জওয়ানদের বিদ্রোহে নিহত হয়েছেন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। বুধবার সকালে বিদ্রোহের প্রথম পর্যায়েই তাকে বিডিআর দরবার হলে গুলি করে হত্যা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিআর সদর দফতর থেকে মুক্ত হওয়া লে. কর্নেল সৈয়দ কামরম্নজ্জামান গতরাতে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে এই তথ্য জানান। বিদ্রোহের সময় তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া গতরাতে র্যাবের হাতে বন্দি হওয়া বিডিআরের একজন জওয়ান অপর একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন যে, মেজর জেনারেল শাকিলের স্ত্রীও বিদ্রোহের সময় নিহত হয়েছেন।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, জওয়ানদের বিদ্রোহ শুরম্নর সময় মেজর জেনারেল শাকিলের দুই সন্তান (এক পুত্র ও এক কন্যা) পিলখানা এলাকার বাইরে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে গেছে। বর্তমানে তারা এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছে বলে সূত্রটি জানায়।
প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শেষদিকে বিডিআরের মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি সেনা সদরের মিলিটারি সেক্রেটারি (এমএস) পদে নিয়োজিত ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকা অবস্থায় তিনি ব্রিগেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি বিডিআরের খুলনা সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। এছাড়া কিছুকাল তিনি যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ মিশনে সহকারী ডিফেন্স এটাশে হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাকিল আহমেদের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে। তার পিতা ছিলেন পাকিসত্দান সেনাবাহিনীর একজন অনারারি ক্যাপ্টেন। সেই সূত্রে শৈশবেই তিনি পিতার কর্মস্থল পাকিসত্দানের রাওয়ালপিন্ডি চলে যান। সেখানকার একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর ফিরে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ১৯৭৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর শাকিল আহমেদ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৭৬ সালে।
শাকিল আহমেদের আরেক ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তার মায়ের মৃতু্যর পর পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দু'জন বৈমাত্রেয় ভাইসহ তার সৎমা ভাদেশ্বর গ্রামেই থাকেন।
No comments:
Post a Comment