August 10, 2009

বাংলাদেশের দারুণ জয়, আশরাফুলের অনবদ্য শতরান

প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর যারা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন তাদের স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পাওয়া জয়গুলো যে কোন চমক বা অঘটন ছিল না তার প্রমাণ দিয়েছেন তামিম-আশরাফুল। গতকাল বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ দল ৮ উইকেটে জিতেছে। জয়টি এতই সাবলীল ছিল যে, ১৫ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পেঁৗছে যায় বাংলাদেশ দল। সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল তার শতরানটির জন্য যদি মাটি কামড়ে না থাকতেন তবে খেলাটি শেষ হতে পারতো আরও আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দু'ম্যাচে অর্ধশত রান পাওয়া আশরাফুল কাল অপরাজিত থাকেন শতরান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় শতরান। ৯৯ রানের মাথায় ৩ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন ১৪৩তম ম্যাচ খেলা আশরাফুল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ৪৭.৫ ওভারে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ২০৭ রানে। বাংলাদেশ দল ২১১ রান করে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪.৩ ওভারে। আশরাফুল ১০৩ এবং রকিবুল ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী শুরুটা খুব ভাল করতে পারেননি। দ্রুততার সঙ্গে এগোবার চেষ্টা করলেও জুনায়েদের বিদায়ে ৩০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১২ বলে ২১ রান করেন জুনায়েদ। ওয়ান ডাউনে আশরাফুল যোগ দেন তামিমের সঙ্গে। এ দু'জন জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন করে খেলতে থাকেন। দ্রুত ম্যাচকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ১৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে আশাতীত গতিতে জয়ের দিকে নিয়ে যান। তামিম ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি গড়েন। ২৬তম ওভারে এসে আউট হন ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে। ৬৮ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকান ৭টি। দলের সংগ্রহ তখন ১৬৭। জয়ের জন্য দরকার ৪১ রান। ওই সময় আশরাফুলের সংগ্রহ ৭৪ বলে ৭৫ রান। চিগুম্বুরার ওই ওভারের শেষ বলে চার মারেন। পরের ওভারে রে প্রাইসের বলে নেন মাত্র ২ রান। এরপর ফের চিগুম্বুরার ওভারে একটি ছক্কাসহ নেন ৭ রান। ২৮ ওভার শেষে আশরাফুলের সংগ্রহ ৮৮। এরপর থেকে শতরানের জন্য ধীরে খেলতে থাকেন আশরাফুল। স্বাগতিকরাও বিষয়টি বুঝে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজান। আশরাফুলের শতরান হওয়ার জন্য অপরপ্রান্তে রকিবুলও হাত গুটিয়ে খেলতে থাকেন। ফলে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ যেখানে ১৯৪ সেখানে স্কোর সমান হতে প্রয়োজনীয় ১৩ রান আসে ২৭ বলে। ৯৯ রান থেকে মাসাকাদজার বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করেন আশরাফুল। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যান অব দ্য ম্যাচও হন তিনিই।

No comments:

Post a Comment

Khoj Khobor