April 8, 2009

এফডিসিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি

অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে ঝটিকা অভিযান

চলচ্চিত্র নির্মাণের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) অভ্যনত্দরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে চালানো হচ্ছে ঝটিকা অভিযান। এফডিসি'র অভ্যনত্দরে অবস্থিত চলচ্চিত্র প্রযোজকদের নেয়া ভাড়া করা স্টোরগুলোতে মদ, জুয়াসহ বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হয় এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এফডিসিতে অভিযান চালায়। ওই সময় এফডিসি'র তিন নম্বর ফ্লোরের পাশে অবস্থিত একটি স্টোর থেকে জুয়া খেলার ব্যসত্দ অবস্থায় একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন নৃত্য-পরিচালক, দু'জন চিত্র সম্পাদকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে বেশ কিছুৰণ জিজ্ঞাসাবাদের পর চলচ্চিত্র সংশিস্নষ্ট দু'টি সংগঠনের নেতার উপস্থিতিতে মুচলেকা আদায়ের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর ১৫ দিন আগেও ডিবি পুলিশ এফডিসিতে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছিল। চলচ্চিত্র নির্মাণ কেন্দ্র এফডিসি কাওরান বাজার বসত্দি সংলগ্ন হওয়ায় বসত্দির প্রভাবশালী কিছু মাদক ব্যবসায়ী এফডিসি'র অভ্যনত্দরে মাদক বিক্রি ও সেবন করে। এর সঙ্গে জড়িত থাকেন চলচ্চিত্রের চিহ্নিত কিছু লোকজন। চলচ্চিত্র প্রযোজকদের নামে বরাদ্দ করা কিছু কিছু স্টোর রম্নমে প্রতি রাতেই বসে মদ ও জুয়ার আসর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এএসপি সুফিয়ানের নেতৃত্বে রোববার রাতে অভিযান চালায়। গোয়েন্দা পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালিয়েছেন বলে চলচ্চিত্র শিল্পের নেতৃবৃন্দকে জানান। এই ধরনের অভিযান আরও চালানো হবে বলে এএসপপি সুফিয়ান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এফডিসি'র সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) রেজাউল হক রেজার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই অভিযানের বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত নই। অবহিত হবার পর আপনাদের জানাবো। তিনি জানান, এফডিসি'র স্টোর বরাদ্দ দেয় উন্নয়ন শাখা। তবে এর নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের বলে তিনি স্বীকারও করেন। এফডিসি'র অভ্যনত্দরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এবং গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান, চলচ্চিত্র কমর্ী আটক ইত্যাদি চলচ্চিত্র শিল্পে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চলচ্চিত্রের সার্বিক স্বার্থে এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এফডিসিতে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হওয়া উচিত বলে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

No comments:

Post a Comment

Khoj Khobor