ড করার পাশাপাশি লঞ্চের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা মেপেছে। স্থানীয়ভাবে উদ্ধার অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, গাইমারায় আরও ৩টি লাশ জেলেদের বাঁধা জালে আটকা পড়ে। লাশগুলো নদী পাড়ে তুলে রাখার পর ফের ভেসে যায় বলে স্থানীয় জেলেরা জানায়। এ নিয়ে লাশের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮০। জেলা প্রশাসক মো. মেসবাহুল ইসলাম জানান, হামজা লঞ্চটিকে টেনে তুলতে না পারায়, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম আনা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হামজার ২ কর্মকর্তাসহ বিআইডবিস্নউটিএ'র ৩ দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন- হামজার কমান্ডার শাজাহান খান, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুর রাজ্জাক ও বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিমের যুগ্ম আহ্বায়ক নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাইতুল আমিন ভূইয়া জানান, গত ২ দিন ধরে তারা এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
থানায় মামলা : ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর তেঁতুলিয়া নদীতে এমভি কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য লঞ্চ স্টাফদের দায়ী করে মঙ্গলবার লালমোহন থানায় মামলা দিয়েছেন স্বজনহারা প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী কামাল উদ্দিন। তার বাড়ি ওই উপজেলার বদরপুর গ্রামে। মামলা নং- ১৭। এ মামলায় লঞ্চের ৯ জন স্টাফকে শনাক্ত করে অজ্ঞাত ১৬ জনসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে লালমোহন থানার ওসি জাকির হোসেন ফকির জানান। তবে এই মামলায় লঞ্চ মালিকপক্ষের কাউকে প্রাথমিকভাবে আসামি করা হয়নি। বাদি ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উলি্লখিত ৯ আসামির মধ্যে লঞ্চের চালক, মাস্টার, সুপারভাইজার, টিকেট মাস্টার রয়েছে। ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান বিনষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে একটি গ্রুপ নদী পাড়ে হাঙ্গামা শুরু করে। গোয়েন্দা সংস্থা ওই গ্রুপটিকেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল সরেজমিন তেতুলিয়া পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নিখোঁজ কয়েকজন পরিবারের বুকফাটা আর্তনাদ। নিখোঁজ স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। তাদের একটাই দাবি প্রিয়জনের লাশ পেলে বাড়ি ফিরে দাফনের ব্যবস্থা করবে। এদিকে কোকো-৪ লঞ্চডুবিতে সলিল সমাধি হওয়া স্বজনদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। লাশ এলাকায় পেঁৗছামাত্র শোকের ছায়ায় পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। পরিবারগুলোতে হাসি আর আনন্দ হারিয়ে গিয়ে চলছে নিহতদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় স্বজন হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, গাইমারায় আরও ৩টি লাশ জেলেদের বাঁধা জালে আটকা পড়ে। লাশগুলো নদী পাড়ে তুলে রাখার পর ফের ভেসে যায় বলে স্থানীয় জেলেরা জানায়। এ নিয়ে লাশের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮০। জেলা প্রশাসক মো. মেসবাহুল ইসলাম জানান, হামজা লঞ্চটিকে টেনে তুলতে না পারায়, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম আনা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হামজার ২ কর্মকর্তাসহ বিআইডবিস্নউটিএ'র ৩ দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন- হামজার কমান্ডার শাজাহান খান, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুর রাজ্জাক ও বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিমের যুগ্ম আহ্বায়ক নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাইতুল আমিন ভূইয়া জানান, গত ২ দিন ধরে তারা এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
থানায় মামলা : ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর তেঁতুলিয়া নদীতে এমভি কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য লঞ্চ স্টাফদের দায়ী করে মঙ্গলবার লালমোহন থানায় মামলা দিয়েছেন স্বজনহারা প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী কামাল উদ্দিন। তার বাড়ি ওই উপজেলার বদরপুর গ্রামে। মামলা নং- ১৭। এ মামলায় লঞ্চের ৯ জন স্টাফকে শনাক্ত করে অজ্ঞাত ১৬ জনসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে লালমোহন থানার ওসি জাকির হোসেন ফকির জানান। তবে এই মামলায় লঞ্চ মালিকপক্ষের কাউকে প্রাথমিকভাবে আসামি করা হয়নি। বাদি ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উলি্লখিত ৯ আসামির মধ্যে লঞ্চের চালক, মাস্টার, সুপারভাইজার, টিকেট মাস্টার রয়েছে। ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান বিনষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে একটি গ্রুপ নদী পাড়ে হাঙ্গামা শুরু করে। গোয়েন্দা সংস্থা ওই গ্রুপটিকেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল সরেজমিন তেতুলিয়া পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নিখোঁজ কয়েকজন পরিবারের বুকফাটা আর্তনাদ। নিখোঁজ স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। তাদের একটাই দাবি প্রিয়জনের লাশ পেলে বাড়ি ফিরে দাফনের ব্যবস্থা করবে। এদিকে কোকো-৪ লঞ্চডুবিতে সলিল সমাধি হওয়া স্বজনদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। লাশ এলাকায় পেঁৗছামাত্র শোকের ছায়ায় পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। পরিবারগুলোতে হাসি আর আনন্দ হারিয়ে গিয়ে চলছে নিহতদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় স্বজন হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
No comments:
Post a Comment